ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

দেশে সরকারি ভাবে স্পিরিট তৈরির একমাত্র কারখানা কেরু এন্ড কোম্পানি চিটাগুড়ের সাথে সাশ্রয়নীতির নামে পানি মিশ্রনের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ১১৯০ বার পড়া হয়েছে

sds

বিশেষ প্রতিনিধি অঞ্জন দত্ত: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কেরু এন্ড কোম্পানির ডিষ্টিলারীতে সাশ্রয়নীতির নামে পানি মিশ্রনের অভিযোগ উঠেছে। দেশে সরকারি ভাবে স্পিরিট তৈরির একমাত্র কারখানা কেরু এন্ড কোম্পানি। কারখানাটি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের প্রান বললেও ভুল হবে না। যেখান থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। সেই কারখানার প্রধান কাচামাল চিটাগুড়। বাংলাদেশের সকল চিনিকল গুলো থেকে চিটাগুড় সংগ্রহ করে এ কারখানায় (ডিষ্টিলারী) স্প্রিরিট তৈরি করা হয়। আর এই স্প্রিট তৈরির প্রধান কাচামাল চিটাগুড়ের সাথেই যদি পানি মিশ্রন থাকে তাহলে সেই কাচামাল থেকে আর কতটুকু স্প্রিট পাওয়া যেতে পারে? জানাগেছে, সকল চিনিকল গুলো থেকে এই কাঁচামাল সংগ্রহ করার জন্য জিয়াউল হক ট্রেডার্স নামের বাইরের একজন ব্যক্তির নিকট প্রতি বছর টেন্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মনীতি অনুসারে এর দেখভাল করার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও তৈরি করা হয়। নিয়মে আছে কাঁচামাল যেখান থেকে ক্রয় করা হবে এই কমিটির সদস্যরা সেখানে যেয়ে কাচামালের ব্রীক্স পরিমাপ করবে এবং কাচামাল আনলোড হওয়ার আগে এই সদস্যরাই আবার ব্রীক্স পরিমাপ করে কারখানায় আনলোড করবে। এসকল নিয়ম থাকা সত্ত্বেও গতকাল সন্ধা ৬টার সময় মেসার্স জিয়াউল হক ট্রেডার্স নামের ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৩২৩১ নং একটি গাড়ি আনলোড করার প্রায় শেষ সময় কয়েকজন সচেতন সাধারন শ্রমিকের পানি মিশ্রিত চিটাগুড় চোখে পড়ে। তৎক্ষনিক সভাপতি তৈয়ব আলি ও সাধারন সম্পাদক মাছুদুর রহমান বিষয়টি শুনতে পায়। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। তৎক্ষনিক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসাবে আকুল হোসেন মহাব্যাবস্থাপক (প্রশাসন) ও ডিষ্টিলারী একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসে। গাড়ি থেকে আনলোড না হওয়া চিটাগুড় থেকে স্যাস্পল নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। ইতিমদ্ধে আরও একটি লোড গাড়ি আনলোড করার জন্য কারখানার সামনে পৌছালে ঐ গাড়িটিও আনলোড না করে রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনা কেরু এলাকাই সাধারন শ্রমিক ও সচেতন মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কয়েকজন সচেতন মানুষের মুখথেকে শোনা যায়, কর্তৃপক্ষ উপরে উপরে সাশ্রয়নীতির নামে শ্রমিক কর্মচারিদের ঠকাচ্ছে আর তলায় তলায় ঠিকই এধরনের বড় পুকুর চুরির ঘটনা ঘটছে। এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে কোম্পানির আইনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

You cannot copy content of this page

দেশে সরকারি ভাবে স্পিরিট তৈরির একমাত্র কারখানা কেরু এন্ড কোম্পানি চিটাগুড়ের সাথে সাশ্রয়নীতির নামে পানি মিশ্রনের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১২:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৭

sds

বিশেষ প্রতিনিধি অঞ্জন দত্ত: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কেরু এন্ড কোম্পানির ডিষ্টিলারীতে সাশ্রয়নীতির নামে পানি মিশ্রনের অভিযোগ উঠেছে। দেশে সরকারি ভাবে স্পিরিট তৈরির একমাত্র কারখানা কেরু এন্ড কোম্পানি। কারখানাটি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের প্রান বললেও ভুল হবে না। যেখান থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। সেই কারখানার প্রধান কাচামাল চিটাগুড়। বাংলাদেশের সকল চিনিকল গুলো থেকে চিটাগুড় সংগ্রহ করে এ কারখানায় (ডিষ্টিলারী) স্প্রিরিট তৈরি করা হয়। আর এই স্প্রিট তৈরির প্রধান কাচামাল চিটাগুড়ের সাথেই যদি পানি মিশ্রন থাকে তাহলে সেই কাচামাল থেকে আর কতটুকু স্প্রিট পাওয়া যেতে পারে? জানাগেছে, সকল চিনিকল গুলো থেকে এই কাঁচামাল সংগ্রহ করার জন্য জিয়াউল হক ট্রেডার্স নামের বাইরের একজন ব্যক্তির নিকট প্রতি বছর টেন্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মনীতি অনুসারে এর দেখভাল করার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও তৈরি করা হয়। নিয়মে আছে কাঁচামাল যেখান থেকে ক্রয় করা হবে এই কমিটির সদস্যরা সেখানে যেয়ে কাচামালের ব্রীক্স পরিমাপ করবে এবং কাচামাল আনলোড হওয়ার আগে এই সদস্যরাই আবার ব্রীক্স পরিমাপ করে কারখানায় আনলোড করবে। এসকল নিয়ম থাকা সত্ত্বেও গতকাল সন্ধা ৬টার সময় মেসার্স জিয়াউল হক ট্রেডার্স নামের ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৩২৩১ নং একটি গাড়ি আনলোড করার প্রায় শেষ সময় কয়েকজন সচেতন সাধারন শ্রমিকের পানি মিশ্রিত চিটাগুড় চোখে পড়ে। তৎক্ষনিক সভাপতি তৈয়ব আলি ও সাধারন সম্পাদক মাছুদুর রহমান বিষয়টি শুনতে পায়। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। তৎক্ষনিক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসাবে আকুল হোসেন মহাব্যাবস্থাপক (প্রশাসন) ও ডিষ্টিলারী একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসে। গাড়ি থেকে আনলোড না হওয়া চিটাগুড় থেকে স্যাস্পল নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। ইতিমদ্ধে আরও একটি লোড গাড়ি আনলোড করার জন্য কারখানার সামনে পৌছালে ঐ গাড়িটিও আনলোড না করে রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনা কেরু এলাকাই সাধারন শ্রমিক ও সচেতন মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কয়েকজন সচেতন মানুষের মুখথেকে শোনা যায়, কর্তৃপক্ষ উপরে উপরে সাশ্রয়নীতির নামে শ্রমিক কর্মচারিদের ঠকাচ্ছে আর তলায় তলায় ঠিকই এধরনের বড় পুকুর চুরির ঘটনা ঘটছে। এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে কোম্পানির আইনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।