ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ১২৪ বার পড়া হয়েছে

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতেই হবে
গতকাল দেশব্যাপী শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম। গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে বুধবার পর্যন্ত ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের সবারই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া উচিত। জানা যায়, বর্তমানে সরকারের হাতে মজুত আছে ৪৬ লাখ ৩১ হাজার ২৯৭ ডোজ টিকা। সেক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৬ ডোজ। এদিকে ভারত সরকার রপ্তানি স্থগিত করায় টিকা পাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এমন এক পরিস্থিতিতে দেশে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম। একইসঙ্গে প্রথম ডোজের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে সময়মতো টিকা না এলে প্রথম ডোজ নেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। কাজেই সময়মতো টিকা পাওয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জোর প্রয়াস চালাতে হবে। আরেকটি পথ হতে পারে বিকল্প উৎসের সন্ধান। জানা গেছে, সেই চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন, রাশিয়া ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা কেনার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কাজেই টিকা সংকট দেখা দেবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।
বিশ্বে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রথম দিকেই বাংলাদেশও এ কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে, এটি দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত স্বস্তির বিষয়। দেশে টিকা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বেশ সৃশৃঙ্খলভাবেই সম্পন্ন হচ্ছে। এ জন্য সরকার সাধুবাদ পেতে পারে। টিকা গ্রহণের ব্যাপারে প্রথমদিকে অনেকের মধ্যে কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব লক্ষ করা গেলেও পরবর্তী সময়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহই দেখা গেছে। যারা টিকা গ্রহণ করেছেন, তাদের পক্ষ থেকে খুব বেশি অভিযোগও আসেনি। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন মাত্র ৯৩৯ জন। করোনার টিকাদান কার্যক্রম নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব করোনা মহামারি মোকাবিলার প্রয়াসে এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। সারা বিশ্বের মানুষ প্রতীক্ষায় ছিল এ টিকার। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বকে রীতিমতো ওলটপালট করে দিয়েছে করোনা নামের ভাইরাস। এ মহামারিতে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ পড়েছে আর্থিক সংকটে। মৃত্যু, শোক আর সংকটের মধ্যে কাটিয়েছে মানুষ। এ প্রেক্ষাপটে জীবন ও জীবিকা দুটির সুরক্ষার জন্যই বড় প্রয়োজন ছিল করোনা টিকার। তবে টিকা নেওয়া মানেই করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা নয়। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণের পরও অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে টিকা গ্রহণের কারণে তাদের ক্ষতির তীব্রতা কম হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর মানুষের সংক্রমণ ও ক্ষতির আশঙ্কা আরও হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশে এখন চলছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। এর ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি টিকা নেওয়ার মাধ্যমেই করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত হতে পারে মানুষ। আমরা আশা করব, প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রমও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম

আপলোড টাইম : ১১:১৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতেই হবে
গতকাল দেশব্যাপী শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম। গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে বুধবার পর্যন্ত ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের সবারই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া উচিত। জানা যায়, বর্তমানে সরকারের হাতে মজুত আছে ৪৬ লাখ ৩১ হাজার ২৯৭ ডোজ টিকা। সেক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৬ ডোজ। এদিকে ভারত সরকার রপ্তানি স্থগিত করায় টিকা পাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এমন এক পরিস্থিতিতে দেশে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম। একইসঙ্গে প্রথম ডোজের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে সময়মতো টিকা না এলে প্রথম ডোজ নেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। কাজেই সময়মতো টিকা পাওয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জোর প্রয়াস চালাতে হবে। আরেকটি পথ হতে পারে বিকল্প উৎসের সন্ধান। জানা গেছে, সেই চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন, রাশিয়া ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা কেনার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কাজেই টিকা সংকট দেখা দেবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।
বিশ্বে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রথম দিকেই বাংলাদেশও এ কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে, এটি দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত স্বস্তির বিষয়। দেশে টিকা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বেশ সৃশৃঙ্খলভাবেই সম্পন্ন হচ্ছে। এ জন্য সরকার সাধুবাদ পেতে পারে। টিকা গ্রহণের ব্যাপারে প্রথমদিকে অনেকের মধ্যে কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব লক্ষ করা গেলেও পরবর্তী সময়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহই দেখা গেছে। যারা টিকা গ্রহণ করেছেন, তাদের পক্ষ থেকে খুব বেশি অভিযোগও আসেনি। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন মাত্র ৯৩৯ জন। করোনার টিকাদান কার্যক্রম নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব করোনা মহামারি মোকাবিলার প্রয়াসে এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। সারা বিশ্বের মানুষ প্রতীক্ষায় ছিল এ টিকার। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বকে রীতিমতো ওলটপালট করে দিয়েছে করোনা নামের ভাইরাস। এ মহামারিতে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ পড়েছে আর্থিক সংকটে। মৃত্যু, শোক আর সংকটের মধ্যে কাটিয়েছে মানুষ। এ প্রেক্ষাপটে জীবন ও জীবিকা দুটির সুরক্ষার জন্যই বড় প্রয়োজন ছিল করোনা টিকার। তবে টিকা নেওয়া মানেই করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা নয়। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণের পরও অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে টিকা গ্রহণের কারণে তাদের ক্ষতির তীব্রতা কম হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর মানুষের সংক্রমণ ও ক্ষতির আশঙ্কা আরও হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশে এখন চলছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। এর ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি টিকা নেওয়ার মাধ্যমেই করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত হতে পারে মানুষ। আমরা আশা করব, প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রমও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে।