ধর্ষণে শিশু অন্তঃসত্ত্বা, পাঁচজনের নামে মামলা
- আপলোড টাইম : ০৯:১৭:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস:
জোরপূর্বক ধর্ষণে শৈলকুপায় ১৩ বছরের এক শিশু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বগুড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে একই গ্রামের পাঁচজনকে আসামি করে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য শৈলকুপা থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন বলে জানান মামলার আইনজীবী।
নির্যাতিত শিশুটির মা রুপসী খাতুন বলেন, তাঁর প্রতিবেশী সামায়ত মোল্যার ছেলে মিলন মোল্যা (৩৫) তাঁর বাড়ির পাশের একটি জমি লিজ নিয়ে ঘাষের চাষ করেন। এ জমি দেখাশোনা করতে এসে তিনি প্রায়ই তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করেন। গত ৫ এপ্রিল লিজ নেওয়া জমি দেখার উদ্দেশ্যে তাঁর বাড়িতে এসে লম্পট মিলন মোল্লা মেয়েকে একা পেয়ে জোরপূর্বক তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর তিনি সবাইকে এ ঘটনা জানাতে চাইলে তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চলে যায়। পরে তাঁর শিশুকন্যা অসুস্থ হলে গত ৮ সেপ্টেম্বর শৈলকুপার কবিরপুর খন্দকার ডায়গনস্টিক সেন্টারে ডা. পারভেজ হাসানের তত্বাবধানে চিকিৎসা নেন ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান, মেয়েটি ৬ সপ্তাহ ৫ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনার পর মেয়েটি জানায় তার প্রতিবেশী মিলন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষক মিলনকে সহযোগীতা করে একই গ্রামের আনোয়ার চৌধুরীর ছেলে বিপ্লব, আইয়ুব মুন্সীর ছেলে ফরিদ মুন্সী, মৃত ছামাদ শেখের ছেলে আলী শেখ ও কুদ্দুস মিয়ার ছেলে কাশেম।
এদিকে, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় গত রোববার ধর্ষক মিলনসহ পাঁচজনকে আসামি করে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। বাদীর আইনজীবী সামছুজ্জামান তুহিন জানান, গত ১৩ তারিখ রোববার শৈলকুপার বগুড়া গ্রামের রুপসী খাতুন তাঁর শিশুকন্যা ধর্ষিত হওয়ার পর অবৈধ গর্ভধারণের ডাক্তারি পরীক্ষার সকল প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। তিনি বলেন, বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক শৈলকুপা থানাকে ৫ অভিযুক্তর নামে মামলা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। এদিকে মিলনের মা আকলিমা জানান, যড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁর সন্তানকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডিএনএ টেস্টে করলেই প্রকৃত আসামি শনাক্ত করা যাবে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শৈলকুপার বগুড়া গ্রামের শিশু ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বার ঘটনার মামলা দায়েরের বিজ্ঞ আদালতের কোনো আদেশ তাঁদের কাছে এখনো আসেনি। আদেশ আসলেই দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।