ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দর্শনা শান্তিপাড়ায় প্রকাশ্যে রমরমা মাদকব্যবসা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা সচেতন মহলের!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদার দর্শনা শান্তিপাড়ার বাচ্চু, হৃদয় ও রাবু দীর্ঘদিন থেকে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। যেন দেখার কেউ নেই! জনমনে এমনটিই প্রশ্ন উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার দর্শনার শান্তিপাড়ায় অনেক মানুষের আনাগুনা থাকলেও প্রশাসন যেন নিরব ভূমিকা পালন করেন। আর কত ইয়াবা, ফেন্সিডিলও হিরোইনের মতো মাদকদ্রব্য বেচাকেনার পর এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে? এসব মাদক ব্যবসায়ীরা জাতির আগামীদিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে অবাধে তুলে দিচ্ছে মারণনেশা। এর ফলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো জঘন্যতম অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে স্কুল পড়–য়া তরুণ ও যুব সমাজ। এনিয়ে চিন্তিত, শঙ্কিত অভিভাবক ও সচেতন মহল ।  অনুসন্ধান করে জানা গেছে, দর্শনা পৌরসভার শান্তিপাড়ায় মাদক সেবনের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদকসেবীরা প্রতিদিন এখানে আসে। এখানে দেখা যায় মাদক সেবীদের বেশির ভাগই স্কুল-কলেজ পড়–য়া। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, শান্তিপাড়া থেকে কয়েক একশো গজ দুরে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র অবস্থিত হওয়ার পরও কিভাবে এখানে মাদক সেবীরা মাদকগ্রহন ও মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়াভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তা আমাদের জানা নেই। হঠাৎ বৃষ্টির মতো মাঝে মাঝে আইন শৃংখলা বাহিনীদের তৎপর দেখা গেলেও অনেকটা লোক দেখানো বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন মহিলা এ প্রতিনিধিকে বলেন খুব কষ্ট করে আমাদের ছেলেদের এনজিও থেকে লোন নিয়ে আয়ের উৎস্য হিসেবে ইজিবাইক ও পাখিভ্যান কিনে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের ছেলেরা সারাদিন ভাড়া মেরে রাতে শান্তিপাড়া থেকে গাঁজা ও ইয়াবা খেয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফেরে। শুনেছি চুয়াডাঙ্গা জেলার বড় একটা অফিসার আছে মহিলা তিনিও তো কারো না কারো মা। আমি তোমাদের মাধ্যমে ওই বড় অফিসারের কাছে দর্শনা শান্তিপাড়ার মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের দাবি করছি। চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপের আশায় কথাগুলো বলছিলেন নেশাগ্রস্থ দু’যুবকের মা।  উপর উক্ত বিষয়ে জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনা শান্তিপাড়ায় প্রকাশ্যে রমরমা মাদকব্যবসা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা সচেতন মহলের!

আপলোড টাইম : ০২:১১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদার দর্শনা শান্তিপাড়ার বাচ্চু, হৃদয় ও রাবু দীর্ঘদিন থেকে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। যেন দেখার কেউ নেই! জনমনে এমনটিই প্রশ্ন উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার দর্শনার শান্তিপাড়ায় অনেক মানুষের আনাগুনা থাকলেও প্রশাসন যেন নিরব ভূমিকা পালন করেন। আর কত ইয়াবা, ফেন্সিডিলও হিরোইনের মতো মাদকদ্রব্য বেচাকেনার পর এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে? এসব মাদক ব্যবসায়ীরা জাতির আগামীদিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে অবাধে তুলে দিচ্ছে মারণনেশা। এর ফলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো জঘন্যতম অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে স্কুল পড়–য়া তরুণ ও যুব সমাজ। এনিয়ে চিন্তিত, শঙ্কিত অভিভাবক ও সচেতন মহল ।  অনুসন্ধান করে জানা গেছে, দর্শনা পৌরসভার শান্তিপাড়ায় মাদক সেবনের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদকসেবীরা প্রতিদিন এখানে আসে। এখানে দেখা যায় মাদক সেবীদের বেশির ভাগই স্কুল-কলেজ পড়–য়া। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, শান্তিপাড়া থেকে কয়েক একশো গজ দুরে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র অবস্থিত হওয়ার পরও কিভাবে এখানে মাদক সেবীরা মাদকগ্রহন ও মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়াভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তা আমাদের জানা নেই। হঠাৎ বৃষ্টির মতো মাঝে মাঝে আইন শৃংখলা বাহিনীদের তৎপর দেখা গেলেও অনেকটা লোক দেখানো বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন মহিলা এ প্রতিনিধিকে বলেন খুব কষ্ট করে আমাদের ছেলেদের এনজিও থেকে লোন নিয়ে আয়ের উৎস্য হিসেবে ইজিবাইক ও পাখিভ্যান কিনে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের ছেলেরা সারাদিন ভাড়া মেরে রাতে শান্তিপাড়া থেকে গাঁজা ও ইয়াবা খেয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফেরে। শুনেছি চুয়াডাঙ্গা জেলার বড় একটা অফিসার আছে মহিলা তিনিও তো কারো না কারো মা। আমি তোমাদের মাধ্যমে ওই বড় অফিসারের কাছে দর্শনা শান্তিপাড়ার মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের দাবি করছি। চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপের আশায় কথাগুলো বলছিলেন নেশাগ্রস্থ দু’যুবকের মা।  উপর উক্ত বিষয়ে জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।