ইপেপার । আজ বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

গাংনীর হারিয়াদহ-মহিশাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কান্ড মামলা নিস্পত্তি না হতেই আবারও শিক্ষক নিয়োগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০১৭
  • / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে

IMG_7443

গাংনী অফিস: দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা চলছে। একজন শিক্ষক দির্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে চাকুরী ফেরত পেতে।  অথচ মামলা চলাকালিন সময়ে বহিস্কার কিংবা কোন চিঠি হাতে না পেতেই শোনা গেলো আবারও সেই একই পদে আরেক মহিলা শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হারিয়াদহ-মহিশাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তবে বিষয়টি বিবেচনা করে মহামাণ্য আদালত রায় দিয়েছেন আগের নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রীড়া শিক্ষক আশরাফুল আলম সোনার পক্ষে। কিন্তু আদালতের রায় ও শিক্ষা বোর্ডের নিদের্শের পরেও ক্রীড়া আশরাফুল আলম সোনাকে যোগদান করায়নি প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম। প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের কাছে ধরনা ধরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে আদালতের রায় ও বোডেরনির্দেশনাসহ বিদ্যালয়ে যোগদানের সকল বৈধ কাগজপত্র নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন ক্রীড়া শিক্ষক আশরাফুল আলম সোনা। শনিবার সকালে বিদ্যালয় এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য, ইউপি সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি নিয়ে  প্রধান শিক্ষকের সাথে দিনভর আলোচনা করেও কোন সুরাহা হয়নি। এদিকে প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে বানিজ্য, সাবেক ম্যানজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল  ও মামলা চলমান অবস্থায় শিক্ষক নিয়োগ, গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলে এলাকাবাসী। আশরাফুল আলম সোনা জানান, বিধি অনুযায়ী ০১-০১-২০০০ সালে হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কোন কারন ছাড়াই গোপনে ১৪/০৬/২০১৪ ইং তারিখে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সহকর্মী শিক্ষক মারফত জানতে পারি। তবে আমাকে বরখাস্তের কোন কাগজ দেওয়া হয়নি। তারপর চাকুরী ফিরে পেতে মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যার নং ১৭৩/২০১০। আদালত গত ০৮-০৯-২০১৬ ইং তারিখে বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে ক্রীড়া ও শরিরচর্চা শিক্ষক পদে যোগদানপূর্বক সকল বকেয়া প্রদানের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশের বরাত দিয়ে ২২/১২/১৬ ইং তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড একটি চিঠি প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রেরন করে। প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। একারনে তাকে যোগদান করতে দেয়া হচ্ছেনা। হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন জানান, আমাকে বিবাদী করে মামলা করা হয়েছে। তাই আপিল করলে আমি করবো। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম আমার পক্ষে প্রতারনা করে আদালতে আপিল করেছে। এব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গাংনীর হারিয়াদহ-মহিশাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কান্ড মামলা নিস্পত্তি না হতেই আবারও শিক্ষক নিয়োগ

আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০১৭

IMG_7443

গাংনী অফিস: দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা চলছে। একজন শিক্ষক দির্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে চাকুরী ফেরত পেতে।  অথচ মামলা চলাকালিন সময়ে বহিস্কার কিংবা কোন চিঠি হাতে না পেতেই শোনা গেলো আবারও সেই একই পদে আরেক মহিলা শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হারিয়াদহ-মহিশাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তবে বিষয়টি বিবেচনা করে মহামাণ্য আদালত রায় দিয়েছেন আগের নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রীড়া শিক্ষক আশরাফুল আলম সোনার পক্ষে। কিন্তু আদালতের রায় ও শিক্ষা বোর্ডের নিদের্শের পরেও ক্রীড়া আশরাফুল আলম সোনাকে যোগদান করায়নি প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম। প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের কাছে ধরনা ধরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে আদালতের রায় ও বোডেরনির্দেশনাসহ বিদ্যালয়ে যোগদানের সকল বৈধ কাগজপত্র নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন ক্রীড়া শিক্ষক আশরাফুল আলম সোনা। শনিবার সকালে বিদ্যালয় এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য, ইউপি সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি নিয়ে  প্রধান শিক্ষকের সাথে দিনভর আলোচনা করেও কোন সুরাহা হয়নি। এদিকে প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে বানিজ্য, সাবেক ম্যানজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল  ও মামলা চলমান অবস্থায় শিক্ষক নিয়োগ, গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলে এলাকাবাসী। আশরাফুল আলম সোনা জানান, বিধি অনুযায়ী ০১-০১-২০০০ সালে হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কোন কারন ছাড়াই গোপনে ১৪/০৬/২০১৪ ইং তারিখে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সহকর্মী শিক্ষক মারফত জানতে পারি। তবে আমাকে বরখাস্তের কোন কাগজ দেওয়া হয়নি। তারপর চাকুরী ফিরে পেতে মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যার নং ১৭৩/২০১০। আদালত গত ০৮-০৯-২০১৬ ইং তারিখে বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে ক্রীড়া ও শরিরচর্চা শিক্ষক পদে যোগদানপূর্বক সকল বকেয়া প্রদানের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশের বরাত দিয়ে ২২/১২/১৬ ইং তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড একটি চিঠি প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রেরন করে। প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। একারনে তাকে যোগদান করতে দেয়া হচ্ছেনা। হাড়িয়াদহ-মহিষাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন জানান, আমাকে বিবাদী করে মামলা করা হয়েছে। তাই আপিল করলে আমি করবো। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম আমার পক্ষে প্রতারনা করে আদালতে আপিল করেছে। এব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।