ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আলমডাঙ্গায় শিক্ষিকার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ, নৈশপ্রহরীকে প্রহার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৬:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গায় শিক্ষিকার সাথে অশ্লীল আচরণের অভিযোগে নৈশপ্রহরীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর নাম শাহেদ আলী ওরফে মন্টু (৫২)। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষিকা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মন্টু কয়েক সন্তানের জনক। তিনি বহু অপকর্মের নায়ক বলে এলাকায়  অভিযোগ রয়েছে। যৌন হয়রানীর অভিযোগে ইতোপূর্বে তাকে একাধিকবার উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয় বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ইতোপূর্বে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার ৬ মাসের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা হয়। জানা যায়, গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষিকা মুসলিমা খাতুন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন যে, নৈশপ্রহরী মন্টু তাকে একা পেলেই যৌন হয়রানি করে। এমনকি শরীর স্পর্শ করার অপচেষ্টা করে। তিনি বলেন, গত শনিবার নৈশপ্রহরী তার সাথে একবার এমন আচরণ করেছেন। পরে বিদ্যালয় ছুটি হলে বিকেলে নৈশপ্রহরী ওই শিক্ষিকার বাড়িতে যায়। সে সময় শিক্ষিকা নৈশপ্রহরীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। তিনি নৈশপ্রহরির অত্যাচারে অতিষ্ঠ বলে উল্লেখ করেন। শিক্ষিকার এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বিদ্যালয়ে জরুরি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মিটিংয়ে কয়েকজন শিক্ষক নৈশপ্রহরী মন্টুকে ধরে পেটায় এবং শিক্ষিকাকে থানায় অভিযোগ করতে পরামর্শ দেয়। গতকাল যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষিকা আলমডাঙ্গা থানায় এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী মন্টু মামলা থেকে বাঁচতে গতকাল চুয়াডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গায় শিক্ষিকার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ, নৈশপ্রহরীকে প্রহার

আপলোড টাইম : ০৫:২৬:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গায় শিক্ষিকার সাথে অশ্লীল আচরণের অভিযোগে নৈশপ্রহরীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর নাম শাহেদ আলী ওরফে মন্টু (৫২)। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষিকা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মন্টু কয়েক সন্তানের জনক। তিনি বহু অপকর্মের নায়ক বলে এলাকায়  অভিযোগ রয়েছে। যৌন হয়রানীর অভিযোগে ইতোপূর্বে তাকে একাধিকবার উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয় বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ইতোপূর্বে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার ৬ মাসের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা হয়। জানা যায়, গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষিকা মুসলিমা খাতুন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন যে, নৈশপ্রহরী মন্টু তাকে একা পেলেই যৌন হয়রানি করে। এমনকি শরীর স্পর্শ করার অপচেষ্টা করে। তিনি বলেন, গত শনিবার নৈশপ্রহরী তার সাথে একবার এমন আচরণ করেছেন। পরে বিদ্যালয় ছুটি হলে বিকেলে নৈশপ্রহরী ওই শিক্ষিকার বাড়িতে যায়। সে সময় শিক্ষিকা নৈশপ্রহরীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। তিনি নৈশপ্রহরির অত্যাচারে অতিষ্ঠ বলে উল্লেখ করেন। শিক্ষিকার এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বিদ্যালয়ে জরুরি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মিটিংয়ে কয়েকজন শিক্ষক নৈশপ্রহরী মন্টুকে ধরে পেটায় এবং শিক্ষিকাকে থানায় অভিযোগ করতে পরামর্শ দেয়। গতকাল যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষিকা আলমডাঙ্গা থানায় এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী মন্টু মামলা থেকে বাঁচতে গতকাল চুয়াডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।