ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জ্ঞান-ধনের অহমিকা ধ্বংসাত্মক ব্যাধি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • / ৪৯২ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের জ্ঞান-ধন, রূপ-সৌন্দর্য, মান-সম্মান, দীন-ইমান সব আল্লাহ তায়ালাই দান করেন। এ জন্য মোটেও অহংকার করা উচিত নয়। হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী (রহ.) বলেন, এ কথা কেউ বলতে পারে না যে, আমার বর্তমান অবস্থা আমার নিজেরই আয়ত্তাধীন। কোনো সুন্দর-সুশ্রী চেহারার অধিকারী যদি মুখে কালি মেখে নেয়, তাহলে তার আল্লাহপ্রদত্ত সৌন্দর্য বিনাশ হয়ে যাবে না। আবার কোনো বিশ্রী চেহারার লোক যদি মুখে কৃত্রিম কিছু মাখে তাহলে সে প্রকৃত সুন্দর বলে বিবেচিত হবে না। সুতরাং কোনো মানুষ কখনো নিজের অবস্থার ওপর, নিজের যোগ্যতা, পজিশন, মান-সম্মান, ধন-সম্পদ, রূপ-সৌন্দর্য, ইমান, আমল ইত্যাদির উপর অহমিকা, অহংকার করতে পারে না। অন্যকে হেয়প্রতিপন্ন করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তো আল্লাহ তায়ালার মুখাপেক্ষী; কিন্তু আল্লাহ তায়ালা অমুখাপেক্ষী, প্রশংসা। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের অপসৃত করতে পারেন এবং এক নতুন সৃষ্টি আনতে পারেন। এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষে কঠিন নয়।’ (সূরা ফাতির: ১৫-১৭)। আল্লাহ তায়ালা হজরত ইউসুফ (আ.)-এর উক্তি বর্ণনা করেন- সে বলল, ‘আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না, মানুষের মন অবশ্যই মন্দ কর্মপ্রবণ, কিন্তু সে নয় যার প্রতি আমার প্রতিপালক দয়া করেন। আমার প্রতিপালক তো অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা ইউসুফ : ৫৩)। তিনি আরো বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠে দম্ভভরে বিচরণ করো না; তুমি তো কখনোই পদভারে ভূপৃষ্ঠ বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পর্বত সমান হতে পারবে না।’ (সূরা বনি ইসরাইল: ৩৭)। ‘মানুষ ধ্বংস হোক! সে কত অকৃতজ্ঞ! তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন? শুক্রবিন্দু থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেন, পরে তার পরিমিত বিকাশ সাধন করেন; এরপর তার জন্য পথ সহজ করে দেন।’ (সূরা আবাসা: ১৭-২০)। তাই মানুষের অহংকার-অহমিকা প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জ্ঞান-ধনের অহমিকা ধ্বংসাত্মক ব্যাধি

আপলোড টাইম : ০৬:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের জ্ঞান-ধন, রূপ-সৌন্দর্য, মান-সম্মান, দীন-ইমান সব আল্লাহ তায়ালাই দান করেন। এ জন্য মোটেও অহংকার করা উচিত নয়। হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী (রহ.) বলেন, এ কথা কেউ বলতে পারে না যে, আমার বর্তমান অবস্থা আমার নিজেরই আয়ত্তাধীন। কোনো সুন্দর-সুশ্রী চেহারার অধিকারী যদি মুখে কালি মেখে নেয়, তাহলে তার আল্লাহপ্রদত্ত সৌন্দর্য বিনাশ হয়ে যাবে না। আবার কোনো বিশ্রী চেহারার লোক যদি মুখে কৃত্রিম কিছু মাখে তাহলে সে প্রকৃত সুন্দর বলে বিবেচিত হবে না। সুতরাং কোনো মানুষ কখনো নিজের অবস্থার ওপর, নিজের যোগ্যতা, পজিশন, মান-সম্মান, ধন-সম্পদ, রূপ-সৌন্দর্য, ইমান, আমল ইত্যাদির উপর অহমিকা, অহংকার করতে পারে না। অন্যকে হেয়প্রতিপন্ন করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তো আল্লাহ তায়ালার মুখাপেক্ষী; কিন্তু আল্লাহ তায়ালা অমুখাপেক্ষী, প্রশংসা। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের অপসৃত করতে পারেন এবং এক নতুন সৃষ্টি আনতে পারেন। এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষে কঠিন নয়।’ (সূরা ফাতির: ১৫-১৭)। আল্লাহ তায়ালা হজরত ইউসুফ (আ.)-এর উক্তি বর্ণনা করেন- সে বলল, ‘আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না, মানুষের মন অবশ্যই মন্দ কর্মপ্রবণ, কিন্তু সে নয় যার প্রতি আমার প্রতিপালক দয়া করেন। আমার প্রতিপালক তো অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা ইউসুফ : ৫৩)। তিনি আরো বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠে দম্ভভরে বিচরণ করো না; তুমি তো কখনোই পদভারে ভূপৃষ্ঠ বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পর্বত সমান হতে পারবে না।’ (সূরা বনি ইসরাইল: ৩৭)। ‘মানুষ ধ্বংস হোক! সে কত অকৃতজ্ঞ! তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন? শুক্রবিন্দু থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেন, পরে তার পরিমিত বিকাশ সাধন করেন; এরপর তার জন্য পথ সহজ করে দেন।’ (সূরা আবাসা: ১৭-২০)। তাই মানুষের অহংকার-অহমিকা প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।