ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৪০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
  • / ১০৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সংস্কারের নামে খালের পাকা রাস্তা কেটে দেওয়ায় ৪০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে শত শত একর জমির রোপা আমন ধান চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদার ও জিকে প্রজেক্টের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, শৈলকুপার উত্তর মির্জাপুরের এস-৮ এ কে সাইফন সংস্কারের নামে কেটে দেওয়ায় বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই গর্ত দিয়ে খালের হাজার হাজার গ্যালন পানি বাইরে বের হয়ে খাল শুকিয়ে গেছে। আবার এই রাস্তা দিয়ে ৪০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন। এদিকে, খালের পানি বের হয়ে যাওয়ায় শত শত একর জমিতে থাকা আমন ধানখেত শুকিয়ে যেতে পারে। গ্রামবাসীরা জানান, এই রাস্তা দিয়ে ঝিনাইদহ জেলার বৃত্তিপাড়া, বৃত্তিদেবী রাজনগর, ধর্মপাড়া, মির্জাপুর, রাজাপুর, মধুদহ, কচুয়া, কাচেরকোল, বাখরবা, খন্দকবাড়িয়া, বেনীপুর, আগুনিয়াপাড়া, সিদ্দি, আমতলা, তমালতলা, হড়রা, দিগনগর, কুষ্টিয়া জেলার সান্দিয়ারা, রাজাপুর, খাগরবাড়ীয়া, মূলগ্রাম, বশিগ্রাম, ডাসাসহ ৪০ গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এসব গ্রামের মানুষ ২০-৩০ কিলোটিার পথ ঘুরে যাতায়াত করছেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, শৈলকুপার ঠিকাদার নাসির উদ্দীন ও মতিয়ার রহমান খাল সংস্কারের নামে রাস্তা কেটে দিয়েছেন।
খালের পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি আব্দুস সাত্তার জানান, ‘ঠিকাদার ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে ভালো রাস্তা কেটে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। এখন শুধু জনদুর্ভোগই না, শত শত একর জমির রোপা আমন ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা মীর নওশের আলী বলেন, অধিক সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার আশায় এখানে সে এখানে কোনো কাজ না করেই রাস্তা কেটে বিশাল গর্ত সৃষ্টি করে সংকট তৈরি করেছেন। আর এ ঘটনার সঙ্গে শুধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানই নয় জি কে সেচ প্রকল্পের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারাও জড়িত। ঠিকাদার নাসির উদ্দিন তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন জানান, খালের পূর্ব পাশে ছোট একটা সংস্কারের কাজ ছিল। এর জন্য তো খালের পশ্চিম পাশের রাস্তা কাটার কথা নয়। তারপরও বিষয়টি আমরা দেখছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

৪০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ!

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সংস্কারের নামে খালের পাকা রাস্তা কেটে দেওয়ায় ৪০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে শত শত একর জমির রোপা আমন ধান চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদার ও জিকে প্রজেক্টের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, শৈলকুপার উত্তর মির্জাপুরের এস-৮ এ কে সাইফন সংস্কারের নামে কেটে দেওয়ায় বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই গর্ত দিয়ে খালের হাজার হাজার গ্যালন পানি বাইরে বের হয়ে খাল শুকিয়ে গেছে। আবার এই রাস্তা দিয়ে ৪০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন। এদিকে, খালের পানি বের হয়ে যাওয়ায় শত শত একর জমিতে থাকা আমন ধানখেত শুকিয়ে যেতে পারে। গ্রামবাসীরা জানান, এই রাস্তা দিয়ে ঝিনাইদহ জেলার বৃত্তিপাড়া, বৃত্তিদেবী রাজনগর, ধর্মপাড়া, মির্জাপুর, রাজাপুর, মধুদহ, কচুয়া, কাচেরকোল, বাখরবা, খন্দকবাড়িয়া, বেনীপুর, আগুনিয়াপাড়া, সিদ্দি, আমতলা, তমালতলা, হড়রা, দিগনগর, কুষ্টিয়া জেলার সান্দিয়ারা, রাজাপুর, খাগরবাড়ীয়া, মূলগ্রাম, বশিগ্রাম, ডাসাসহ ৪০ গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এসব গ্রামের মানুষ ২০-৩০ কিলোটিার পথ ঘুরে যাতায়াত করছেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, শৈলকুপার ঠিকাদার নাসির উদ্দীন ও মতিয়ার রহমান খাল সংস্কারের নামে রাস্তা কেটে দিয়েছেন।
খালের পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি আব্দুস সাত্তার জানান, ‘ঠিকাদার ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে ভালো রাস্তা কেটে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। এখন শুধু জনদুর্ভোগই না, শত শত একর জমির রোপা আমন ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা মীর নওশের আলী বলেন, অধিক সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার আশায় এখানে সে এখানে কোনো কাজ না করেই রাস্তা কেটে বিশাল গর্ত সৃষ্টি করে সংকট তৈরি করেছেন। আর এ ঘটনার সঙ্গে শুধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানই নয় জি কে সেচ প্রকল্পের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারাও জড়িত। ঠিকাদার নাসির উদ্দিন তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন জানান, খালের পূর্ব পাশে ছোট একটা সংস্কারের কাজ ছিল। এর জন্য তো খালের পশ্চিম পাশের রাস্তা কাটার কথা নয়। তারপরও বিষয়টি আমরা দেখছি।’