ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগর বেনীপুর সরকারী বাওড়ে হরিলুট : প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাওড়ে মাছ ধরা বন্ধ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:১৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস: জীবননগর বেনীপুর সরকারী বাওড়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বাওড়ের মাছ হরিলুট অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাওড়ে মাছ ধরা বন্ধ। জানা গেছে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর বাওড়ে মাছ ধরা সরকারীভাবে নিষেধাক্ষা থাকা সত্বেও ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বেনীপুর বাওড়ের সাবেক সভাপতি মজিবার ও সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন তাদের দলবল নিয়ে বেনীপুর বাওড় থেকে ৪০মন মাছ জোরপূর্বকভাবে ধরার কথা শুনে ঘটনাস্থলে যান জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা। এ সময় তিনি বাওড়ের দখলদারদের কাছে কাগজ দেখতে চাইলে কোন কাগজ দেখাতে না পারায় মাছ ধরতে নিষেধ করেন এবং যে মাছগুলো বিক্রি করেছেন তার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলেন। এছাড়া পুনরায় কোর্টের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাওড়ে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। এ ব্যাপারে মজিবারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাওড় নিয়ে কোর্টে একটি মামলা চলছে সেই মামলায় আমাদের পক্ষে রায় হয়েছে। রায় পেয়ে আমরা মাছ ধরি। ইউএনও স্যারকে কোর্টের কাগজ দেখালেও তিনি তা মানতে রাজি নয়। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার সাথে কথা বললে তিনি বলেন পহেলা বৈশাখে বাওড়টির মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে লিজ দেওয়া হয়নি। যার কারনে বাওড়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ বন্ধ। এদিকে মজিবার ও তার দলবলের এহন কান্ড দেখে এলাকার সাধারন মানুষ হতবাক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগর বেনীপুর সরকারী বাওড়ে হরিলুট : প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাওড়ে মাছ ধরা বন্ধ

আপলোড টাইম : ০৬:১৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

জীবননগর অফিস: জীবননগর বেনীপুর সরকারী বাওড়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বাওড়ের মাছ হরিলুট অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাওড়ে মাছ ধরা বন্ধ। জানা গেছে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর বাওড়ে মাছ ধরা সরকারীভাবে নিষেধাক্ষা থাকা সত্বেও ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বেনীপুর বাওড়ের সাবেক সভাপতি মজিবার ও সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন তাদের দলবল নিয়ে বেনীপুর বাওড় থেকে ৪০মন মাছ জোরপূর্বকভাবে ধরার কথা শুনে ঘটনাস্থলে যান জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা। এ সময় তিনি বাওড়ের দখলদারদের কাছে কাগজ দেখতে চাইলে কোন কাগজ দেখাতে না পারায় মাছ ধরতে নিষেধ করেন এবং যে মাছগুলো বিক্রি করেছেন তার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলেন। এছাড়া পুনরায় কোর্টের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাওড়ে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। এ ব্যাপারে মজিবারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাওড় নিয়ে কোর্টে একটি মামলা চলছে সেই মামলায় আমাদের পক্ষে রায় হয়েছে। রায় পেয়ে আমরা মাছ ধরি। ইউএনও স্যারকে কোর্টের কাগজ দেখালেও তিনি তা মানতে রাজি নয়। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার সাথে কথা বললে তিনি বলেন পহেলা বৈশাখে বাওড়টির মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে লিজ দেওয়া হয়নি। যার কারনে বাওড়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ বন্ধ। এদিকে মজিবার ও তার দলবলের এহন কান্ড দেখে এলাকার সাধারন মানুষ হতবাক।