চুয়াডাঙ্গার ঘোড়ামারা ব্রীজের অদূরে গণডাকাতির ২৪ ঘন্টার পার হতে না হতেই দামুড়হুদায় ডাকাতদলের তা-ব গরুব্যবসায়ীকে পিটিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা ও মোবাইলফোন লুট : আহত ২
- আপলোড টাইম : ০৫:৩৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭
- / ২৯৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক/দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গায় আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঘোড়ামারা ব্রীজের অদূরে সড়কে গাছ ফেলে বেশকয়েকটি যানবাহনে গণডাকাতির ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুই গরুব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম করে নগদ প্রায় দুই লাখ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতদল। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা-আমতলা সড়কে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় দুই গরুব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম করে ডাকাতদল। ডাকাতির ঘটনাটি দামুড়হুদা থানা এলাকায় ঘটেছে বলে হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ জানালেও, তা অস্বীকার করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা-আমতলা সড়কে তা-ব চালিয়ে দুই গরুব্যবসায়ীকে পিটিয়ে নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতদল। দামুড়হুদার ডুগডুগি পশুহাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারের হাতেমের ছেলে গরুব্যবসায়ী জসিম (৩৬) এবং শঙ্করচন্দ্র গ্রামের শুকুরের ছেলে শাহাবুদ্দীন (৪০)। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আলমসাধুযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে দুধপাতিলা-আমতলা সড়কের বোরিং মাঠের চৌরাস্তা নামক স্থানে পৌছূলে ১০/১২ জন ডাকাত তাদের আলমসাধুর গতিরোধ করে। এসময় জসিম, শাহাবুদ্দীন ও চালক শরিফুলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, দুইটি মোবাইলফোন ও চালক শরিফুলের কাছ থেকে ৭শ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরুব্যবসায়ীদের ছেড়ে মালামাল লুট করে নিয়ে পাশের ফসলি জমির মধ্য দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এএসআই শফিকুর রহমান শফি জানান, ডাকাতির খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সেখানে পৌছূনোর আগেই মোটরসাইকেলের হেডলাইটের আলো দেখে দুই গরুব্যবসায়ীকে ছেড়ে নগদ টাকাসহ তাদের কাছে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। ডাকাতির ঘটনাটি দামুড়হুদা থানা এলাকায় হওয়ায় তাদেরকে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, ঘটনাটি সত্য নয়, দামুড়হুদা থানা এলাকায় কোন ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। তবে দামুড়হুদা থানা এলাকার মধ্যে এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। যেহেতু ওই স্থানটি একটি সীমান্ত এলাকা, সেহেতু চুয়াডাঙ্গা সদরের একটি অংশে এ ঘটনা ঘটতে পারে।