ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মেহেরপুর জেলা পরিষদের সদস্য শাহীনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০১৭
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিবেদক: মেহেরপুর জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য শাহীন উদ্দীন (শাহীন) বিরুদ্ধে মেহেরপুর জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আমলী আদালতে প্রতারনা, ক্ষমতার অপব্যাবহার, বাংলাদেশের আইন অমান্যসহ ও রাষ্টদ্রোহীতার অভিযোগে বাংলাদেশ পেনাল কোডের ১২৪ (ক)/৫০৬ (১১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৫ই মার্চ’১৭ তারিখে মামলাটি দায়ের করেন মুজিবনগর মানিকনগরের মৃত নফর মল্লিকের ছেলে ফিতাজ মল্লিক। মামলার আর্জিতে বাদী বলেন, মেহেরপুর জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য (বাগোয়ান ইউনিয়ন) মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মিয়ার ছেলে শাহীন উদ্দীন (শাহীন) একজন প্রতারক, ক্ষমতার অপব্যাবহারকারী, আইন অমান্যকারি ভন্ডবাজ, রাষ্টদ্রোহী ব্যক্তি। বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলাদেশের আইনকে অমান্য করে গত ২২শে ফেব্রুয়ারী আনুমানিক বেলা ১টা ২০ মিনিটে  নিজস্ব নোয়া মাইক্রবাসে যাহার রেজি: নং খুলনা চ-১১-০০১০ নাম্বারের গাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা মাইক্রোবাসের স্ট্যান্ডে লাগিয়ে মেহেরপুর জেলা পরিষদের দিকে চলে যায়। বাদি তার এজাহারে আরো উল্লেখ করেন যে, এহেন ভুল ও অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকার জন্য তাকে বললে আসামী শাহীন বাদিকে ও সাক্ষীদেরকে নানা রকম ভয় ভীতি ও হুমকী দেয় এবং বলে যে আমাকে চিনিস না, পুলিশ দিয়ে তোকে ক্রস ফায়ারে দেব, আমার হাতে অনেক লোক আছে। সে আরো বলে প্রধানমন্ত্রী পতাকা লাগাতে পারে আমি কেনো পারব না? বাদি উল্লেখ করেন যে আসামীকে কালো রঙ এর চশমা পরিহিত অবস্থহায় কেদারগঞ্জ এফ এম বাজারের সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে এবং আসামী এর আগেও ভূয়া মেজর সেজে বিভিন্ন অপকর্ম সাধন করেছে। আসামী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্টকে দৃশ্যমান প্রতিকের সাহায্যে ঘৃনা বা মন্ত্রী মিনিষ্টারদের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করার জন্য এই কাজ করেছে।এ বিষয়ে ২৭/০২/১৭ তারিখে মুজিবনগর থানায় জিডি করা হয় যার নং ৯৫৭। উক্ত মামলার সাক্ষী হিসাবে মুজিবনগর উপজেলার মানিকনগর গ্রামের জমির উদ্দীন মন্ডলের ছেলে রোকনুজ্জামান, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আক্কাস আলী এবং বল্লভপুর গ্রামের মৃত আ: রহিমের ছেলে রুহুল কুদ্দুসের নাম দেওয়া হয়েছে এবং সমস্ত প্রমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২২শে ফেব্রুয়ারী আসামী শাহীন উদ্দীন তার নিজস্ব মাইক্রোবাসের স্টেন্ডে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাগিয়ে মেহেরপুরের দিকে চলে গেলে বিষয়টি সকলের নজরে আসে এবং এ বিষয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মেহেরপুর জেলা পরিষদের সদস্য শাহীনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আপলোড টাইম : ০৪:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০১৭

নিজেস্ব প্রতিবেদক: মেহেরপুর জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য শাহীন উদ্দীন (শাহীন) বিরুদ্ধে মেহেরপুর জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আমলী আদালতে প্রতারনা, ক্ষমতার অপব্যাবহার, বাংলাদেশের আইন অমান্যসহ ও রাষ্টদ্রোহীতার অভিযোগে বাংলাদেশ পেনাল কোডের ১২৪ (ক)/৫০৬ (১১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৫ই মার্চ’১৭ তারিখে মামলাটি দায়ের করেন মুজিবনগর মানিকনগরের মৃত নফর মল্লিকের ছেলে ফিতাজ মল্লিক। মামলার আর্জিতে বাদী বলেন, মেহেরপুর জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য (বাগোয়ান ইউনিয়ন) মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মিয়ার ছেলে শাহীন উদ্দীন (শাহীন) একজন প্রতারক, ক্ষমতার অপব্যাবহারকারী, আইন অমান্যকারি ভন্ডবাজ, রাষ্টদ্রোহী ব্যক্তি। বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলাদেশের আইনকে অমান্য করে গত ২২শে ফেব্রুয়ারী আনুমানিক বেলা ১টা ২০ মিনিটে  নিজস্ব নোয়া মাইক্রবাসে যাহার রেজি: নং খুলনা চ-১১-০০১০ নাম্বারের গাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা মাইক্রোবাসের স্ট্যান্ডে লাগিয়ে মেহেরপুর জেলা পরিষদের দিকে চলে যায়। বাদি তার এজাহারে আরো উল্লেখ করেন যে, এহেন ভুল ও অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকার জন্য তাকে বললে আসামী শাহীন বাদিকে ও সাক্ষীদেরকে নানা রকম ভয় ভীতি ও হুমকী দেয় এবং বলে যে আমাকে চিনিস না, পুলিশ দিয়ে তোকে ক্রস ফায়ারে দেব, আমার হাতে অনেক লোক আছে। সে আরো বলে প্রধানমন্ত্রী পতাকা লাগাতে পারে আমি কেনো পারব না? বাদি উল্লেখ করেন যে আসামীকে কালো রঙ এর চশমা পরিহিত অবস্থহায় কেদারগঞ্জ এফ এম বাজারের সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে এবং আসামী এর আগেও ভূয়া মেজর সেজে বিভিন্ন অপকর্ম সাধন করেছে। আসামী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্টকে দৃশ্যমান প্রতিকের সাহায্যে ঘৃনা বা মন্ত্রী মিনিষ্টারদের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করার জন্য এই কাজ করেছে।এ বিষয়ে ২৭/০২/১৭ তারিখে মুজিবনগর থানায় জিডি করা হয় যার নং ৯৫৭। উক্ত মামলার সাক্ষী হিসাবে মুজিবনগর উপজেলার মানিকনগর গ্রামের জমির উদ্দীন মন্ডলের ছেলে রোকনুজ্জামান, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আক্কাস আলী এবং বল্লভপুর গ্রামের মৃত আ: রহিমের ছেলে রুহুল কুদ্দুসের নাম দেওয়া হয়েছে এবং সমস্ত প্রমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২২শে ফেব্রুয়ারী আসামী শাহীন উদ্দীন তার নিজস্ব মাইক্রোবাসের স্টেন্ডে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাগিয়ে মেহেরপুরের দিকে চলে গেলে বিষয়টি সকলের নজরে আসে এবং এ বিষয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়।