ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৪০ বছরে পা রাখলেন বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮
  • / ৪৯২ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি আজ তার ৪০তম জন্মদিন উদযাপন করছেন, আইভিএফ বা টেস্ট টিউব বেবি পদ্ধতির জন্য যা একটি মাইলফলক বছর। যুক্তরাজ্যের রয়টনের ডা. কেশোর হাসপাতালে আইভিএফ পদ্ধতির চিকিৎসা শেষে, ওল্ডহ্যাম জেনারেল হাসপাতালে ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি লুইস ব্রাউন। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজনন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড্যানিয়েল ব্রিসন বলেন, ‘আইভিএফ বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। এর জন্য ডা. কেশোর হাসপাতালের ডা. স্টেপটো, পার্ডি এবং বব এডওয়ার্ডের কাজকে ধন্যবাদ।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়নে প্রথমবারের মতো আইভিএফ সেবা ১৯৮৩ সালে ম্যানচেস্টারের সেন্ট মেরি হাসপাতালে চালু করা হয়েছিল। আইভিএফ বা টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে শিশুর সংখ্যা এখন ৬ মিলিয়নের বেশি, যা যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া মোট শিশুর ২ শতাংশেরও বেশি।’ বন্ধ্যাত্ব সমস্যাগ্রস্ত মানুষজনের জন্য আইভিএফ প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রবর্তক ছিলেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। আইভিএফ বা টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে গর্ভধারণ যদিও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত, তবে সাফল্যের হার এখনো অনেক কম। ফার্টিলিটি নেটওয়ার্ক ইউকে’র প্রধান নির্বাহী আইলিন ফেনি বলেন, ‘এই জীবন পরিবর্তনকারী প্রযুক্তির ৪০ বছর হওয়া সত্ত্বেও, আইভিএফ পদ্ধতির গড় সাফল্যের হার এখনো মাত্র ২৫ শতাংশ।’ তিনি বলেন, ‘গর্ভধারণের ক্ষেত্রে টেস্ট টিউব বা আইভিএফ পদ্ধতি যাদের ব্যর্থ হয়েছে সেসব দম্পত্তিদের এবং যাদের এই সেবা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে তাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, তাদের পরিবেশগত কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।’

আইভিএফ (ইন ভিটরো ফার্টিলাইজেশন) বা টেস্ট টিউব বেবি পদ্ধতি হচ্ছে, বন্ধ্যাত্ব সমস্যাগ্রস্ত দম্পত্তিদের সন্তান জন্মদানে সাহায্য করার পদ্ধতি। ছেলেদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু একদমই না থাকা বা শুক্রাণুর স্বল্পতা এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ডিম্বোস্ফোটনে সমস্যা, টিউবাল ব্লকেজ, জরায়ুতে সমস্যা, হরমোনাল সমস্যাসহ আরো কিছু কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। ফলে ভ্রুণ তৈরি হয় না। আইভিএফ পদ্ধতির ক্ষেত্রে, জরায়ুর বাইরে ল্যাবরেটরিতে ভ্রুণ তৈরি করা হয়। এ পদ্ধতিতে স্ত্রীর ডিমগুলোকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিপক্ক করে এরপর বাইরে এনে ল্যাবটেরিতে স্বামীর শুকাণুর সঙ্গে ফার্টিলাইজেশন বা নিষেক করা হয়। ফার্টিলাইজেশন সফল হলে ল্যাবরেটরিতে তা দুই থেকে ছয় দিন রেখে ভ্রণ তৈরি করা হয়। এরপর সেই ভ্রুণ স্ত্রীর মধ্যে প্রবেশ করানো হয়, বড় হওয়ার জন্য। এভাবেই টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করানো হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

৪০ বছরে পা রাখলেন বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি

আপলোড টাইম : ০৮:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি আজ তার ৪০তম জন্মদিন উদযাপন করছেন, আইভিএফ বা টেস্ট টিউব বেবি পদ্ধতির জন্য যা একটি মাইলফলক বছর। যুক্তরাজ্যের রয়টনের ডা. কেশোর হাসপাতালে আইভিএফ পদ্ধতির চিকিৎসা শেষে, ওল্ডহ্যাম জেনারেল হাসপাতালে ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি লুইস ব্রাউন। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজনন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড্যানিয়েল ব্রিসন বলেন, ‘আইভিএফ বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। এর জন্য ডা. কেশোর হাসপাতালের ডা. স্টেপটো, পার্ডি এবং বব এডওয়ার্ডের কাজকে ধন্যবাদ।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়নে প্রথমবারের মতো আইভিএফ সেবা ১৯৮৩ সালে ম্যানচেস্টারের সেন্ট মেরি হাসপাতালে চালু করা হয়েছিল। আইভিএফ বা টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে শিশুর সংখ্যা এখন ৬ মিলিয়নের বেশি, যা যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া মোট শিশুর ২ শতাংশেরও বেশি।’ বন্ধ্যাত্ব সমস্যাগ্রস্ত মানুষজনের জন্য আইভিএফ প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রবর্তক ছিলেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। আইভিএফ বা টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে গর্ভধারণ যদিও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত, তবে সাফল্যের হার এখনো অনেক কম। ফার্টিলিটি নেটওয়ার্ক ইউকে’র প্রধান নির্বাহী আইলিন ফেনি বলেন, ‘এই জীবন পরিবর্তনকারী প্রযুক্তির ৪০ বছর হওয়া সত্ত্বেও, আইভিএফ পদ্ধতির গড় সাফল্যের হার এখনো মাত্র ২৫ শতাংশ।’ তিনি বলেন, ‘গর্ভধারণের ক্ষেত্রে টেস্ট টিউব বা আইভিএফ পদ্ধতি যাদের ব্যর্থ হয়েছে সেসব দম্পত্তিদের এবং যাদের এই সেবা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে তাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, তাদের পরিবেশগত কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।’

আইভিএফ (ইন ভিটরো ফার্টিলাইজেশন) বা টেস্ট টিউব বেবি পদ্ধতি হচ্ছে, বন্ধ্যাত্ব সমস্যাগ্রস্ত দম্পত্তিদের সন্তান জন্মদানে সাহায্য করার পদ্ধতি। ছেলেদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু একদমই না থাকা বা শুক্রাণুর স্বল্পতা এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ডিম্বোস্ফোটনে সমস্যা, টিউবাল ব্লকেজ, জরায়ুতে সমস্যা, হরমোনাল সমস্যাসহ আরো কিছু কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। ফলে ভ্রুণ তৈরি হয় না। আইভিএফ পদ্ধতির ক্ষেত্রে, জরায়ুর বাইরে ল্যাবরেটরিতে ভ্রুণ তৈরি করা হয়। এ পদ্ধতিতে স্ত্রীর ডিমগুলোকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিপক্ক করে এরপর বাইরে এনে ল্যাবটেরিতে স্বামীর শুকাণুর সঙ্গে ফার্টিলাইজেশন বা নিষেক করা হয়। ফার্টিলাইজেশন সফল হলে ল্যাবরেটরিতে তা দুই থেকে ছয় দিন রেখে ভ্রণ তৈরি করা হয়। এরপর সেই ভ্রুণ স্ত্রীর মধ্যে প্রবেশ করানো হয়, বড় হওয়ার জন্য। এভাবেই টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করানো হয়।