ইপেপার । আজ শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জবি শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: আবাসিক হলের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। সোমবার শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির তৃতীয় দিন সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর রায়সাহেব বাজার পার হয়ে নয়াবাজার মোড়ের দিকে যেতেই পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আনুমানিক প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় বের হয়ে রায়সাহেব বাজার পার হয়ে নয়াবাজার মোড়ের দিকে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ ছাড়া প্রচুর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আন্দোলনকারী অন্য এক শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ জানান, নয়াবাজার মোড়ে প্রায় ৭টি টায়ারে আগুন ধরিয়ে রাস্তা বস্নক করে রাখে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা হলের দাবিতে সস্নোগান দেয়। এ সময় চারদিকে পুলিশ অবস্থান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিনিধি গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসতে। কিন্তু তারা রাস্তায় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। তারা তো শান্তিপূর্ণ মিছিল করলে পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ করত না।’ আপনার নির্দেশেই পুলিশ লাটিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছেথ শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা তো এখন কত কথাই বলবে। আমি হুকুম দেয়ার কেউ না, যা করার পুলিশই করেছে।’ এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও রোববার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সামনের সড়কে অবস্থান নেয় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। ওইদিনই ঘোষণা দেয় সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেবেন। গত ২ আগস্ট থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন নাজিম উদ্দিন রোডে পরিত্যক্ত কারাগারের জমিতে হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। জমি পেতে ২০১৪ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে আবেদন করেছিল। নতুন করে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়গাটির জন্য ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য মীজানুর রহমান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জবি শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস

আপলোড টাইম : ০২:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬

সমীকরণ ডেস্ক: আবাসিক হলের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। সোমবার শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির তৃতীয় দিন সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর রায়সাহেব বাজার পার হয়ে নয়াবাজার মোড়ের দিকে যেতেই পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আনুমানিক প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় বের হয়ে রায়সাহেব বাজার পার হয়ে নয়াবাজার মোড়ের দিকে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ ছাড়া প্রচুর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আন্দোলনকারী অন্য এক শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ জানান, নয়াবাজার মোড়ে প্রায় ৭টি টায়ারে আগুন ধরিয়ে রাস্তা বস্নক করে রাখে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা হলের দাবিতে সস্নোগান দেয়। এ সময় চারদিকে পুলিশ অবস্থান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিনিধি গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসতে। কিন্তু তারা রাস্তায় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। তারা তো শান্তিপূর্ণ মিছিল করলে পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ করত না।’ আপনার নির্দেশেই পুলিশ লাটিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছেথ শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা তো এখন কত কথাই বলবে। আমি হুকুম দেয়ার কেউ না, যা করার পুলিশই করেছে।’ এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও রোববার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সামনের সড়কে অবস্থান নেয় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। ওইদিনই ঘোষণা দেয় সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেবেন। গত ২ আগস্ট থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন নাজিম উদ্দিন রোডে পরিত্যক্ত কারাগারের জমিতে হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। জমি পেতে ২০১৪ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে আবেদন করেছিল। নতুন করে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়গাটির জন্য ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য মীজানুর রহমান।