বিধিবদ্ধ মুমিন জীবন
- আপলোড টাইম : ০৪:৪১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০১৭
- / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: দুনিয়াতে আমরা কেউই টেনশনমুক্ত নেই। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় মানুষের কী অবস্থা। একেক রোগী একেক রোগে ভুগছে। আল্লাহ আমাকে সুস্থতা দিয়েছেন। চিন্তা করার শক্তি দিয়েছেন। আমরা মস্তিষ্ক দিয়ে নানা বিষয় চিন্তা করি। কিন্তু এই ব্রেন কার দেয়া? এই জীবন কার? এই ঘর-বাড়ি কার দান? এসব আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দান করেছেন। তাই আমাদের উচিত এগুলোর সঠিক ব্যবহার করা। দুনিয়ার জীবনকে টার্গেট না বানানো। কারও ওপর জুলুম না করা। অন্যায় কোনো আচরণ না করা। পরচর্চা ও অপবাদ আরোপ না করা। মুমিন হিসেবে আমার উচিত হলো নিজে ভালো হওয়া, অপরকে ভালো বানানোর চেষ্টা করা। নিজে একা ভালো থাকলেই দায়িত্ব আদায় হয়ে যায় না। আশপাশের মানুষকে ভালো বানানো, দেশ জাতিকে নিয়ে ভাবা মুমিনের অন্যতম দায়িত্ব। হাদিসে আছে, দুনিয়ার জীবন মুমিনের জন্য কারাগার স্বরূপ। আর কাফেরের জন্য জান্নাত। কারাগারের যেমন নিয়ম আছে এই নিয়ম কি অমান্য করা যায়। যখন অন্ধকার রাতে আসামিকে কামরায় রেখে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়, তখন কি একথা বলা যায়, আমাকে একটু বাইরে থাকতে দিন। সেখানেই থাকতে হয়, নিজের মনমতো চলে না। যারা কারাগারে গিয়েছে তারাই জানে সেখানে কত নিয়ম, কত কষ্ট। এই দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার, কত বাধা-নিষেধ। চোখ দিয়ে খারাপ দিকে তাকানো যাবে না। পয়সা হিসাব করে খরচ করতে হবে। সংযমী জীবন-যাপন করতে হবে। মনের চাহিদা অনুযায়ী জীবন-যাপন করা যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে পড়তে হবে। আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজ-কর্ম থেকে কিছু সময় নামাজের জন্য বের করে নিতে হবে। এই বিধি-নিষেধ শৃঙ্খলার জন্য। যারা আল্লাহর দেয়া বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালন করবে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে অনন্তকালের শান্তি। আর যারা আল্লাহর দেয়া বিধি বিধানের কোনো তোয়াক্কা করবে না, নিজের মনমতো সব করতে চাইবে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠোর শাস্তি। পবিত্র কোরানের বিভিন্ন জায়গায় জাহান্নামের ভয়াবহ আজাবের কথা আলোচনা করা হয়েছে। তবে পাশাপাশি জান্নাতের শান-শওকতের কথাও উঠে এসেছে। এখন মুমিনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের গন্তব্য কোথায় বানাবে। প্রত্যেক ব্যক্তিকে এই স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে এই দুনিয়ার জীবনেই তাকে জান্নাত অথবা জাহান্নাম কামাই করে নিতে হবে।