দামুড়হুদা হঠাৎপাড়ার স্কুলছাত্র অমি নিখোঁজের ১ মাস পর অপহরণকারীদের : ফোনে মুক্তিপণদাবী : আটক-২
- আপলোড টাইম : ০৫:৫৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০১৭
- / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আনোয়ারপুরের (হটাৎ পাড়া) আ. সবুর অমি (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র নিখোঁজের প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণ দাবী করে ফোন করেছে অপহরণকারীরা। পুলিশি অভিযানে মুক্তিপণ চাওয়া অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য সাদেক ও ইয়াসিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও অপহৃত স্কুল ছাত্রের কোন সন্ধান মেলাতে পারেনি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ এদের দু’জনকে যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকা থেকে আটক করতে সক্ষম হন। গতকাল শুক্রবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানাগেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আনোয়ারপুরের সোলায়মান বাদশার ছেলে ও দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র আ. সবুর অমি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে ছেলেকে না পেয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন অমির পিতা বাদশা।
এই ঘটনার প্রায় এক মাস পর গত ১১ মার্চ শনিবার রাত ৮ টার দিকে ০১৯৫৩-৩৫৬৪০৮ নাম্বার মোবাইল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি অমির পিতার ০১৯২৪-৭৬৯৬৫৫ নাম্বার মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায় অমি তাদের কাছে আছে। অমিকে ছাড়াতে এখনই ৩৫ হাজার টাকা আমার এই নাম্বারে বিকাশ করে দিন। না দিলে তোর ছেলেকে কেটে তোর বাড়ি পাঠিয়ে দিব বলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। ছেলে নিখোঁজের ২৬ দিন পর হটাৎ অজ্ঞাত ব্যক্তির অজ্ঞাত ফোন পেয়ে ছেলেকে ফিরে পাবার স্বপ্নে পরিবারের সকলে আশায় বুক বাধে। এর কিছুক্ষণ পর অমির পিতা ওই নাম্বারে ফোন ব্যাক করে দেখে নাম্বারটা বন্ধ। অনেক চেষ্টা সত্বেও আর কথা বলতে পারেনি। পরদিন ১২ মার্চ রোববার সকালে অপহৃত স্কুল ছাত্র অমির পিতা দামুড়হুদা মডেল থানায় এসে ওই মোবাইল নাম্বার ধরে একটি সাধারণ ডায়রি করেন। দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ সাধারণ ডায়রিটি তদন্ত করে মুক্তিপণ দাবী করে ফোন দেওয়া মোবাইল নাম্বারের মালিককে খুজে বের করেন। দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার বেনাপোল কাগজ পুকুর গ্রামের মৃত. আ. রমিদের ছেলে সাদেককে (২৭) আটক করে। সাদেকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ একই গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ইয়াসিনকে (১৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অত্যন্ত ধুরন্ধর সাদেক ও ইয়াসিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এখনো কোনো তথ্য জানায়নি। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু জিহাদ জানান, স্কুল ছাত্র অমি অপহরণ ও মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনায় দু’জনকে আটক করে জেল হাজতে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে তারা পুলিশের কাছে অমি’র বিষয়ে কোন তথ্য না দেওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর গতকাল তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে এক সপ্তাহের রিমান্ডের আবেদন করেছেন।