ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৩০ সেপ্টেম্বরের পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভারতের গম রপ্তানি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: হিলি স্থলবন্দরে আশঙ্কাজনক কমেছে ভারত থেকে গম আমদানি। আমদানি কমার প্রভাব বিরূপ পড়েছে বন্দরের পাইকারি বাজারে। গমের দাম প্রতি কেজি ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪১ থেকে ৪৪ টাকায়। কিছুদিন আগেও এই গম হিলি বন্দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। ভারত সরকার নতুন করে এলসি না নেয়া ও পুরাতন এলসির বিপরীতে বরাদ্দকৃত গমের পরিমাণ শেষ হয়ে আসায় বন্দরে গম আমদানি কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতদিন ২০ থেকে ২৫টি প্রতিষ্ঠান হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি করলেও এখন আমদানি করছে মাত্র দুই থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ১২ মে পর্যন্ত খোলা তাদের এলসির গমের পরিমাণ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে গমের এলসি করতে না পারায় গম আমদানি করতে পারছে না। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ১৪ মে ভারত গম রফতানির নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ওই সময় বলা হয়েছিল ১২ মে পর্যন্ত খেলা এলসির বিপরিতে বাংলাদেশে গম রফতানি ভারত অব্যাহত রাখবে। সেই অনুযায়ী ভারত সরকার গম রফতানি বন্ধ করে দিলেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি অব্যাহত থাকে।

গত কয়েক মাস বন্দরে গম আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও সম্প্রতি ভারত থেকে গম আমদানির পরিমাণ অনেকটা কমে এসেছে। বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম জানান, ১২ মে খোলা এলসির বিপরিতে বরাদ্দকৃত গমের পরিমাণ কমে আসায় বন্দর দিয়ে গম আমদানি কমেছে। এ দিকে গমের আমদানি কমে যাওয়ায় হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় গমের দাম বেড়েছে। পাইকারি ক্রেতা রবিউল ইসলাম সুইট জানিয়েছেন, কেজি প্রতি তিন থেকে চার টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪১ থেকে ৪৪ টাকায়। বন্দরের আমদানি কারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শেরেগুল মুন্সি জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সে দেশের রফতানি কারকদের একটি নোটিশের মাধ্যমে জানিয়েছে, ১২ মে পর্যন্ত খোলা এলসির বিপরিতে সমুদয় গম ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে রফতানি করতে হবে অন্যথায় ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কোনো গম রফতানি করা যাবে না। ভারত নতুন করে গম রফতানিতে এলসি গ্রহণ না করায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় বিকল্প দেশ থেকে গম আমদানির পরামর্শ বন্দরের ব্যবসায়ীদের। অন্যথায় ঊর্ধ্বমুখী গমের দাম আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরের তথ্য মতে গত মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪৩ হাজার ২৪৭ টন গম আমদানি হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

৩০ সেপ্টেম্বরের পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভারতের গম রপ্তানি

আপলোড টাইম : ১২:০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: হিলি স্থলবন্দরে আশঙ্কাজনক কমেছে ভারত থেকে গম আমদানি। আমদানি কমার প্রভাব বিরূপ পড়েছে বন্দরের পাইকারি বাজারে। গমের দাম প্রতি কেজি ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪১ থেকে ৪৪ টাকায়। কিছুদিন আগেও এই গম হিলি বন্দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। ভারত সরকার নতুন করে এলসি না নেয়া ও পুরাতন এলসির বিপরীতে বরাদ্দকৃত গমের পরিমাণ শেষ হয়ে আসায় বন্দরে গম আমদানি কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতদিন ২০ থেকে ২৫টি প্রতিষ্ঠান হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি করলেও এখন আমদানি করছে মাত্র দুই থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ১২ মে পর্যন্ত খোলা তাদের এলসির গমের পরিমাণ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে গমের এলসি করতে না পারায় গম আমদানি করতে পারছে না। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ১৪ মে ভারত গম রফতানির নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ওই সময় বলা হয়েছিল ১২ মে পর্যন্ত খেলা এলসির বিপরিতে বাংলাদেশে গম রফতানি ভারত অব্যাহত রাখবে। সেই অনুযায়ী ভারত সরকার গম রফতানি বন্ধ করে দিলেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি অব্যাহত থাকে।

গত কয়েক মাস বন্দরে গম আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও সম্প্রতি ভারত থেকে গম আমদানির পরিমাণ অনেকটা কমে এসেছে। বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম জানান, ১২ মে খোলা এলসির বিপরিতে বরাদ্দকৃত গমের পরিমাণ কমে আসায় বন্দর দিয়ে গম আমদানি কমেছে। এ দিকে গমের আমদানি কমে যাওয়ায় হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় গমের দাম বেড়েছে। পাইকারি ক্রেতা রবিউল ইসলাম সুইট জানিয়েছেন, কেজি প্রতি তিন থেকে চার টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪১ থেকে ৪৪ টাকায়। বন্দরের আমদানি কারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শেরেগুল মুন্সি জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সে দেশের রফতানি কারকদের একটি নোটিশের মাধ্যমে জানিয়েছে, ১২ মে পর্যন্ত খোলা এলসির বিপরিতে সমুদয় গম ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে রফতানি করতে হবে অন্যথায় ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কোনো গম রফতানি করা যাবে না। ভারত নতুন করে গম রফতানিতে এলসি গ্রহণ না করায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় বিকল্প দেশ থেকে গম আমদানির পরামর্শ বন্দরের ব্যবসায়ীদের। অন্যথায় ঊর্ধ্বমুখী গমের দাম আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরের তথ্য মতে গত মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪৩ হাজার ২৪৭ টন গম আমদানি হয়েছে।