ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সাংবাদিক পরিচয়ে মেহেরপুরের স্কুল শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবী চাঁদার টাকা নেয়ার সময় ফার্মপাড়ার শুভকে ধরে পিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০১৭
  • / ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরের শ্রীমন্ত টাউন হলের সামনে চাঁদার টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে কথিত এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় চাঁদার নগদ তিন হাজার টাকা এবং একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন প্রেস লেখা মোটরসাইকেলসহ কথিত ওই সাংবাদিক সামস-উর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারের একটি পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের স্কুল শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একোটি মামলা দায়ের করেছেন। তার কাছে থেকে চাঁদা নেয়ার সময়ই সামস-উর রহমান শুভকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারকৃত শুভ বর্তমানে সাংবাদিকতা করে না, অনেক আগে তাকে একটি পরিচয়পত্র দেয়া হয়। সে প্রায় ৬ মাস অফিসে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন রতন।
এজাহারসূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেহেরপুর জেলার পাটকেলপোতা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে স্কুল শিক্ষক সহিদুল ইসলামের কাছে দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে মোবাইলফোনে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সামস-উর রহমান শুভ। ৫ হাজার টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের হুমকিও দেয় শুভ। একথা শুনে সহিদুল কৌশল অবল¤॥^ন করে বিষয়টি তার স্বজন ও থানা পুলিশকে জানায়। একপর্যায়ে টাকা দিতে স্বীকৃতি জানিয়ে টাকা নেয়ার স্থান জানতে চান সহিদুল। টাকা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হলের সামনে আসতে বলে শুভ। স্কুল শিক্ষক সহিদুল ইসলাম রাত ৯টার দিকে চাঁদার টাকা নিয়ে শ্রীমন্ত টাউন হলে অপেক্ষা করতে থাকেন। একই সাথে ওঁৎ পেতে থাকে সদর থানা পুলিশ। ওইসময় কথিত দৈনিক আমাদের সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার সামস-উর রহমানসহ তিনজন একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন প্রেস লেখা লাল ডিসকভার ১০০ সিসি মোটরসাইকেল নিয়ে হাজির হয়। এসময় সহিদুল ইসলাম তার পকেট থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা বের করে সামস-উর রহমানের হাতে দিয়ে তাকে জাপটে ধরে চিৎকার দিতে থাকে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে সামস-উর রহমানের সাথে থাকা দুজন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা সামস-উরকে ধরে মারপিট করতে থাকে। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে চাঁদার নগদ ৩ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ কথিত সাংবাদিক সামস-উর রহমানকে আটক করে। স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, পত্রিকার সম্পাদকের নির্দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদার টাকা কালেকশন করা হয়। প্রতিমাসে নির্ধারিত টাকা সম্পাদককে দিতে হয়। এ বিষয়ে দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রুহুল আমিন রতন জানান, পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার সামস-উর রহমান শুভ বেশকিছুদিন আগে সাংবাদিকতা করতো। তাকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে একটি পরিচয়পত্রও দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু প্রায় ৬ মাস ধরে সে অফিসে আর আসেনা। বর্তমানে সে আমাদের অফিসের কেউ না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

সাংবাদিক পরিচয়ে মেহেরপুরের স্কুল শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবী চাঁদার টাকা নেয়ার সময় ফার্মপাড়ার শুভকে ধরে পিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ

আপলোড টাইম : ০৪:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরের শ্রীমন্ত টাউন হলের সামনে চাঁদার টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে কথিত এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় চাঁদার নগদ তিন হাজার টাকা এবং একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন প্রেস লেখা মোটরসাইকেলসহ কথিত ওই সাংবাদিক সামস-উর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারের একটি পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের স্কুল শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একোটি মামলা দায়ের করেছেন। তার কাছে থেকে চাঁদা নেয়ার সময়ই সামস-উর রহমান শুভকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারকৃত শুভ বর্তমানে সাংবাদিকতা করে না, অনেক আগে তাকে একটি পরিচয়পত্র দেয়া হয়। সে প্রায় ৬ মাস অফিসে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন রতন।
এজাহারসূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেহেরপুর জেলার পাটকেলপোতা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে স্কুল শিক্ষক সহিদুল ইসলামের কাছে দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে মোবাইলফোনে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সামস-উর রহমান শুভ। ৫ হাজার টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের হুমকিও দেয় শুভ। একথা শুনে সহিদুল কৌশল অবল¤॥^ন করে বিষয়টি তার স্বজন ও থানা পুলিশকে জানায়। একপর্যায়ে টাকা দিতে স্বীকৃতি জানিয়ে টাকা নেয়ার স্থান জানতে চান সহিদুল। টাকা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হলের সামনে আসতে বলে শুভ। স্কুল শিক্ষক সহিদুল ইসলাম রাত ৯টার দিকে চাঁদার টাকা নিয়ে শ্রীমন্ত টাউন হলে অপেক্ষা করতে থাকেন। একই সাথে ওঁৎ পেতে থাকে সদর থানা পুলিশ। ওইসময় কথিত দৈনিক আমাদের সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার সামস-উর রহমানসহ তিনজন একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন প্রেস লেখা লাল ডিসকভার ১০০ সিসি মোটরসাইকেল নিয়ে হাজির হয়। এসময় সহিদুল ইসলাম তার পকেট থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা বের করে সামস-উর রহমানের হাতে দিয়ে তাকে জাপটে ধরে চিৎকার দিতে থাকে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে সামস-উর রহমানের সাথে থাকা দুজন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা সামস-উরকে ধরে মারপিট করতে থাকে। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে চাঁদার নগদ ৩ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ কথিত সাংবাদিক সামস-উর রহমানকে আটক করে। স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, পত্রিকার সম্পাদকের নির্দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদার টাকা কালেকশন করা হয়। প্রতিমাসে নির্ধারিত টাকা সম্পাদককে দিতে হয়। এ বিষয়ে দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রুহুল আমিন রতন জানান, পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার সামস-উর রহমান শুভ বেশকিছুদিন আগে সাংবাদিকতা করতো। তাকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে একটি পরিচয়পত্রও দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু প্রায় ৬ মাস ধরে সে অফিসে আর আসেনা। বর্তমানে সে আমাদের অফিসের কেউ না।