ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২০১৪ সালে রাজধানী শাহজানপুরে পানির পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনা মামলায় চারজনের ১০ বছরের কারাদ- : রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন জিহাদের পরিবার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • / ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে পরিত্যক্ত পানির পাইপের মধ্যে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর মামলায় চারজনকে ১০ বছর করে কারাদ- দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে কারাদ-প্রাপ্ত ৪ জনকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই বছর করে কারাদ-ের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়া এ মামলায় দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। রোববার ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন বিচারক। দ-প্রাপ্তরা হলেন- রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রিশিয়ান জাফর অহম্মেদ শাকি। রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও প্রকৌশলী দীপন কুমার ভৌমিককে খালাস দেয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিদের অবহেলার কারণেই শিশু জিহাদের মৃত্যু হয়েছে। রায় শুনে আসামি জাহাঙ্গীর আলম কাঁদতে থাকেন। দ-প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন। তবে রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন শিশু জিহাদের বাবা ও এই মামলার বাদী নাসির উদ্দিন ফকির। তিনি বলেন, এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। দুজনকে খালাস দেয়ায় তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তিনি আশা করেছিলেন, ছয়জনেরই সর্বোচ্চ সাজা হবে, কিন্তু সেটা হয়নি। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে শিশু জিহাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। নলকূপের ঢাকনা উন্মুক্ত থাকায় খেলতে খেলতে পাইপের ভেতর পড়ে যায় জিহাদ। ঘটনার পরের দিন জিহাদের বাবা মো. নাসির ফকির মামলা করেন। মামলার ছয় আসামি হলেন মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নলকূপ পরিদর্শন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ শাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

২০১৪ সালে রাজধানী শাহজানপুরে পানির পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনা মামলায় চারজনের ১০ বছরের কারাদ- : রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন জিহাদের পরিবার

আপলোড টাইম : ০৪:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে পরিত্যক্ত পানির পাইপের মধ্যে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর মামলায় চারজনকে ১০ বছর করে কারাদ- দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে কারাদ-প্রাপ্ত ৪ জনকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই বছর করে কারাদ-ের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়া এ মামলায় দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। রোববার ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন বিচারক। দ-প্রাপ্তরা হলেন- রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রিশিয়ান জাফর অহম্মেদ শাকি। রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও প্রকৌশলী দীপন কুমার ভৌমিককে খালাস দেয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিদের অবহেলার কারণেই শিশু জিহাদের মৃত্যু হয়েছে। রায় শুনে আসামি জাহাঙ্গীর আলম কাঁদতে থাকেন। দ-প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন। তবে রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন শিশু জিহাদের বাবা ও এই মামলার বাদী নাসির উদ্দিন ফকির। তিনি বলেন, এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। দুজনকে খালাস দেয়ায় তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তিনি আশা করেছিলেন, ছয়জনেরই সর্বোচ্চ সাজা হবে, কিন্তু সেটা হয়নি। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে শিশু জিহাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। নলকূপের ঢাকনা উন্মুক্ত থাকায় খেলতে খেলতে পাইপের ভেতর পড়ে যায় জিহাদ। ঘটনার পরের দিন জিহাদের বাবা মো. নাসির ফকির মামলা করেন। মামলার ছয় আসামি হলেন মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নলকূপ পরিদর্শন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ শাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।