চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় হাতুড়ে ডাক্তার সজলের বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসার অভিযোগ গরু-ছাগলের ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে মানুষের শরীরে!
- আপলোড টাইম : ০২:১০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৬০৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা দর্শনায় হাতুড়ে ডাক্তার মোঃ ইসলামূল হক সজলের ভয়ঙ্কর চিকিৎসা ব্যবস্থা, গরু-ছাগলের ইনজেকশন দিয়ে করা হচ্ছে মানুষের চিকিৎসা! তার এই ভয়ঙ্কর অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সাজেদুল ইসলাম (১৭)। বিষয়টি সে বুঝতে পেরে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে দামুড়হুদা উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সাজেদুল ইসলাম (১৭), দীর্ঘদিন ধরে পায়ের নোখে পচন জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিল। সে চিকিৎসার জন্য তার বড় বোনের সাথে দর্শনার নিপা মেডিকেল হল এর কথিত হাতুড়ে মোঃ ইসলামূল হক সজলের স্বরনাপন্ন হয়। ডা. সজল, রোগী সাজেদুলের চিকিৎসার নামে তার পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করে এবং অবশিষ্ট ঔষধ সাজেদুলকে দিয়ে বলে সে যেনো এটা প্রতি রাতে নিজে অথবা অন্য কারো সহায়তায় পায়ে পুশ করে । এছাড়াও তাকে আরো সাতটি অর্থকল ৫০০’ (ঙজঞঐঙঈঅখ-৫০০) ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দিয়ে ৫শ’ টাকা ভিজিট নেয় এবং ১মাস পর আবার দেখা করতে বলেন। তার কথা মত সাজেদুল পরদিন ইনজেকশন পুশ করতে গিয়ে দেখেন ইনজেকশনের বোতলের লেভেলের গায়ে গরু, মুরগী, ছাগল প্রভৃতি পশুপাখির ছবি সম্বলিত ও নির্দেশনাবলীতে লেখা “শুধুমাত্র প্রাণী চিকিৎসায় ব্যবহার্য”। বিষয়টি দেখার পর রোগী সাজেদুলের কাছে ভীতিকর ও অস্বাভাবিক মনে হয়। সে বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসান এর নিকট উক্ত ডাক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায়। নিবার্হী কর্মকর্তা তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনা অত্র এলাকায় জানাজানি হলে ডাক্তার মোঃ ইসলামূল হক সজলের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসে নানা অপচিকিৎার কথা। নাম প্রকাশে ইচ্ছুক না এমন অনেকে জানান, ডাক্তার সজল দীর্ঘদিন ধরে এমন অপচিকিৎসা করে আসছে। এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। তবে, সম্প্রতি হাতুড়ে কথিত ডাক্তার সজলের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে একাধিক বার শাস্তিমূলক জরিমানও হয়েছে। এদিকে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কথিত ডাক্তার মোঃ ইসলামূল হক সজল জানান, এ অভিযোগটি সত্য নয়। ওই রোগী আমার কাছে চিকিৎসার জন্য আসলে, ছাত্র বিবেচনায় তাকে ৫’শ টাকা মূল্যের ওষুধ দিই। আমি নিজে তার শরীরে কোন ইনজেকশন পুশ করেনি। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তের জন্য দামুড়হুদা মডেল থানায় প্রেরণ করছি। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই সাজেদুল বলেন, বাদী এবং বিবাদীকে থানায় হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা কেউ হাজির হয়নি। পরে কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্তের প্রয়োজনে অতি দ্রুত তাদেরকে ডাকা হবে।