ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করা পাপের কাজ
- আপলোড টাইম : ০৪:২৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭
- / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: ঋণ বা কর্জ মানুষের তথা সমাজের একটি প্রয়োজনীয় লেনদেন। সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তি জীবনযাপন করার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো সময় ঋণ নেয়ার কিংবা অন্যকে দেয়ার সম্মুখীন হতে হয়। ঋণ প্রদান একটি নেকির কাজ, যার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে। এর মাধ্যমে লোকের সাহায্য করা হয়, তাদের প্রতি দয়া করা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা হ্রাস করা হয় কিংবা সমাধান করা হয়। নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলিম ব্যক্তির দুনিয়াবী বিপদ দূর করবে, আল্লাহতায়ালা তার আখেরাতের বিপদ দূর করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর কষ্ট সহজ করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখেরাতে সহজ করবেন। আল্লাহ বান্দার সাহায্য করেন যতক্ষণে বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করে -সহিহ মুসলিম। ইসলামে ঋণের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষকে সাহায্য করা, তাদের প্রতি দয়া করা তথা তাদের জীবনযাপনে সহযোগিতা করা, সহযোগিতার আড়ালে সুবিধা অর্জন নয়। তাই বলা হয়েছে, ঋণের উদ্দেশ্য হবে আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি-বাহ্যিক বৃদ্ধি নয়। আর তা হচ্ছে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। এই কারণে ঋণ গ্রহীতা ঋণ ফেরত দেয়ার সময় যা নিয়েছে তা কিংবা সেই অনুরূপ ফেরত দিতে আদিষ্ট, অতিরিক্ত নয়। ঋণ দাতা এর অতিরিক্ত নিলে কিংবা ঋণ গ্রহীতা অতিরিক্ত ফেরত দিলে, তা সুদ বলে গণ্য হবে। ঋণ দাতা যখন মানুষের উপকারার্থে ঋণ প্রদান করে, তখন ঋণ গ্রহীতার দীনি ও নৈতিক দায়িত্ব হবে তা যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেয়া। যদি এরকম না করে টাল-বাহানা শুরু করে, মিথ্যা ওজর পেশ করতে থাকে, তাহলেই আপসে মিল-মুহব্বত ও ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়, শত্রুতা বৃদ্ধি পায় এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। এছাড়া ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করা পাপের কাজ। এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করল এমতাবস্থায় যে, সে তিনটি স্বভাব থেকে মুক্ত ছিল, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে- অহংকার, গনিমতের সম্পদ হতে চুরি এবং ঋণ -ইবনে মাজাহ। ঋণ মানুষের হক-পাওনা, তা পূরণের পূর্বে মৃত্যুবরণ করা মানে মানুষের হক নিজ স্কন্ধে থেকে যাওয়া, যা বড় অপরাধ। তবে হ্যাঁ, সমাজে এমন লোকও রয়েছে যারা নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম। এমন ব্যক্তিকে ইসলাম অতিরিক্ত সময় দিতে উদ্বুদ্ধ করে।