দামুড়হুদায় ডুবুরি দলের অভিযানে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- আপলোড টাইম : ১১:০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৮
- / ৫১৬ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে নিখোঁজের ২৩ ঘন্টা পর
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের ভ্যানচালক মকলেছের শিশু ছেলে তামিম (৬) মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়ার ২৩ ঘন্টা পর মরদেহ উদ্ধার করলো খুলনা থেকে আসা দমকল বাহিনীর ডুবুরি দল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার দুপুর ১টার দিকে নিকট আত্মীয়ের সাথে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে তামিম নদীতে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এর সদস্যদের উপস্থিতিতে ডুবুরি লাশ উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার মকলেছের বাড়ীতে মামা, মামী, খালা বেড়াতে আসে। দুপুর ১টার দিকে তারা বাড়ীর প¦ার্শবর্তী মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গেলে তামিম তাদের সাথে গোসল করতে যায়। গোসলের সময় সকলের অজান্তে তামিম নদীতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা খোঁজাখুজি করে না পেলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দামুড়হুদার দর্শনার ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে নদীতে পানি বেশী হওয়ায় তারা নদীতে না নেমে তামিমের লাশ উদ্ধারে খুলনা থেকে ডুবুরি আনার প্রচেষ্টা শুরু করে। পরে রাত ৯টার দিকে খুলনা ওয়ারহাউজ ইন্সেপেক্টর নাজমুছ সাদাতের নেতৃত্বে সাইফুল ইসলাম, হুমায়ন কবির ও আহাম্মদ আলী মিলে ৪ সদস্যর ডুবুরিদল এসে রাত ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত নদীতে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। রাতে মরদেহ উদ্ধার করতে না পারলে। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টায় ডুবুরিসহ স্থানীয়রা নদীতে বহু খোঁজাখুঁজি করার এক পর্যায়ে দুপুর ১২ টার দিকে ডুবুরি হুমায়ন কবির তামিমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দুর থেকে পানির নিচে মাছ ধরা বাঁধের বাসে বেধে থাকা মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারকে সরকারীভাবে আর্থিক সহায়তা করেন।