এবার ‘জন প্রশাসন সনদ’ পেলেন মুজিবনগর কৃষি অফিসার মুহ. মোফাক্খারুল ইসলাম
- আপলোড টাইম : ১১:৫১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০১৬
- / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
শের খান মেহেরপুর মুজিবনগর থেকে: প্রধানমন্ত্রির কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের আওতায় মাঠ পর্যায়ে নাগরিক সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এবার “জন প্রশাসন সনদ” পেলেন মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মুহ: মোফাক্খারুল ইসলাম। মুজিবনগর উপজেলায় “নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদন উৎসাহিতকরণ” শীর্ষক উদ্ভাবনী প্রকল্প পাইলটিং এর জন্য তিনি এ সম্মান অর্জন করেছেন। এর আগে তিনি ২০১৫ সালে মেহেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ সরকারী কর্মকর্তা এবং ২০১৬ সালে দৈনন্দিন সেবা প্রদান ক্যাটাগরিতে খুলনা বিভাগে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার পুরষ্কার পেয়েছিলেন। জানা গেছে সরকারী সেবাকে সহজিকরন এবং সেবাকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রির কার্যালয় থেকে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য এবছরই প্রথম জন প্রশাসন পদক এবং জন প্রশাসন সনদ প্রদান শুরু হয়েছে। কৃষি অফিসার মুহঃ মোফাক্খারুল ইসলাম প্রথম বছরেই মেহেরপুর জেলা থেকে এ সম্মানজনক সনদ পেয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে জেনেটিক্স এন্ড প্ল্যান্ট ব্রীডিং এ মাষ্টার্স করা এ মেধাবী কর্মকর্তা তাঁর শিক্ষা জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রথম বিভাগ/ শ্রেনীতে উর্ত্তীণ হয়ে ২৫তম বি সি এস এর মাধ্যমে ২০০৬ সালে সরকারী চাকুরিতে যোগ দেন। ২০১২ সাল থেকে তিনি মুজিবনগর উপজেলায় কৃষি অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকে এ অঞ্চলে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মুজিবনগর উপজেলার মাটি ফল ও সবজি চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়া প্রচুর পরিমানে সবজি ও ফল উৎপাদিত হয় কিন্তু বিষাক্ত কীটনাশকের ব্যবহারের কারনে এ সব সবজি ও ফল মানব স্বাস্থের জন্য ছিল হুমকিস্বরূপ। বিষয়টিকে বিবেচনা করে জনাব মুহঃ মোফাক্খারুল ইসলাম “স্বাস্থ্য সম্মত নিরাপদ সবজি ও ফল” উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহী করার লক্ষ্যে নিজ খরচে বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা, কৃষক প্রশিক্ষণ, উপকরণ সহজলভ্যকরণ, প্রদর্শনী স্থাপন, মাঠ দিবসের আয়োজন ইত্যাদিভাবে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এর ফলে ইতিমধ্যে মুজিবনগরের কৃষিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মুজিবনগরের মাঠে মাঠে নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদনে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে। মোফাক্খারুল ইসলাম জানান, নিরাপদ ফসল উৎপাদনের এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে যেমন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে তেমনি অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় থাকবে।