চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ অনিয়মে অভিযোগ তদন্তে উপ-সচিব মিজানুর রহমান
- আপলোড টাইম : ১২:০২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০১৬
- / ১৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মচারী নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের আরজিনা খাতুন এই অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার বিষয়টি তদন্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মিজানুর রহমান। তদন্তকালীন তদন্ত কর্মকর্তার নিকট উপ-পরিচালক রেজাউল করিম ও অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্ত আরজিনা খাতুন পৃথকভাবে তাদের লিখিত বক্তব্য পেশ করেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিলে চুয়াডাঙ্গা সদরের বোয়ালমারী গ্রামের আরজিনা খাতুন নামের একজন প্রার্থী আয়া পদে নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও চুড়ান্ত নির্বাচনে বাদ পড়ায় তিনি অভিযোগ করলে এই তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগকারী আরজিনা খাতুন তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে শূণ্য পদে একজন আয়া নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালের ২৫জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে তিনি ওই বিজ্ঞপ্তি মারফত অবহিত হয়ে এই পদের জন্য আবেদনশেষে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন এবং ২০১৫ সালের ৪মে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ওই পদের ৪জন প্রার্থীর মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পান। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ফল চুড়ান্ত করে তার রোল নম্বর গত ১৬মে চুয়াডাঙ্গা উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে প্রেরণ করে। যা ১৭মে নোটিশ বোর্ড ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশের কথা থাকলেও সেটা না করে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক রেজাউল হক ফল হাতে পাবার ২১ দিন পর তা প্রকাশ করেন। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় সেখানে চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে তালিকায় অন্য রোল নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। এই রোল নম্বরধারী প্রার্থী সবচেয়ে কম নম্বর পেলেও আনসার- ভিডিপি কোটায় তাকে চুড়ান্ত করা হয়। আরজিনা খাতুন তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন একটি মাত্র শূণ্য পদের বিপরীতে এই নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটায় কোন প্রার্থী ছিলেন না। বিধি মোতাবেক ১০ শতাংশ আনসার- ভিডিপি কোটা সংরক্ষিত থাকলেও হিসাব অনুসারে একটি পদের বিপরীতে শূণ্য দশমিক ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকার কথা। তাই এই কোটাতেও কারও নিয়োগের কোন সুযোগ নেই। বিধায়, সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে তারই নিয়োগ পাওয়া উচিৎ ছিল। উল্লেখ্য, এই নিয়োগের বিরুদ্ধে আরজিনা খাতুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ব্রজগোপাল ভৌমিক ইতোপূর্বে গত ১৩ জুলাই একদফা তদন্ত করে গেছেন।