মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল বেড়েছে ডায়রিয়ায় প্রার্দুভাব ২০ শয্যার বিপরীতে এখন পর্যন্ত ভর্তি আছে ৬০
- আপলোড টাইম : ০১:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে
মেহেরপুরের প্রতিনিধি: আবহাওয়া জনিত কারণে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল বেড়েছে ডায়রিয়ায় অক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ২০টি শয্যার বিপরীতে এখন পর্যন্ত ভর্তি আছে ৬০ জন । বেড না পাওয়ায় খোলা বারান্দায় থেকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেককে। স্বজনদের দাবি হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে না প্রয়োজনীয় ওষুধ। আর কর্তৃপক্ষের দাবী কোন ওষুধের সংকট নেই। খাবার স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহ থেকে জেলায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যায় বেশী। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য নির্ধারিত ২০টি শয্যা আছে। অথচ ভর্তি থাকছে ৫০ থেকে ৬০ জন। এছাড়া ভর্তি রোগী ছাড়াও বর্হিঃবিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না থাকায় সিঁড়ি ঘরের পাশে খোলা বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। এতে ঠান্ডা লেগে শিশুরা আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির আশংকাও বাড়ছে। স্বজনদের দাবী হাসপাতাল থেকে কোন ওষুধ দেওয়া হচ্ছেনা। চিকিৎসকদের দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। এমনকি ডায়রিয়ার জন্য জরুরী খাবার স্যালাইনটাও তারা হাসপাতাল থেকে পাচ্ছে না। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। পর্যাপ্ত চিকিৎসা না মেলায় বাড়ছে ক্ষোভ। বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে গিয়ে গরিব রোগীরা পড়ছেন চরম বিপাকে। অপরদিকে খোলা বারান্দায় থেকে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন রোগীর স্বজনরা। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মৃনাল কান্তি মন্ডল জানান, জেনারেল হাসপাতাল মেহেরপুর হাসপাতালের আর.এম.ও জানান ভাইরাস জনিত কারণে এখন ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেশ। তবে ওষুধের সংকট নেই দাবী করে । তিনি বলেন খাবার স্যালাইনের সংকট আছে। তবে দ্রত সে সংকট পূরণের আশা প্রকাশ করেন। জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ এহসানুল কবির জানান, চিকিৎসকরা বলছেন এটা একটা ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগ থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে মায়েদের আরো বেশী সচেতন হতে হবে। শিশুদের বিশুদ্ধ পানি ও পরিপূরক খাবার খাওয়াতে হবে।