ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৯৩ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত রেকর্ড : জনদূর্ভোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮
  • / ৩১১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় প্রবল বৃষ্টি : নিম্নঞ্চার প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টি। ৯৩ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড। শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও নিম্নঞ্চারল প্লাবিত হয়ে বাড়ীর উঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় বেড়েছে চরম জনদূর্ভোগ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সময়মত পয়নিস্কাশন না করা এবং প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই বাড়ীর উঠানে ও সড়কে পানি জমে দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবী দ্রুতগতিতে র্নিমাণাধীন ড্রেনের কাজ সম্পন্ন ও পুরাতন ড্রেনের সংস্কার করা হোক। তা না হলে ড্রেনেজ অব্যস্থাপনার কারণে পৌরবাসীকে প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই এমন দূর্ভোগের শিকার হতে হবে। পানি ছাড়াও শহরের র্নিমাণাধীন ড্রেনের উত্তোলিত মাটি প্রধান সড়কের উপর ফেলে রাখায় যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলে চরম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারনে সড়কে কাঁদা হয়ে ঘটছে ছোট বড় একাধিক দূর্ঘটনা। বৃষ্টিপাতের ফলে সড়ক ও আবাসিক এলাকা ছাড়াও মাঠের বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া গেছে। কৃষকদের সাথে সকথা বলে জানা গেছে, বিশেষ করে এই বৃষ্টিতে মাঠের সব্জী ক্ষেত, উঠতি ফসল ও আমের অনেক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গার আকাশে কালো মেঘ জমে। এর পরেই শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টি। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টানা প্রবল বর্ষনের ফলে জনসাধারণ ঘর থেকে বাইরেবের হতে পারেনি। যারা বাইরে ছিল তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে দূর্ভোগের শিকার হয়। বেলা আড়াইটার পরে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও থেমে থেমে হালকাভাবে বৃষ্টি অব্যহত থাকে। মানুষ বৃষ্টির কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে আসেনি। এছাড় আবাসিক এলাকাগুলিতে অনেকের বাড়ীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে তারা পরবার পরিজন নিয়ে দূর্ভোগে হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে শহরের ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ কাজের মন্থর গতি থাকায় সড়কের বড় বাজার থেকে মুন্নার মোড় পর্যন্ত। অপর দিকে কেদারগঞ্জ নিম্নঞ্চারল ও কালিগঞ্জ সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এসব সড়কে যানচলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে যায়। সেই সাথে র্নিমাণাধীন ড্রেনের মাটি প্রধান সড়কে ফেলে রাখায় কাঁদাপানির পিচ্ছিল সৃষ্টি হয়েও যানবাহণ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচলে করছে। বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে কেদারগঞ্জ, টাউনফুটবল মাঠ, চাঁদমারী ভিজেস্কুল মাঠ, মুক্তিপাড়া, পলাশপাড়া, সাদেক আলী মল্লিক পাড়া, গুলশানপাড়া, হাসপাতাল পাড়াসহ বিভিন্ন নি¤œাঞ্চলে। এর ফলে এসব এলাকার মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক সামাদুদল ইসলাম জানান, বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আরো কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল বেলা ২টা ৫০ মিনিটে ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

৯৩ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত রেকর্ড : জনদূর্ভোগ

আপলোড টাইম : ০৬:০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮

চুয়াডাঙ্গায় প্রবল বৃষ্টি : নিম্নঞ্চার প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টি। ৯৩ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড। শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও নিম্নঞ্চারল প্লাবিত হয়ে বাড়ীর উঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় বেড়েছে চরম জনদূর্ভোগ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সময়মত পয়নিস্কাশন না করা এবং প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই বাড়ীর উঠানে ও সড়কে পানি জমে দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবী দ্রুতগতিতে র্নিমাণাধীন ড্রেনের কাজ সম্পন্ন ও পুরাতন ড্রেনের সংস্কার করা হোক। তা না হলে ড্রেনেজ অব্যস্থাপনার কারণে পৌরবাসীকে প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই এমন দূর্ভোগের শিকার হতে হবে। পানি ছাড়াও শহরের র্নিমাণাধীন ড্রেনের উত্তোলিত মাটি প্রধান সড়কের উপর ফেলে রাখায় যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলে চরম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারনে সড়কে কাঁদা হয়ে ঘটছে ছোট বড় একাধিক দূর্ঘটনা। বৃষ্টিপাতের ফলে সড়ক ও আবাসিক এলাকা ছাড়াও মাঠের বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া গেছে। কৃষকদের সাথে সকথা বলে জানা গেছে, বিশেষ করে এই বৃষ্টিতে মাঠের সব্জী ক্ষেত, উঠতি ফসল ও আমের অনেক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গার আকাশে কালো মেঘ জমে। এর পরেই শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টি। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টানা প্রবল বর্ষনের ফলে জনসাধারণ ঘর থেকে বাইরেবের হতে পারেনি। যারা বাইরে ছিল তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে দূর্ভোগের শিকার হয়। বেলা আড়াইটার পরে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও থেমে থেমে হালকাভাবে বৃষ্টি অব্যহত থাকে। মানুষ বৃষ্টির কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে আসেনি। এছাড় আবাসিক এলাকাগুলিতে অনেকের বাড়ীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে তারা পরবার পরিজন নিয়ে দূর্ভোগে হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে শহরের ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ কাজের মন্থর গতি থাকায় সড়কের বড় বাজার থেকে মুন্নার মোড় পর্যন্ত। অপর দিকে কেদারগঞ্জ নিম্নঞ্চারল ও কালিগঞ্জ সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এসব সড়কে যানচলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে যায়। সেই সাথে র্নিমাণাধীন ড্রেনের মাটি প্রধান সড়কে ফেলে রাখায় কাঁদাপানির পিচ্ছিল সৃষ্টি হয়েও যানবাহণ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচলে করছে। বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে কেদারগঞ্জ, টাউনফুটবল মাঠ, চাঁদমারী ভিজেস্কুল মাঠ, মুক্তিপাড়া, পলাশপাড়া, সাদেক আলী মল্লিক পাড়া, গুলশানপাড়া, হাসপাতাল পাড়াসহ বিভিন্ন নি¤œাঞ্চলে। এর ফলে এসব এলাকার মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক সামাদুদল ইসলাম জানান, বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আরো কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল বেলা ২টা ৫০ মিনিটে ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।