ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নকল বিজয়ী সাজিয়ে প্রথম পুরস্কার নেওয়ার চেষ্টা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯
  • / ১৪৩৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে ঈদ লাকি কুপনের ড্র : গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

দিনভর উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ : ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
নিজস্ব প্রতিবেক:
চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়কে অবস্থিত প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে ঈদ পরবর্তী লাকি কুপনে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। মার্কেট ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার ও ব্যবসায়ী আমীর বাদশার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। ২০ জুন বৃহস্পতিবার প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে ঈদ পরবর্তী লাকি কুপনের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ১১০টি কুপন তুলে কুপনদাতাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এক এক করে সব পুরস্কার বিজয়ীরা নিয়ে গেলেও ১ম পুরস্কার নিয়ে বাধে ঝামেলা। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী বাদশা অসাধু পন্থায় কৌশলে প্রথম পুরস্কার একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বিষয়টি সবার নজর আসে। এ ঘটনায় প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে দোকানি ও কুপন কমিটির মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। চাপা উত্তেজনা শেষে গতকাল শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত বাদশার সঙ্গে সাধারণ দোকানিসহ কমিটির সদস্যদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে ঈদ লাকি কুপনের আয়োজন করে মার্কেট কর্তৃপক্ষ। এ লাকি কুপন পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি আজিজ প্রিন্টিং প্রেস থেকে ৭০ হাজার লাকি কুপন ছাপায়। পূর্বনির্ধারিত লটারির সময়ের মধ্যে ৫৬ হাজার কুপন বিক্রি হয়। তাই ৫৬ হাজার সিরিয়ালের পর কোনো কূপন বিক্রি হয়নি। কিন্তু প্রথম পুরস্কার মোটরসাইকেল যে কুপনটিতে বেঁধেছে, সেটি ৬৯ হাজার সিরিয়ালের। এ নিয়ে মার্কেটের সমস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির কয়েকজন বলেন, ১, ৩৪ ও ১১০ নম্বরের তিন বিজয়ীর ফোন নম্বার এক। এর মধ্যে ৩৪ ও ১১০ নম্বর পুরস্কার ইতিমধ্যে বিজয়ীরা সংগ্রহ করলেও ১ম পুরস্কার কেউ নিতে আসেননি। তবে এই তিন কুপনের মালিক একজনই। আর এ নম্বরটা ম্যানেজার আমীর বাদশার বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন সবাই। কমিটির লোকজন আরও বলেন, ‘এ তিন কুপনের বিজয়ীরা হলেন মার্কেটের ম্যানেজার তন্নি ফ্যাশানের স্বত্বাধিকারী আমীর বাদশা। তিনি অসাধু উপায়ে বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে ৩৪ ও ১১০ নম্বর পুরস্কার সংগ্রহ করলেও ১ম পুরস্কার মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বলেশ্বরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মাস্টারকে সাজিয়ে আনেন। তবে আমাদের ও ব্যবসায়ীদের চাপের মধ্যে তা সম্ভব হয়নি।’
এদিকে গতকাল বিকেলে আমীর বাদশার সাজানো জাহাঙ্গীর মাস্টার মোটরসাইকেল নিতে এলে ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি ধরা পড়ে যান। তাই এনিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ী ও কমিটির সদস্যরা জানান, যে দিন লটারি হয়, সে দিন জাহাঙ্গীর মাস্টার উপস্থিত ছিলেন। সে দিন তিনি কিছুই বললেন না, আজ চার দিন পর কেন মোটরসাইকেল নিতে এলেন। এ ঘটনার পর আমীর বাদশার নামে ব্যবসায়িক মহলে ‘ছি ছি’ রব ওঠে। এরপর আমীর বাদশা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে আমীর বাদশার নিকট জানতে চাইলে তিনি অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলে বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ১ম পুরস্কার বিজয়ী তাঁর পুরস্কার শুক্রবার নিয়ে গেছেন। কুপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীদের কাছে যে কুপনগুলো অবশিষ্ট ছিল, এগুলো ব্যবসায়িরা নিজ নাম লিখে বাক্সে ফেলেন। তিনি আরও বলেন, কমিটির সদস্য আহসান সব কিছু দেখাশোনা করেছেন। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব ঘটনার কোনো মিল নেই।
এ বিষয়ে আহসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি অর্থের প্রস্তব দিয়ে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি কমিটির কেউ না। তবে আপনার কোনো চাওয়া-পাওয়া থাকলে বলতে পারেন।’
এ প্রসঙ্গে ১ম পুরস্কার নিতে আসা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গতকাল আমি পুরস্কার নিতে এসেলাম। আমার কুপন নাম্বার ঠিক থাকলেও মোবাইল নাম্বার ভুল থাকায় আমাকে পুরস্কার দেয়নি কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টি মীমাংসার পর আগামীকাল (আজ) দেবে বলে জানায় তারা।’
এদিকে, প্রিন্সপাজা মার্কেটের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানান, আমাদের মার্কেটে কোনো মার্কেট পরিচালনা কমিটি নেই। কিন্তু অনেক জায়গায় তন্নি ফ্যাশানের সত্বাধিকারি আমির বাদশা নিজেকে মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও টেক্সমার্ট ফ্যাশানের সত্বাধিকারি আহসান নিজেকে মার্কেট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে থাকে। যেটা ঠিক নয়। তাই কৌশলে প্রথম পুরস্কার হাতিয়ে নেওয়ার যে অভিযোগ ব্যবসায়ী বাদশার বিরুদ্ধে উঠেছে সেটা মিথ্যা নয়। আমরা এই মার্কেটের পরিচালনা কমিটি চাই।
এদিকে সচেতন মহল ও মার্কেট ব্যবসায়ীরা জানান, এ ঘটনায় সম্পূর্ণরূপে প্রতারণা করা হয়েছে গ্রাহকদের সঙ্গে। যেখানে গ্রাহকদের জন্যই এ কুপন। তাঁরা আরও বলেন, কুপন ছাপানো হয়েছে ৭০ হাজার। এর মধ্যে ৫৬ হাজার কুপন বিক্রি হয়। অথচ পুরস্কার বেঁধেছে ৬৯ হাজার সিরিয়ালের। এটি কীভাবে সম্ভব!
এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘প্রিন্সপাজা মার্কেটে ঈদ কুপনের লটারি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কেউ কোনে অভিযোগ করেনি এখনো। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেট ও আব্দুল্লাহ সিটিতে লাকি কুপন ড্র সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অথচ প্রিন্সপ্লাজায় গ্রাহকদের সঙ্গে এ প্রতারণার ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলার ক্রেতাসাধারণ ও ব্যবসায়িক মহল তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নকল বিজয়ী সাজিয়ে প্রথম পুরস্কার নেওয়ার চেষ্টা!

আপলোড টাইম : ১০:৪৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে ঈদ লাকি কুপনের ড্র : গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

দিনভর উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ : ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
নিজস্ব প্রতিবেক:
চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়কে অবস্থিত প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে ঈদ পরবর্তী লাকি কুপনে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। মার্কেট ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার ও ব্যবসায়ী আমীর বাদশার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। ২০ জুন বৃহস্পতিবার প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে ঈদ পরবর্তী লাকি কুপনের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ১১০টি কুপন তুলে কুপনদাতাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এক এক করে সব পুরস্কার বিজয়ীরা নিয়ে গেলেও ১ম পুরস্কার নিয়ে বাধে ঝামেলা। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী বাদশা অসাধু পন্থায় কৌশলে প্রথম পুরস্কার একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বিষয়টি সবার নজর আসে। এ ঘটনায় প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে দোকানি ও কুপন কমিটির মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। চাপা উত্তেজনা শেষে গতকাল শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত বাদশার সঙ্গে সাধারণ দোকানিসহ কমিটির সদস্যদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটে ঈদ লাকি কুপনের আয়োজন করে মার্কেট কর্তৃপক্ষ। এ লাকি কুপন পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি আজিজ প্রিন্টিং প্রেস থেকে ৭০ হাজার লাকি কুপন ছাপায়। পূর্বনির্ধারিত লটারির সময়ের মধ্যে ৫৬ হাজার কুপন বিক্রি হয়। তাই ৫৬ হাজার সিরিয়ালের পর কোনো কূপন বিক্রি হয়নি। কিন্তু প্রথম পুরস্কার মোটরসাইকেল যে কুপনটিতে বেঁধেছে, সেটি ৬৯ হাজার সিরিয়ালের। এ নিয়ে মার্কেটের সমস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির কয়েকজন বলেন, ১, ৩৪ ও ১১০ নম্বরের তিন বিজয়ীর ফোন নম্বার এক। এর মধ্যে ৩৪ ও ১১০ নম্বর পুরস্কার ইতিমধ্যে বিজয়ীরা সংগ্রহ করলেও ১ম পুরস্কার কেউ নিতে আসেননি। তবে এই তিন কুপনের মালিক একজনই। আর এ নম্বরটা ম্যানেজার আমীর বাদশার বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন সবাই। কমিটির লোকজন আরও বলেন, ‘এ তিন কুপনের বিজয়ীরা হলেন মার্কেটের ম্যানেজার তন্নি ফ্যাশানের স্বত্বাধিকারী আমীর বাদশা। তিনি অসাধু উপায়ে বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে ৩৪ ও ১১০ নম্বর পুরস্কার সংগ্রহ করলেও ১ম পুরস্কার মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বলেশ্বরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মাস্টারকে সাজিয়ে আনেন। তবে আমাদের ও ব্যবসায়ীদের চাপের মধ্যে তা সম্ভব হয়নি।’
এদিকে গতকাল বিকেলে আমীর বাদশার সাজানো জাহাঙ্গীর মাস্টার মোটরসাইকেল নিতে এলে ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি ধরা পড়ে যান। তাই এনিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ী ও কমিটির সদস্যরা জানান, যে দিন লটারি হয়, সে দিন জাহাঙ্গীর মাস্টার উপস্থিত ছিলেন। সে দিন তিনি কিছুই বললেন না, আজ চার দিন পর কেন মোটরসাইকেল নিতে এলেন। এ ঘটনার পর আমীর বাদশার নামে ব্যবসায়িক মহলে ‘ছি ছি’ রব ওঠে। এরপর আমীর বাদশা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে আমীর বাদশার নিকট জানতে চাইলে তিনি অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলে বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ১ম পুরস্কার বিজয়ী তাঁর পুরস্কার শুক্রবার নিয়ে গেছেন। কুপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীদের কাছে যে কুপনগুলো অবশিষ্ট ছিল, এগুলো ব্যবসায়িরা নিজ নাম লিখে বাক্সে ফেলেন। তিনি আরও বলেন, কমিটির সদস্য আহসান সব কিছু দেখাশোনা করেছেন। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব ঘটনার কোনো মিল নেই।
এ বিষয়ে আহসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি অর্থের প্রস্তব দিয়ে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি কমিটির কেউ না। তবে আপনার কোনো চাওয়া-পাওয়া থাকলে বলতে পারেন।’
এ প্রসঙ্গে ১ম পুরস্কার নিতে আসা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গতকাল আমি পুরস্কার নিতে এসেলাম। আমার কুপন নাম্বার ঠিক থাকলেও মোবাইল নাম্বার ভুল থাকায় আমাকে পুরস্কার দেয়নি কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টি মীমাংসার পর আগামীকাল (আজ) দেবে বলে জানায় তারা।’
এদিকে, প্রিন্সপাজা মার্কেটের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানান, আমাদের মার্কেটে কোনো মার্কেট পরিচালনা কমিটি নেই। কিন্তু অনেক জায়গায় তন্নি ফ্যাশানের সত্বাধিকারি আমির বাদশা নিজেকে মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও টেক্সমার্ট ফ্যাশানের সত্বাধিকারি আহসান নিজেকে মার্কেট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে থাকে। যেটা ঠিক নয়। তাই কৌশলে প্রথম পুরস্কার হাতিয়ে নেওয়ার যে অভিযোগ ব্যবসায়ী বাদশার বিরুদ্ধে উঠেছে সেটা মিথ্যা নয়। আমরা এই মার্কেটের পরিচালনা কমিটি চাই।
এদিকে সচেতন মহল ও মার্কেট ব্যবসায়ীরা জানান, এ ঘটনায় সম্পূর্ণরূপে প্রতারণা করা হয়েছে গ্রাহকদের সঙ্গে। যেখানে গ্রাহকদের জন্যই এ কুপন। তাঁরা আরও বলেন, কুপন ছাপানো হয়েছে ৭০ হাজার। এর মধ্যে ৫৬ হাজার কুপন বিক্রি হয়। অথচ পুরস্কার বেঁধেছে ৬৯ হাজার সিরিয়ালের। এটি কীভাবে সম্ভব!
এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘প্রিন্সপাজা মার্কেটে ঈদ কুপনের লটারি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কেউ কোনে অভিযোগ করেনি এখনো। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেট ও আব্দুল্লাহ সিটিতে লাকি কুপন ড্র সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অথচ প্রিন্সপ্লাজায় গ্রাহকদের সঙ্গে এ প্রতারণার ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলার ক্রেতাসাধারণ ও ব্যবসায়িক মহল তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছে।