ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আলমডাঙ্গার বড়পুটিমারী গ্রামে বাল্যবিয়ে করতে এসে বিপত্তি পুলিশ দেখে বরসহ বরযাত্রীদের ভৌদোঁড়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০১৭
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের বড়পুটিমারী গ্রামে বাল্যবিয়ে করতে এসে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের অভিযানে বরসহ যাত্রীরা ভৌদোঁড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পায় ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী রোকেয়া। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের বড়পুটিমারীর উত্তরপাড়ার আনোয়ার ওরফে আনুর মেয়ে স্থানীয় স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী রোকেয়া খাতুন (১৫) এর বিয়ে ঠিক হয় ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর কামারখালী গ্রামের হবিবারের ছেলে আনোয়ার (২১) এর সাথে। গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বরসহ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসে। বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়। এরমধ্যে গোপনে সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাড়ি পুলিশের এসআই হাকিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কনে এবং বরের ভোটার আইডি অথবা জন্মসনদ দেখতে চাইলে সুযোগ বুঝে বর ও বরযাত্রী কেউ গোপনে গাড়ীতে উঠে আবার কেউ ভৌদোঁড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে, স্থানীয় কিছু নেতা পুলিশকে ম্যানেজের চেষ্টা চালায়। এই বিয়ে বাড়ী থেকে পুলিশ ৩ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ দিন আগে নাকি কোন এক কাজির মাধ্যমে সাদা কাগজে বিয়ে পড়ানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়। তবে, সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গার বড়পুটিমারী গ্রামে বাল্যবিয়ে করতে এসে বিপত্তি পুলিশ দেখে বরসহ বরযাত্রীদের ভৌদোঁড়

আপলোড টাইম : ০৪:৪৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০১৭

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের বড়পুটিমারী গ্রামে বাল্যবিয়ে করতে এসে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের অভিযানে বরসহ যাত্রীরা ভৌদোঁড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পায় ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী রোকেয়া। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের বড়পুটিমারীর উত্তরপাড়ার আনোয়ার ওরফে আনুর মেয়ে স্থানীয় স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী রোকেয়া খাতুন (১৫) এর বিয়ে ঠিক হয় ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর কামারখালী গ্রামের হবিবারের ছেলে আনোয়ার (২১) এর সাথে। গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বরসহ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসে। বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়। এরমধ্যে গোপনে সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাড়ি পুলিশের এসআই হাকিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কনে এবং বরের ভোটার আইডি অথবা জন্মসনদ দেখতে চাইলে সুযোগ বুঝে বর ও বরযাত্রী কেউ গোপনে গাড়ীতে উঠে আবার কেউ ভৌদোঁড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে, স্থানীয় কিছু নেতা পুলিশকে ম্যানেজের চেষ্টা চালায়। এই বিয়ে বাড়ী থেকে পুলিশ ৩ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ দিন আগে নাকি কোন এক কাজির মাধ্যমে সাদা কাগজে বিয়ে পড়ানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়। তবে, সত্যতা পাওয়া যায়নি।