ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডা. আওলিয়ারের অবহেলায় : রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭
  • / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবিকার অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোগী হাসপাতালে নেয়ার দীর্ঘক্ষণ পর চিকিৎসাপত্র ছাড়াই ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডা. আওলিয়ার রহমান। এরপর রোগীকে ওয়ার্ডে নেয়া হলেও চিকিৎসা দিতে দেরী করে সেবিকা। পরে রোগী মশিউর রহমান জান্টুর অবস্থার অবনতি হলে খবর দেয়া ডা. আওলিয়ার রহমানকে। রোগীর অবস্থা খারাপ থাকার বিষয়টি তাঁকে একাধিকবার জানানো হলেও ওয়ার্ডে আসেননি চিকিৎসক। এমন অভিযোগ করে রোগীর স্বজনরা জানান, এসময় সেবিকাদের জানানো হলে তারাও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। রোগী মৃত্যুর পর ডা. আওলিয়ার রহমান মোবাইলফোনে কথা বলতে বলতে ওয়ার্ডে ঢুকে স্যালাইন পুশ এবং ইসিজি করতে বলেন তিনি। পরে ইসিজি রিপোর্ট দেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেন ডা. আওলিয়ার রহমান। এসময় ক্ষুব্ধ স্বজনরা ও অন্যান্য রোগীর স্বজনরা ডাক্তারের অবহেলার কারণে শাস্তি দাবী করেন। চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার সৈয়দ হুজলে মোল্লার ছেলে মশিউর রহমান জান্টু চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে সাইকেল স্ট্যান্ডে কর্মরত অবস্থায় বুকে ব্যাথা অনূভব করায় হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে সেখানে চিকিৎসকের অবহেলার কারণে তার মৃত্যু হয়। মশিউর রহমান জান্টুর শ্যালক জনি অভিযোগ করে জানান, রোগী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়ার পর ডা. আওলিয়ার রহমান চিকিৎসার জন্য ভর্তি টিকেট না দিয়েই ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হলে সেবিকাকে দ্রুত চিকিৎসা দেয়ার জন্য বলা হলে তারাও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে চিকিৎসককে একাধিকবার ডাকা হলে রোগী মৃত্যুর পর তিনি আসেন। এসময় আবারও ইসিজি করতে বলেন মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এ বিষয়ে ডা. আওলিয়ার রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ঠিক সময়েই চিকিৎসা দিয়েছেন। কোন প্রকার অবহেলা করা হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডা. আওলিয়ারের অবহেলায় : রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৫:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবিকার অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোগী হাসপাতালে নেয়ার দীর্ঘক্ষণ পর চিকিৎসাপত্র ছাড়াই ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডা. আওলিয়ার রহমান। এরপর রোগীকে ওয়ার্ডে নেয়া হলেও চিকিৎসা দিতে দেরী করে সেবিকা। পরে রোগী মশিউর রহমান জান্টুর অবস্থার অবনতি হলে খবর দেয়া ডা. আওলিয়ার রহমানকে। রোগীর অবস্থা খারাপ থাকার বিষয়টি তাঁকে একাধিকবার জানানো হলেও ওয়ার্ডে আসেননি চিকিৎসক। এমন অভিযোগ করে রোগীর স্বজনরা জানান, এসময় সেবিকাদের জানানো হলে তারাও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। রোগী মৃত্যুর পর ডা. আওলিয়ার রহমান মোবাইলফোনে কথা বলতে বলতে ওয়ার্ডে ঢুকে স্যালাইন পুশ এবং ইসিজি করতে বলেন তিনি। পরে ইসিজি রিপোর্ট দেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেন ডা. আওলিয়ার রহমান। এসময় ক্ষুব্ধ স্বজনরা ও অন্যান্য রোগীর স্বজনরা ডাক্তারের অবহেলার কারণে শাস্তি দাবী করেন। চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার সৈয়দ হুজলে মোল্লার ছেলে মশিউর রহমান জান্টু চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে সাইকেল স্ট্যান্ডে কর্মরত অবস্থায় বুকে ব্যাথা অনূভব করায় হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে সেখানে চিকিৎসকের অবহেলার কারণে তার মৃত্যু হয়। মশিউর রহমান জান্টুর শ্যালক জনি অভিযোগ করে জানান, রোগী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়ার পর ডা. আওলিয়ার রহমান চিকিৎসার জন্য ভর্তি টিকেট না দিয়েই ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হলে সেবিকাকে দ্রুত চিকিৎসা দেয়ার জন্য বলা হলে তারাও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে চিকিৎসককে একাধিকবার ডাকা হলে রোগী মৃত্যুর পর তিনি আসেন। এসময় আবারও ইসিজি করতে বলেন মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এ বিষয়ে ডা. আওলিয়ার রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ঠিক সময়েই চিকিৎসা দিয়েছেন। কোন প্রকার অবহেলা করা হয়নি।