ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

দু’দিন পর আন্দোলন স্থগিত : চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়তে বেচাকেনা শুরু : ন্যায্যমূল্যে বিক্রি ও ট’বাজার বসানোর সিদ্ধান্ত : দু’দিন পর চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়তে বেচাকেনা শুরু : ন্যায্যমূল্যে বিক্রি ও ট’বাজার বসানোর সিদ্ধান্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭
  • / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ক্ষুদ্রব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ কেউ শহরের মৎস্যব্যবসায়ীদের কাছে থেকে মাছ না কিনে আলমডাঙ্গা ও সরোজগঞ্জ থেকে মাছ কিনে বিক্রি করেছে। এদিকে, আন্দোলনকারী ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই চুয়াডাঙ্গার মৎস্য আড়তদারদের কাছ থেকে মাছ কিনে বিক্রি করেছেন। অপরদিকে, মাছপট্টিতে ন্যায্যমূল্যে খুচরা মাছ বিক্রি ও ভোক্তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ট’ বাজার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি। এছাড়াও আগামীতে সকল আড়ত মালিকদের নিয়ে জেলা কমিটি গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়। গতকাল চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়ত সহ বিভিন্ন বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মাছ কেনা-বেচা করেছে। প্রসাশনের কড়া নজরদারি থাকায় দুরদুরান্ত থেকে আসা ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীরা আগের মতোই মাছ কিনতে আসছে আড়তে। গতপরশু মাইকিং করার পর সাধারণ ক্রেতাদের সতস্ফুর্তভাবে মাছ কিনতে দেখা যায়। সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের কাছে মাছ বিক্রি করেছে আড়তদাররা এবং এ সিদ্ধান্ত নেয় মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি। আন্দোলনকারি ক্ষুদ্র মাছ ব্যাবসায়ীদের মধ্যে অনেককেই দেখা গেছে মাছের আড়তে মাছ কিনতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা জানান, আন্দোলন করে দুই দিন বসে ছিলাম, সংসার চালাতে হবে, তাই বাধ্য হয়েই মাছ কিনতে আসতে হলো আড়তে। মাছের আমদানি কম থাকার কারনে অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন আন্দোলন চলার কারনে অনেকে মাছ আনতে সাহস পায়নি। তবে গতকাল (আজ) থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের সাথে বিল ও পুকুর মালিকদের কথা হয়েছে, তারা আগের মতোই মাছ দেয়া শুরু করবে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান,  সম্পাদক ইমদাদুল হক, কার্পাসডাঙ্গা মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন, সম্পাদক সঞ্জয় হালদার, ডিঙ্গেদহ মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি ধীরেন হালদার, সম্পাদক মোতালেব হোসেন, সরোজগঞ্জ মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি বজলুর রহমান, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দর্শনা মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সম্পাদক জিল্লুর রহমান, আন্দুলবাড়িয়া মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি চন্ডী হালদার, সম্পাদক হাসান, জীবননগর মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম প্রমুখ। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ ফিস ট্রেডিং এজেন্সির সদস্য ওহিদুল ইসলাম। গতকাল সন্ধ্যায় জরুরি আলোচনায় বসে এবং ক্ষুদ্র মাছ ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি কেজিতে ১টাকা কমিশন নেয়ার ঘোষণা দেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেল বাজারের সকল ক্ষ্দ্রু মাছ ব্যাবসায়ীরা মাছের আড়তে আসে এবং কেজি প্রতি ১টাকা কমিশন দিতে রাজি হয়। উল্লেখ্য, গত ২০ তারিখে চুয়াডাঙ্গা মৎস আড়তদার মালিক সমিতি ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে  কেজি প্রতি ১ টাকা হারে কমিশন নিলে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা আন্দোলনের কর্মসুচির ঘোষণা দেয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দু’দিন পর আন্দোলন স্থগিত : চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়তে বেচাকেনা শুরু : ন্যায্যমূল্যে বিক্রি ও ট’বাজার বসানোর সিদ্ধান্ত : দু’দিন পর চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়তে বেচাকেনা শুরু : ন্যায্যমূল্যে বিক্রি ও ট’বাজার বসানোর সিদ্ধান্ত

আপলোড টাইম : ০৪:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ক্ষুদ্রব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ কেউ শহরের মৎস্যব্যবসায়ীদের কাছে থেকে মাছ না কিনে আলমডাঙ্গা ও সরোজগঞ্জ থেকে মাছ কিনে বিক্রি করেছে। এদিকে, আন্দোলনকারী ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই চুয়াডাঙ্গার মৎস্য আড়তদারদের কাছ থেকে মাছ কিনে বিক্রি করেছেন। অপরদিকে, মাছপট্টিতে ন্যায্যমূল্যে খুচরা মাছ বিক্রি ও ভোক্তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ট’ বাজার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি। এছাড়াও আগামীতে সকল আড়ত মালিকদের নিয়ে জেলা কমিটি গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়। গতকাল চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়ত সহ বিভিন্ন বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মাছ কেনা-বেচা করেছে। প্রসাশনের কড়া নজরদারি থাকায় দুরদুরান্ত থেকে আসা ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীরা আগের মতোই মাছ কিনতে আসছে আড়তে। গতপরশু মাইকিং করার পর সাধারণ ক্রেতাদের সতস্ফুর্তভাবে মাছ কিনতে দেখা যায়। সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের কাছে মাছ বিক্রি করেছে আড়তদাররা এবং এ সিদ্ধান্ত নেয় মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি। আন্দোলনকারি ক্ষুদ্র মাছ ব্যাবসায়ীদের মধ্যে অনেককেই দেখা গেছে মাছের আড়তে মাছ কিনতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা জানান, আন্দোলন করে দুই দিন বসে ছিলাম, সংসার চালাতে হবে, তাই বাধ্য হয়েই মাছ কিনতে আসতে হলো আড়তে। মাছের আমদানি কম থাকার কারনে অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন আন্দোলন চলার কারনে অনেকে মাছ আনতে সাহস পায়নি। তবে গতকাল (আজ) থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের সাথে বিল ও পুকুর মালিকদের কথা হয়েছে, তারা আগের মতোই মাছ দেয়া শুরু করবে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান,  সম্পাদক ইমদাদুল হক, কার্পাসডাঙ্গা মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন, সম্পাদক সঞ্জয় হালদার, ডিঙ্গেদহ মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি ধীরেন হালদার, সম্পাদক মোতালেব হোসেন, সরোজগঞ্জ মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি বজলুর রহমান, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দর্শনা মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সম্পাদক জিল্লুর রহমান, আন্দুলবাড়িয়া মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি চন্ডী হালদার, সম্পাদক হাসান, জীবননগর মৎস্যআড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম প্রমুখ। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ ফিস ট্রেডিং এজেন্সির সদস্য ওহিদুল ইসলাম। গতকাল সন্ধ্যায় জরুরি আলোচনায় বসে এবং ক্ষুদ্র মাছ ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি কেজিতে ১টাকা কমিশন নেয়ার ঘোষণা দেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেল বাজারের সকল ক্ষ্দ্রু মাছ ব্যাবসায়ীরা মাছের আড়তে আসে এবং কেজি প্রতি ১টাকা কমিশন দিতে রাজি হয়। উল্লেখ্য, গত ২০ তারিখে চুয়াডাঙ্গা মৎস আড়তদার মালিক সমিতি ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে  কেজি প্রতি ১ টাকা হারে কমিশন নিলে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা আন্দোলনের কর্মসুচির ঘোষণা দেয়।