ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পুলিশের সামনেই ৬টি গুলি করেন মেয়র মিরু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • / ৩২৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: আত্মরক্ষার্থে নয়, বরং প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতেই শাহজাদপুরের পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু পুলিশের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন। গত বৃহস্পতিবার শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে শটগান দিয়ে অন্তত ছয় রাউন্ড গুলি করেন মেয়র। ঘটনার একটি ভিডিওচিত্রে এ দৃশ্য দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়রের গুলিতেই নিহত হন সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল। ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি মোবাইল ফোনে ধারণ করা। স্থানীয় এক ব্যক্তি তা ধারণ করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই পিন্টু শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেন। বিজয় শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি রহিমের শ্যালক। বিজয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে ভিপি রহিমের সমর্থকরা দিলরুবা বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের একাংশ লাঠি হাতে মেয়র মিরুর মনিরামপুর মহল্লার বাড়ি ঘেরাও করে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘেরাওয়ের সময় মেয়রের বাড়ির সামনে পুলিশ ছিল। পুলিশ সদস্যরা ভিপি রহিমের সমর্থকদের ঠেলে মেয়রের বাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় অন্তত চার রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। পুলিশ ভিপি রহিমের সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়ার পর মেয়রের সমর্থকরা পিন্টুর নেতৃত্বে গলি থেকে লাঠি হাতে বেরিয়ে এসে তাদের ধাওয়া করে। তখন সাদা গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরা মেয়রও শটগান হাতে বেরিয়ে এসে ভিপি রহিমের সমর্থকদের ধাওয়া করেন। এ সময় দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। ৪৫ সেকেন্ড পর মেয়র আবার নিজ বাসভবনের গলিতে ফিরে আসেন। তার হাতে ছিল অস্ত্র। ঘটনার পরপর মেয়র মিরু দাবি করেছিলেন, তিনি আত্মরক্ষার্থে লাইসেন্স করা শটগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। কিন্তু ভিডিওতে অন্তত ছয় রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। মেয়র ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন এমন কোনো দৃশ্যও দেখা যায়নি। তাকে দৌড়ে যেতে দেখা যায়। এর দুই সেকেন্ড পরেই শোনা যায় গুলির শব্দ। ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী সমকালকে জানিয়েছেন, মেয়র মিরু দৌড়ে যাওয়ার পর যে গুলির শব্দ শোনা গেছে তাতেই আহত হন ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল। গুলি বর্ষণের পরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও মেয়রের সমর্থকদের তারা ঠেকানোর চেষ্টা করেনি। বরং পুলিশের উপস্থিতিতেই গলি থেকে বেরিয়ে গুলি করে আবারও বাড়ির গলিতে ফিরে যান মেয়র মির।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

পুলিশের সামনেই ৬টি গুলি করেন মেয়র মিরু

আপলোড টাইম : ০৪:৫৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: আত্মরক্ষার্থে নয়, বরং প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতেই শাহজাদপুরের পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু পুলিশের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন। গত বৃহস্পতিবার শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে শটগান দিয়ে অন্তত ছয় রাউন্ড গুলি করেন মেয়র। ঘটনার একটি ভিডিওচিত্রে এ দৃশ্য দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়রের গুলিতেই নিহত হন সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল। ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি মোবাইল ফোনে ধারণ করা। স্থানীয় এক ব্যক্তি তা ধারণ করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই পিন্টু শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেন। বিজয় শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি রহিমের শ্যালক। বিজয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে ভিপি রহিমের সমর্থকরা দিলরুবা বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের একাংশ লাঠি হাতে মেয়র মিরুর মনিরামপুর মহল্লার বাড়ি ঘেরাও করে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘেরাওয়ের সময় মেয়রের বাড়ির সামনে পুলিশ ছিল। পুলিশ সদস্যরা ভিপি রহিমের সমর্থকদের ঠেলে মেয়রের বাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় অন্তত চার রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। পুলিশ ভিপি রহিমের সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়ার পর মেয়রের সমর্থকরা পিন্টুর নেতৃত্বে গলি থেকে লাঠি হাতে বেরিয়ে এসে তাদের ধাওয়া করে। তখন সাদা গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরা মেয়রও শটগান হাতে বেরিয়ে এসে ভিপি রহিমের সমর্থকদের ধাওয়া করেন। এ সময় দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। ৪৫ সেকেন্ড পর মেয়র আবার নিজ বাসভবনের গলিতে ফিরে আসেন। তার হাতে ছিল অস্ত্র। ঘটনার পরপর মেয়র মিরু দাবি করেছিলেন, তিনি আত্মরক্ষার্থে লাইসেন্স করা শটগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। কিন্তু ভিডিওতে অন্তত ছয় রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। মেয়র ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন এমন কোনো দৃশ্যও দেখা যায়নি। তাকে দৌড়ে যেতে দেখা যায়। এর দুই সেকেন্ড পরেই শোনা যায় গুলির শব্দ। ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী সমকালকে জানিয়েছেন, মেয়র মিরু দৌড়ে যাওয়ার পর যে গুলির শব্দ শোনা গেছে তাতেই আহত হন ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল। গুলি বর্ষণের পরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও মেয়রের সমর্থকদের তারা ঠেকানোর চেষ্টা করেনি। বরং পুলিশের উপস্থিতিতেই গলি থেকে বেরিয়ে গুলি করে আবারও বাড়ির গলিতে ফিরে যান মেয়র মির।