ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

নামাজে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচুন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • / ২১৮০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: নামাজের মধ্যে আমাদের শয়তান বিভিন্ন রকম ওয়াসওয়াসা বা ধোঁকা দিয়ে থাকে। এর থেকে আমাদের বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। কেউ কেউ বলেন, নামাজে হুজুরি কলব বা মনের একাগ্রতা না হলে নামাজ হয় না। নামাজে বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণা এলে নামাজ পড়ার প্রয়োজন নেই। যখন একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ পড়তে পারবে তখন পড়বে।-এটা শয়তানের কুমন্ত্রণা। মনের একাগ্রতা একেবারেই না হলে নামাজ হয় না-বিষয়টা এমন নয়। এতে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়-এমন মাসয়ালা কোনো ইমামই বলেননি। একাগ্রতা নামাজ কবুল হওয়ার শর্ত, নামাজ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত নয়। নামাজে তাকবিরে তাহরিমা বাঁধার সময় মন আল্লাহর দিকে থাকলে এবং কিছু সময় সূরা-কেরাত ইত্যাদির প্রতি খেয়াল থাকলেই হুজুরি কলবের হক আদায় হয়ে যাবে (মাআরিফুল কুরআন)। শয়তান নামাজে মনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বাজে খেয়াল এনে ভিড় জমায়। এর জন্য মন অস্থির হয়ে ওঠে। এর প্রতিকারে হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী (রহ.) বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজের মধ্যে কোনো বাজে খেয়াল আনা উচিত নয়। অনিচ্ছায় যেসব খেয়াল আসে এর জন্য পেরেশান-অস্থির হবেন না। এদিক-সেদিক মন না নিয়ে নামাজের মধ্যে ধ্যান-খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন। নামাজে ইমাম সাহেব কী পড়ছেন বা আপনি কী পড়ছেন এর প্রতি খেয়াল রাখবেন। অর্থ জানা থাকলে এর প্রতিও মনোযোগ দেবেন। মনে আল্লাহর ভয় রাখবেন। আল্লাহ আমাকে দেখছেন-এ খেয়াল রাখবেন। একাগ্রতার জন্য নামাজের সুন্নত মুস্তাহাবসমূহ আদায় করাও জরুরি। এভাবে নামাজ পড়তে থাকলে ধীরে ধীরে মনের একাগ্রতা সৃষ্টি হবে (শরিয়ত ও তরিকত, তারবিয়াতুস সালেক)। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন শয়তান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে অনেক দূরে চলে যায়, যেন আজানের শব্দ তার কানে প্রবেশ না করে। আজান শেষ হলে আবার লোকালয়ে ফিরে আসে। ইকামত শেষ হলে আবার এসে নামাজির মনে নানা প্রকার ওয়াসওয়াসা-কুমন্ত্রণা দিতে থাকে, এদিক-সেদিক থেকে নানা প্রকার কথা তাদের মনে টেনে আনতে থাকে, যা ইতোপূর্বে তাদের মনেও ছিল না। এভাবে শয়তান নামাজি ব্যক্তিকে নানা প্রকার কথায় ফেলে তার নামাজ ভুলিয়ে ফেলে। এমনকি কত রাকাত পড়েছে তাও স্মরণ থাকে না (বুখারি শরিফ)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

নামাজে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচুন

আপলোড টাইম : ০৪:০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: নামাজের মধ্যে আমাদের শয়তান বিভিন্ন রকম ওয়াসওয়াসা বা ধোঁকা দিয়ে থাকে। এর থেকে আমাদের বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। কেউ কেউ বলেন, নামাজে হুজুরি কলব বা মনের একাগ্রতা না হলে নামাজ হয় না। নামাজে বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণা এলে নামাজ পড়ার প্রয়োজন নেই। যখন একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ পড়তে পারবে তখন পড়বে।-এটা শয়তানের কুমন্ত্রণা। মনের একাগ্রতা একেবারেই না হলে নামাজ হয় না-বিষয়টা এমন নয়। এতে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়-এমন মাসয়ালা কোনো ইমামই বলেননি। একাগ্রতা নামাজ কবুল হওয়ার শর্ত, নামাজ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত নয়। নামাজে তাকবিরে তাহরিমা বাঁধার সময় মন আল্লাহর দিকে থাকলে এবং কিছু সময় সূরা-কেরাত ইত্যাদির প্রতি খেয়াল থাকলেই হুজুরি কলবের হক আদায় হয়ে যাবে (মাআরিফুল কুরআন)। শয়তান নামাজে মনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বাজে খেয়াল এনে ভিড় জমায়। এর জন্য মন অস্থির হয়ে ওঠে। এর প্রতিকারে হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী (রহ.) বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজের মধ্যে কোনো বাজে খেয়াল আনা উচিত নয়। অনিচ্ছায় যেসব খেয়াল আসে এর জন্য পেরেশান-অস্থির হবেন না। এদিক-সেদিক মন না নিয়ে নামাজের মধ্যে ধ্যান-খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন। নামাজে ইমাম সাহেব কী পড়ছেন বা আপনি কী পড়ছেন এর প্রতি খেয়াল রাখবেন। অর্থ জানা থাকলে এর প্রতিও মনোযোগ দেবেন। মনে আল্লাহর ভয় রাখবেন। আল্লাহ আমাকে দেখছেন-এ খেয়াল রাখবেন। একাগ্রতার জন্য নামাজের সুন্নত মুস্তাহাবসমূহ আদায় করাও জরুরি। এভাবে নামাজ পড়তে থাকলে ধীরে ধীরে মনের একাগ্রতা সৃষ্টি হবে (শরিয়ত ও তরিকত, তারবিয়াতুস সালেক)। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন শয়তান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে অনেক দূরে চলে যায়, যেন আজানের শব্দ তার কানে প্রবেশ না করে। আজান শেষ হলে আবার লোকালয়ে ফিরে আসে। ইকামত শেষ হলে আবার এসে নামাজির মনে নানা প্রকার ওয়াসওয়াসা-কুমন্ত্রণা দিতে থাকে, এদিক-সেদিক থেকে নানা প্রকার কথা তাদের মনে টেনে আনতে থাকে, যা ইতোপূর্বে তাদের মনেও ছিল না। এভাবে শয়তান নামাজি ব্যক্তিকে নানা প্রকার কথায় ফেলে তার নামাজ ভুলিয়ে ফেলে। এমনকি কত রাকাত পড়েছে তাও স্মরণ থাকে না (বুখারি শরিফ)।