দর্শনার কেরুজ জৈব সার কারখানায় সার উৎপাদন ও বিক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার এ সার ব্যবহার হচ্ছে কেরুজ বিভিন্ন ফার্মে : ভালো ফলাফলে আশাবাদী কৃষক
- আপলোড টাইম : ১২:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬
- / ৬২০ বার পড়া হয়েছে
আওয়াল হোসেন: দর্শনা কেরু জৈব্য সার কারখানা সরকারী অনুমোদন পেয়েছে। এখন থেকে কেরু জৈব্য সার কারখানার সার বিক্রয় ও উৎপাদনে বাাঁধা থাকবে না। গতকাল কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন এ খবর জানান। গত এক সপ্তাহ আগেই কেরু জৈব্য সার কারখানার অনুমোদন হয়েছে। তবে এখনো অনুমোদনের চিঠি হাতে এসে পৌছেনী। তবে অতি দ্রুত এ সার-কারখানার অনুমোদনের চিঠি পাবেন বলে তিনি জানান। কেরু জৈব্য সার কারখানাটি সরকারী অনুমোদন পাওয়ার পর জৈব্য সার বাজারে কৃষকদের নিকট বিক্রী ও উৎপাদন করার ক্ষেত্রে আর বাধাঁ থাকবে না। গত ২০১০ সালে কেরু চিনি কলের বর্জ দিয়ে এ জৈব্য সার উৎপাদনের লক্ষে এ সার কারখানার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১৪ সাল থেকে জৈব সার উৎপাদন শুরু করা হয় বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্লান্ট ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম টুটুল জানান। এছাড়া তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর এ সার কারখানা থেকে ৯ হাজার মেট্রিক টন সার উৎপাদন করা সম্ভব। তবে বর্তমানে উৎপাদিত সার রাখার মত প্রয়োজনীয় গোডাউন নেই। ফলে রাখার জায়গা না থাকা এবং এ উৎপাদিত সার বিক্রীর উপর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হবে। ২৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দিয়ে বর্তমানে কেরু এ জৈব সার কারখানা থেকে স্বল্প পরিমানে সার উৎপাদন করা হচ্ছে। যা কেরু বিভিন্ন ফর্মে আখ চাষের জমিতে দিয়ে আখ চাষ করা হচ্ছে। এতে অন্যান্য সারের তুলানায় ভালো ফালাফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এলাকার বেশ কিছু কৃষক সবজি চাষে এ সার ব্যাবহার করে ভালো ফলাফল পেয়েছে অনেকেই জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে বর্তমান সরকারের শিল্প মন্ত্রি আমির হোসেন আমু এ সার কারখানাটির উদ্বোধন করেন । জৈব সার কারখানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার জীবানু মুক্ত পানি ও বোতল তৈরীর কারখানা গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রির কাছে দাবী করেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্যকে একনেকের বৈঠকে এ দুটি কারখানা সম্পর্কে উৎথাপন করার জন্য হাজী আলী আজগার টগরকে আহবান জানান। এদিকে গত ২০ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পরেশনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসাইন কেরু চিনিকলের মার্কেট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেরু জৈব সার কারখানাটি সরকারী অনুমোদন পেয়েছে বলে জানান।