ইপেপার । আজ শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জীবননগরে পাটের আশঁ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত চাষী : কৃষকের মুখে সোনালী হাসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৫৮৯ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ জীবননগর : পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল। পরিবেশবান্ধব বিবেচনায়  দেশে- বিদেশে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা ও সুনাম। একসময় সোনালী আঁশ খ্যাত পাট প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে লক্ষ করা যেত। বাড়ির পাশের বাঁশের আড়ায়, আবার কখনও কৃষকের ঘর পাটে ভর্তি থাকতো ।বর্তমান সময়ে পাট যতটুকু দেখা যায়, তাতে পাটের সোনালী অতীতকে আবার স্মরণ করিয়ে দেয়। এ বছর জীবননগর উপজেলায় পাটের বেশ বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়। এ বছর পাট গাছগুলো যেমন মোটা হয়েছে, তেমনিই পুরু হয়েছে তার আঁশ। এ বছর অনুকূল আবহাওয়া, উপযুক্ত পরিবেশ আর সঠিক পরিচর্যার কারণে কৃষকেরা তাদের পাট চাষে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, এ উপজেলায় এ বছর যত কৃষক পাট চাষ করেছেন, তাদের প্রত্যেকেরই ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই পাটচাষীরা তাদের উৎপাদিত পাট পুকুর, ডোবা-নালায় জাগ দিয়ে
পচনশেষে আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার অনেকে জোরেসোরে পাট ধৌতের কাজ শুরু করেছেন। এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা আঁটি প্রতি ১২/১৪ টাকা হারে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। তাই কে কয়টি পাটের আঁটির আঁশ ছাড়িয়ে পরিস্কার করে আগেভাগে উঠতে পারেন সেই প্রতিযোগিতাও চলছে। জীবননগর বাজারের পাট ব্যবসায়ীগন এ বছর  বেশ আগ্রহের সাথে পাট ক্রয় করে চলেছেন। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলার একাধিক কৃষক বলেন আশাকরি এ বছর পাটের উপযুক্ত দাম পাব। জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের ঘোসনগর  গ্রামের নুরবক্স  মালিতা ও একই উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের মৃত আঃ বারির ছেলে আনারের সাথে কথা বললে তারা বলেন এ বছর একটু দেনার মধ্যে ডুবে আছি। পাটের উপযুক্ত দাম পেলে হয়তো দেনা পরিশোধ করে ওঠা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে কথা বললে তিনি বলেন এ বছর পাটের চেহারা দেখে পাটচাষী ও ব্যবসায়ী সকলে আনন্দিত। এবার উৎপাদিত পাটের মান ও ফলনে সন্তুষ্ট কৃষকেরা আগামীতে পাট চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগরে পাটের আশঁ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত চাষী : কৃষকের মুখে সোনালী হাসি

আপলোড টাইম : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৬

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ জীবননগর : পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল। পরিবেশবান্ধব বিবেচনায়  দেশে- বিদেশে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা ও সুনাম। একসময় সোনালী আঁশ খ্যাত পাট প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে লক্ষ করা যেত। বাড়ির পাশের বাঁশের আড়ায়, আবার কখনও কৃষকের ঘর পাটে ভর্তি থাকতো ।বর্তমান সময়ে পাট যতটুকু দেখা যায়, তাতে পাটের সোনালী অতীতকে আবার স্মরণ করিয়ে দেয়। এ বছর জীবননগর উপজেলায় পাটের বেশ বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়। এ বছর পাট গাছগুলো যেমন মোটা হয়েছে, তেমনিই পুরু হয়েছে তার আঁশ। এ বছর অনুকূল আবহাওয়া, উপযুক্ত পরিবেশ আর সঠিক পরিচর্যার কারণে কৃষকেরা তাদের পাট চাষে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, এ উপজেলায় এ বছর যত কৃষক পাট চাষ করেছেন, তাদের প্রত্যেকেরই ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই পাটচাষীরা তাদের উৎপাদিত পাট পুকুর, ডোবা-নালায় জাগ দিয়ে
পচনশেষে আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার অনেকে জোরেসোরে পাট ধৌতের কাজ শুরু করেছেন। এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা আঁটি প্রতি ১২/১৪ টাকা হারে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। তাই কে কয়টি পাটের আঁটির আঁশ ছাড়িয়ে পরিস্কার করে আগেভাগে উঠতে পারেন সেই প্রতিযোগিতাও চলছে। জীবননগর বাজারের পাট ব্যবসায়ীগন এ বছর  বেশ আগ্রহের সাথে পাট ক্রয় করে চলেছেন। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলার একাধিক কৃষক বলেন আশাকরি এ বছর পাটের উপযুক্ত দাম পাব। জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের ঘোসনগর  গ্রামের নুরবক্স  মালিতা ও একই উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের মৃত আঃ বারির ছেলে আনারের সাথে কথা বললে তারা বলেন এ বছর একটু দেনার মধ্যে ডুবে আছি। পাটের উপযুক্ত দাম পেলে হয়তো দেনা পরিশোধ করে ওঠা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে কথা বললে তিনি বলেন এ বছর পাটের চেহারা দেখে পাটচাষী ও ব্যবসায়ী সকলে আনন্দিত। এবার উৎপাদিত পাটের মান ও ফলনে সন্তুষ্ট কৃষকেরা আগামীতে পাট চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।