ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

মেহেরপুর শুকজান আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করে ক্যান্সারে আক্রান্ত : মউকের উদ্যোগে রাজশাহী ভর্তি : পা বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০১৭
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

বারাদী প্রতিনিধি: দেশে বর্তমানে ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করে নানা সমস্যায় পড়ছে সাধারন মানুষ। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে মেহেরপুর একটি আর্সেনিক কবলিত জেলা হিসাবে চিহ্নিত। মেহেরপুর জেলাধীন আমঝুপি ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের অবস্থা সবচেয়ে ভয়ানক। এই গ্রামে প্রতিটি বাড়ীর টিউবয়েলের পানিতে ৯৭% বিপদ সীমার উপরে আর্সেনিক রয়েছে। ইতিমধ্যে ঐ গ্রামে ৯ জন মানুষ ঐ নলকূপের পানি খেয়ে আর্সেনিকযুক্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বর্তমানে আলমপুরে ৪৬০ পরিবারের প্রায় ২১০০ নারী-পুরুষ ও শিশু আর্সেনিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, ইতিমধ্যে ৪৭৭ জন গায়ে আর্সেনিক রোগে আক্রান্ত। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সং¯’া গুলো নিরাপদ পানির কিছুটা ব্যব¯’া করলেও সেগুলো বর্তমানে রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে সচল নেই। সম্প্রতি মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক একটি বেসরকারী সং¯’া আলমপুর গ্রামে আর্সেনিক রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও নিরাপদ পানি সরবরাহ বিষয়ে উক্ত গ্রামে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এ সভায় পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ডঃ জে.টি.এ চৌধুরী তারিখ এ গ্রামের আর্সেনিক রোগীদের যন্ত্রনার কথা সরাসরি অনুধাবন করেন। একই সাথে আলমপুর গ্রামে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহযোগীতা দিতে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এর মাধ্যমে প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহন করেন। মউক নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম বলেন যে, এ গ্রামের হতদরিদ্র ও স্বামী পরিত্যাক্তা শুকজান বিবির শারিরীক অব¯’া ভালনা। তার ডান পায়ে আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে পচন ধরে দুর্গন্ধ হয়ে পড়েছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার দেওয়া বা দেখার কেউ নেই। তাই মউক এর উদ্যোগে শুকজান বিবিকে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এ সপ্তাহে তার পায়ে অস্ত্রপাচার করে পায়ের হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলা হবে বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়। এদিকে জনস্বা¯’্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে আলমপুর গ্রামে প্রায় ৪ শতাধীক মানুষ আর্সেনিক রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এখনই সরকারী বা বেসরকারী সং¯’ার মাধ্যমে টেকসই/¯’ায়ী নিরাপদ পানযোগ্য পানির ব্যব¯’া নিশ্চিত করে এগিয়ে না এলে এ গ্রামে প্রতিটি পরিবারে আর্সেনিক রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মেহেরপুর শুকজান আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করে ক্যান্সারে আক্রান্ত : মউকের উদ্যোগে রাজশাহী ভর্তি : পা বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত

আপলোড টাইম : ০৩:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০১৭

বারাদী প্রতিনিধি: দেশে বর্তমানে ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করে নানা সমস্যায় পড়ছে সাধারন মানুষ। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে মেহেরপুর একটি আর্সেনিক কবলিত জেলা হিসাবে চিহ্নিত। মেহেরপুর জেলাধীন আমঝুপি ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের অবস্থা সবচেয়ে ভয়ানক। এই গ্রামে প্রতিটি বাড়ীর টিউবয়েলের পানিতে ৯৭% বিপদ সীমার উপরে আর্সেনিক রয়েছে। ইতিমধ্যে ঐ গ্রামে ৯ জন মানুষ ঐ নলকূপের পানি খেয়ে আর্সেনিকযুক্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বর্তমানে আলমপুরে ৪৬০ পরিবারের প্রায় ২১০০ নারী-পুরুষ ও শিশু আর্সেনিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, ইতিমধ্যে ৪৭৭ জন গায়ে আর্সেনিক রোগে আক্রান্ত। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সং¯’া গুলো নিরাপদ পানির কিছুটা ব্যব¯’া করলেও সেগুলো বর্তমানে রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে সচল নেই। সম্প্রতি মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক একটি বেসরকারী সং¯’া আলমপুর গ্রামে আর্সেনিক রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও নিরাপদ পানি সরবরাহ বিষয়ে উক্ত গ্রামে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এ সভায় পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ডঃ জে.টি.এ চৌধুরী তারিখ এ গ্রামের আর্সেনিক রোগীদের যন্ত্রনার কথা সরাসরি অনুধাবন করেন। একই সাথে আলমপুর গ্রামে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহযোগীতা দিতে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এর মাধ্যমে প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহন করেন। মউক নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম বলেন যে, এ গ্রামের হতদরিদ্র ও স্বামী পরিত্যাক্তা শুকজান বিবির শারিরীক অব¯’া ভালনা। তার ডান পায়ে আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে পচন ধরে দুর্গন্ধ হয়ে পড়েছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার দেওয়া বা দেখার কেউ নেই। তাই মউক এর উদ্যোগে শুকজান বিবিকে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এ সপ্তাহে তার পায়ে অস্ত্রপাচার করে পায়ের হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলা হবে বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়। এদিকে জনস্বা¯’্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে আলমপুর গ্রামে প্রায় ৪ শতাধীক মানুষ আর্সেনিক রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এখনই সরকারী বা বেসরকারী সং¯’ার মাধ্যমে টেকসই/¯’ায়ী নিরাপদ পানযোগ্য পানির ব্যব¯’া নিশ্চিত করে এগিয়ে না এলে এ গ্রামে প্রতিটি পরিবারে আর্সেনিক রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে।