ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২৮১ উত্তীর্ণ প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯
  • / ৯০২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন
এসএম শাফায়েত:
মাত্র ১০০ টাকায় মিলবে পুলিশের চাকরি। আর ৩ টাকার একটি ফরম নিজ খরচে দেবেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার। এমন কথা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা জেলার অজপাড়াগাঁ পর্যন্ত। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন চাকরি নামক সোনার হরিণ প্রত্যাশীরা। গতকাল শনিবার ছিল ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম দিন। এ কারণে সকালের সূর্যটাকে সঙ্গী করে বাড়ি থেকে বের হন প্রার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। সকাল আটটায় খুলে দেওয়া হয় পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটক। এরপর সারিবদ্ধভাবে ভেতরে প্রবেশ করানো হয় চাকরিপ্রত্যাশীদের। সকাল নয়টা থেকে শুরু হয় মাপজোখ ও শারীরিক পরীক্ষার (দৌড়, রোপিং, জাম্পিং ইত্যাদি) কার্যক্রম। কিছু সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও মুহূর্তে প্রখর রোদ আর বৃষ্টির সম্মুখীন হতে হয় সবাইকে। এরই মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সহস্রাধিক প্রার্থীর সমাগমে কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে যায় পুলিশ লাইনস মাঠ। স্বাভাবিকভাবে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে আগে-পরে অনেক রকম অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে ছিল না কেউ আশাহত, কারও মুখে ছিল না অনিশ্চয়তার ছাপ। তাঁদের লক্ষ্য ছিল একটাই, যোগ্যতা প্রমাণ করে প্রত্যাশা পূরণের। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ২৮১ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ২৪৮ জন ও নারী ৩৩ জন। উত্তীর্ণদের আজ রোববার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)। ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাঁরা ৪৫ শতাংশ নম্বর পাবেন, তাঁরা সর্বশেষ ধাপের পরীক্ষা (মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক, ২০ নম্বর) দিতে পারবেন।
এদিকে যেকোন প্রকার আর্থিক লেনদেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিল পুলিশের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। কেন্দ্রের আশপাশে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে গোয়েন্দা সদস্যদের। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত অভিভাবকেরা জেলা পুলিশ ও পুলিশ সুপারকে সাধুবাদ জানান। তাঁরা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এমন স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নজিরবিহীন। আমাদের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেলে ভাবব, তাঁদের যোগ্যতা নেই, এই কারণে হয়নি। আর যার যোগ্যতা আছে সে চাকরি পেয়েছে, এতে আমাদের আর কোনো সন্দেহ নেই।’
চাকরিপ্রত্যাশী যুবক সোহেল রানা বলেন, ‘সঠিক কাগজপত্র ও উচ্চতা অনুযায়ী আমাদের বাছাই শেষে দৌড় প্রতিযোগিতা ও রোপিং (দড়ি ধরে ওপরে ওঠা-নামা) করানো হয়। এতেই অনেকে বাদ পড়েছেন। কোনো কিছুতে অনিয়ম বা দুর্নীতি আছে বলে মনে হয়নি। আমি ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট নিয়ে মাঠে গিয়েছিলাম। এখনও পর্যন্ত টিকে আছি, কাল (আজ) রিটেন পরীক্ষা দেব। ভালো নম্বর তুলতে পারলে ভাইভাতে সুযোগ পেতে পারি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

২৮১ উত্তীর্ণ প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা আজ

আপলোড টাইম : ১০:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন
এসএম শাফায়েত:
মাত্র ১০০ টাকায় মিলবে পুলিশের চাকরি। আর ৩ টাকার একটি ফরম নিজ খরচে দেবেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার। এমন কথা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা জেলার অজপাড়াগাঁ পর্যন্ত। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন চাকরি নামক সোনার হরিণ প্রত্যাশীরা। গতকাল শনিবার ছিল ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম দিন। এ কারণে সকালের সূর্যটাকে সঙ্গী করে বাড়ি থেকে বের হন প্রার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। সকাল আটটায় খুলে দেওয়া হয় পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটক। এরপর সারিবদ্ধভাবে ভেতরে প্রবেশ করানো হয় চাকরিপ্রত্যাশীদের। সকাল নয়টা থেকে শুরু হয় মাপজোখ ও শারীরিক পরীক্ষার (দৌড়, রোপিং, জাম্পিং ইত্যাদি) কার্যক্রম। কিছু সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও মুহূর্তে প্রখর রোদ আর বৃষ্টির সম্মুখীন হতে হয় সবাইকে। এরই মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সহস্রাধিক প্রার্থীর সমাগমে কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে যায় পুলিশ লাইনস মাঠ। স্বাভাবিকভাবে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে আগে-পরে অনেক রকম অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে ছিল না কেউ আশাহত, কারও মুখে ছিল না অনিশ্চয়তার ছাপ। তাঁদের লক্ষ্য ছিল একটাই, যোগ্যতা প্রমাণ করে প্রত্যাশা পূরণের। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ২৮১ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ২৪৮ জন ও নারী ৩৩ জন। উত্তীর্ণদের আজ রোববার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)। ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাঁরা ৪৫ শতাংশ নম্বর পাবেন, তাঁরা সর্বশেষ ধাপের পরীক্ষা (মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক, ২০ নম্বর) দিতে পারবেন।
এদিকে যেকোন প্রকার আর্থিক লেনদেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিল পুলিশের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। কেন্দ্রের আশপাশে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে গোয়েন্দা সদস্যদের। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত অভিভাবকেরা জেলা পুলিশ ও পুলিশ সুপারকে সাধুবাদ জানান। তাঁরা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এমন স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নজিরবিহীন। আমাদের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেলে ভাবব, তাঁদের যোগ্যতা নেই, এই কারণে হয়নি। আর যার যোগ্যতা আছে সে চাকরি পেয়েছে, এতে আমাদের আর কোনো সন্দেহ নেই।’
চাকরিপ্রত্যাশী যুবক সোহেল রানা বলেন, ‘সঠিক কাগজপত্র ও উচ্চতা অনুযায়ী আমাদের বাছাই শেষে দৌড় প্রতিযোগিতা ও রোপিং (দড়ি ধরে ওপরে ওঠা-নামা) করানো হয়। এতেই অনেকে বাদ পড়েছেন। কোনো কিছুতে অনিয়ম বা দুর্নীতি আছে বলে মনে হয়নি। আমি ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট নিয়ে মাঠে গিয়েছিলাম। এখনও পর্যন্ত টিকে আছি, কাল (আজ) রিটেন পরীক্ষা দেব। ভালো নম্বর তুলতে পারলে ভাইভাতে সুযোগ পেতে পারি।’