ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আর কত বড় দূর্ঘটনা হলে চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠের ড্রেনটি নির্মাণ সম্পন্ন হবে:আবারও দূর্ঘটনা জলবদ্ধতার আশঙ্কা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আর কত বড় দূর্ঘটনা ঘটলে তারপর চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠের ড্রেনটি নির্মাণ করা হবে। নাকি আরো রক্ত ঝরাতে হবে খেলোয়াড়সহ অন্যান্যদের। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আগামী মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুয়াডাঙ্গা সফরে আসবেন। জনসভা হতে পারে চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠে। তাহলে কি চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে চুয়াডাঙ্গা উন্নয়নের হাল চিত্র! এর জন্য দায়ী কে? বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় টাউন ফুটবল মাঠের পাশের বান্দিরা কার দরজায় গেলে এর সমাধান মিলবে সেটিও ভেবে পাচ্ছেন না তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠে দু-দল খেলোয়াড়দের ক্রিকেট খেলা চলাকালীন সময়ে তমাল নামে একজন ক্রিকেটার ফিল্ডিং করতে গিয়ে অরক্ষিত আধানির্মিত রডের আঘাতে তার শরীর ও মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে তার মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে ৫টি। বুকে ও পেটে রডের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয় এ ক্রিকেটারের। অল্পের জন্য তার চোখটি রক্ষা পেয়েছে বড় ধরণের ক্ষতি থেকে। এলাকাবাসী ও টাউনমাঠে যারা খেলাধুলা করেন তাদের দাবী, হয় ড্রেনটি পুরোপুরি নির্মাণ করা হোক, নইলে নির্মানাধীন কাজের রড উৎপাটন করা হোক। বর্ষাকালে পানি বন্দি এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিবছর বর্ষা এলে শ্যালোমেশিন দিয়ে বাড়ির পানি সেচে বের করতে হয়। ড্রেনটি নির্মাণ হলে এ জলাবদ্ধতা থেকে তো বাঁচতে পারতাম। আবার একজন ব্যক্তি বলেন, যে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে তা প্রধান সড়কের পাশের ড্রেন থেকে নিচু। তাই বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় ভুগতে হবে সকলকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো এক ব্যক্তি বললেন, ড্রেন যারা নির্মাণ করছে তারা নিশ্চয় ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে মাপ-যোক করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেই ড্রেন নির্মাণ করছেন। তাছাড়া আরামপাড়ার মধ্যদিয়ে কবরী রোড হয়ে সরকারী কলেজ সড়কে যে ড্রেন আছে সেই ড্রেনের সঙ্গে লেবেল রেখেই নাকি ড্রেনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। খেলায়োড়সহ এলাকার ভুক্তভোগী মানুষগুলোর দাবী এ অনাকাংক্ষিত দূর্ঘটনা ও জলাবদ্ধতা থেকে আমরা বাঁচতে চাই। এ ব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটি আশা ভুক্তভোগী খেলোয়াড় ও এলাকাবাসীর।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আর কত বড় দূর্ঘটনা হলে চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠের ড্রেনটি নির্মাণ সম্পন্ন হবে:আবারও দূর্ঘটনা জলবদ্ধতার আশঙ্কা

আপলোড টাইম : ০৪:১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: আর কত বড় দূর্ঘটনা ঘটলে তারপর চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠের ড্রেনটি নির্মাণ করা হবে। নাকি আরো রক্ত ঝরাতে হবে খেলোয়াড়সহ অন্যান্যদের। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আগামী মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুয়াডাঙ্গা সফরে আসবেন। জনসভা হতে পারে চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠে। তাহলে কি চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে চুয়াডাঙ্গা উন্নয়নের হাল চিত্র! এর জন্য দায়ী কে? বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় টাউন ফুটবল মাঠের পাশের বান্দিরা কার দরজায় গেলে এর সমাধান মিলবে সেটিও ভেবে পাচ্ছেন না তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠে দু-দল খেলোয়াড়দের ক্রিকেট খেলা চলাকালীন সময়ে তমাল নামে একজন ক্রিকেটার ফিল্ডিং করতে গিয়ে অরক্ষিত আধানির্মিত রডের আঘাতে তার শরীর ও মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে তার মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে ৫টি। বুকে ও পেটে রডের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয় এ ক্রিকেটারের। অল্পের জন্য তার চোখটি রক্ষা পেয়েছে বড় ধরণের ক্ষতি থেকে। এলাকাবাসী ও টাউনমাঠে যারা খেলাধুলা করেন তাদের দাবী, হয় ড্রেনটি পুরোপুরি নির্মাণ করা হোক, নইলে নির্মানাধীন কাজের রড উৎপাটন করা হোক। বর্ষাকালে পানি বন্দি এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিবছর বর্ষা এলে শ্যালোমেশিন দিয়ে বাড়ির পানি সেচে বের করতে হয়। ড্রেনটি নির্মাণ হলে এ জলাবদ্ধতা থেকে তো বাঁচতে পারতাম। আবার একজন ব্যক্তি বলেন, যে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে তা প্রধান সড়কের পাশের ড্রেন থেকে নিচু। তাই বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় ভুগতে হবে সকলকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো এক ব্যক্তি বললেন, ড্রেন যারা নির্মাণ করছে তারা নিশ্চয় ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে মাপ-যোক করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেই ড্রেন নির্মাণ করছেন। তাছাড়া আরামপাড়ার মধ্যদিয়ে কবরী রোড হয়ে সরকারী কলেজ সড়কে যে ড্রেন আছে সেই ড্রেনের সঙ্গে লেবেল রেখেই নাকি ড্রেনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। খেলায়োড়সহ এলাকার ভুক্তভোগী মানুষগুলোর দাবী এ অনাকাংক্ষিত দূর্ঘটনা ও জলাবদ্ধতা থেকে আমরা বাঁচতে চাই। এ ব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটি আশা ভুক্তভোগী খেলোয়াড় ও এলাকাবাসীর।