মেহেরপুর শহরের মাঠপাড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ :২লক্ষ ৭০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
- আপলোড টাইম : ০৫:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০১৭
- / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর শহরের মাঠপাড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ২লক্ষ ৭০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি খাদিজা বেগম নামের ওই মহিলাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মেহেরপুর শহরের মাঠপাড়ায় এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর পুলিশ খবর পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের মাঠপাড়ার মৃত সুরমান আলীর মেয়ে খাদিজা বেগম (৪০) রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। আনুমানিক রাত ২টার দিকে মুখে কালো কাপড় বাঁধা ৮-৯ জনের একদল দুর্বৃত্ত তার বাড়ি গিয়ে ওই দলের ৩-৪ জন ঘরের জানালা দিয়ে ঢুকে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীর্তি প্রদর্শন করে আগামী পৌর নির্বাচনে ভোট করার জন্য গচ্ছিত ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এবং সে চিৎকার দিতে গেলে তারা ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে খাদিজা বেগম নামের ওই একই মহিলা এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার শিকার হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। একই এলাকার আরমান আলীর ছেলে আবু হানিফ বাবু ও সোহরাব উদ্দীন-এর নেতৃত্বে ওই মহিলার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এবং খাদিজা বেগমের পায়খানাসহ বসত বাড়ি হতে বের হওয়ার পথ অবরুদ্ধ করে ওই জমি তদের দাবি করে টিনের সেড দিয়ে ঘিরে দিয়েছে বলেও তিনি জনান। এঘটনায় ওই দিনই মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন খাদিজা বেগম। দিনে হামলা আবার রাতে ওই বাড়িতে ভয়-ভীর্তি প্রদর্শন করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনাটি রহস্যজনক এবং এলাকায় আতংকের সৃস্টি করেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগি অসহায় মহিলা বিচার পেতে পুলিশ ও বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এ বিষয়ে প্রতিবেশি ছকিনা বলেন, রাতে একটি বিস্ফোরনের শব্দ তারা শুনেছে। এবং পরে পুলিশ এসেছিল। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন তবে ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হয়েছে। জমি-জমাসংক্রান্ত বিরোধে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি, আমি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।