ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি কলেজে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্পের সেমিনারে বক্তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জরুরী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে

1_IMG_9254

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জনবল। দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে চুয়াডাঙ্গা জেলার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ গভর্নেন্স (এলআইসটি) প্রকল্পের আওতায় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: কামরুজ্জামান, এলআইসিটি প্রোজেক্টের টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট মো: আসাদ-উর রহমান নাইল, ওমেন ইন ডিজিটাল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রাহাতারা ফেরদৌসী তুর্না, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ও আইসিটি ইন-চার্জ মো: মনিরুজ্জামান, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মুন্সী আবু সাইফ। এছাড়াও উক্ত কলেজের  বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে আইটি পেশাজীবির সংখ্যা বর্তমান সাত লাখ থেকে ২০ লাখে উন্নীত করতে চায়। এজন্য নানামূখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আইটি শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী এলআইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইটিতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৪৫ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। দেশব্যাপী অব্যহত রয়েছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এছাড়াও চলমান রয়েছে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির প্রশিক্ষণ। তাছাড়া বিসিসিতে অব্যাহতভাবে তথ্য প্রযুক্তির নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক তার বক্তব্যে বলেন, আইসিটি ডিভিশনের অধীনে এলআইসিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারাদেশ ব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারপ্রান্তে যে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে। একই সাথে তরুণ সমাজকে আইটিতে তাদের ভবিষ্যত গড়ারও আহবান জানান। এলআইসিটি প্রোজেক্টের টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট মো: আসাদ-উর রহমান নাইল তার বক্তব্যে কলেজের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে হলে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এলআইসিটি প্রোজেক্টের টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট মো: আসাদ-উর রহমান নাইল-এর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা আইটিতে অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অনলাইন কুইজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে একজন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষার্থীকে উই মোবাইলের সৌজন্যে একটি করে স্মার্ট মোবাইল ফোন পুরষ্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি কলেজে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্পের সেমিনারে বক্তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জরুরী

আপলোড টাইম : ০৭:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

1_IMG_9254

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জনবল। দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে চুয়াডাঙ্গা জেলার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ গভর্নেন্স (এলআইসটি) প্রকল্পের আওতায় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: কামরুজ্জামান, এলআইসিটি প্রোজেক্টের টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট মো: আসাদ-উর রহমান নাইল, ওমেন ইন ডিজিটাল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রাহাতারা ফেরদৌসী তুর্না, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ও আইসিটি ইন-চার্জ মো: মনিরুজ্জামান, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মুন্সী আবু সাইফ। এছাড়াও উক্ত কলেজের  বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে আইটি পেশাজীবির সংখ্যা বর্তমান সাত লাখ থেকে ২০ লাখে উন্নীত করতে চায়। এজন্য নানামূখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আইটি শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী এলআইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইটিতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৪৫ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। দেশব্যাপী অব্যহত রয়েছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এছাড়াও চলমান রয়েছে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির প্রশিক্ষণ। তাছাড়া বিসিসিতে অব্যাহতভাবে তথ্য প্রযুক্তির নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক তার বক্তব্যে বলেন, আইসিটি ডিভিশনের অধীনে এলআইসিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারাদেশ ব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারপ্রান্তে যে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে। একই সাথে তরুণ সমাজকে আইটিতে তাদের ভবিষ্যত গড়ারও আহবান জানান। এলআইসিটি প্রোজেক্টের টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট মো: আসাদ-উর রহমান নাইল তার বক্তব্যে কলেজের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে হলে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এলআইসিটি প্রোজেক্টের টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট মো: আসাদ-উর রহমান নাইল-এর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা আইটিতে অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অনলাইন কুইজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে একজন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষার্থীকে উই মোবাইলের সৌজন্যে একটি করে স্মার্ট মোবাইল ফোন পুরষ্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।