ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রধান শিক্ষকের মেয়াদ শেষ তাই!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপা বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকুরীর মেয়াদ শেষ, তাই তড়িঘড়ি করে স্কুলের গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের এই অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এলাকাবাসি শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেছেন। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবর আলী লিখিত অভিযোগে জানান, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তারা নিজ হাতে গাছ গুলো রোপন করেছিলেন। বর্তমানে গাছগুলো বিনা টেন্ডার ও মুল্য নির্ধারণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে কেটে ফেলা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের চাকরীর বয়স শেষ বলে তিনি স্কুল সভাপতির সাথে যোগসাজস করে গাছগুলো কেটে ফেলছেন বলে অভিযোগ করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বসুদেব কুমার ঘোষ বলেন, বিদ্যালয়ে জে এস সি এবং এস এস সি  পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। এবার এস এস সি পরীক্ষায় তাবু টানিয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে, তাই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য গাছ গুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ দিদারুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের অবস্থা জরাজীর্ন, গাছ বেচার সিদ্ধান্ত কমিটি নিয়েছে, তারা এটা নেয়ার অধিকার রাখে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ১৫ তারিখে ১৫ টি গাছের নিলাম মূল্য হাকা হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। তবে ১৫ টি বড় মেহ গনি গাছের মূল্য এতো কম টাকা ডাকায় জন মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্কুল সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক গোপনে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলে এমন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

প্রধান শিক্ষকের মেয়াদ শেষ তাই!

আপলোড টাইম : ০৪:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপা বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকুরীর মেয়াদ শেষ, তাই তড়িঘড়ি করে স্কুলের গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের এই অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এলাকাবাসি শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেছেন। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবর আলী লিখিত অভিযোগে জানান, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তারা নিজ হাতে গাছ গুলো রোপন করেছিলেন। বর্তমানে গাছগুলো বিনা টেন্ডার ও মুল্য নির্ধারণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে কেটে ফেলা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের চাকরীর বয়স শেষ বলে তিনি স্কুল সভাপতির সাথে যোগসাজস করে গাছগুলো কেটে ফেলছেন বলে অভিযোগ করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বসুদেব কুমার ঘোষ বলেন, বিদ্যালয়ে জে এস সি এবং এস এস সি  পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। এবার এস এস সি পরীক্ষায় তাবু টানিয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে, তাই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য গাছ গুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ দিদারুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের অবস্থা জরাজীর্ন, গাছ বেচার সিদ্ধান্ত কমিটি নিয়েছে, তারা এটা নেয়ার অধিকার রাখে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ১৫ তারিখে ১৫ টি গাছের নিলাম মূল্য হাকা হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। তবে ১৫ টি বড় মেহ গনি গাছের মূল্য এতো কম টাকা ডাকায় জন মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্কুল সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক গোপনে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলে এমন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।