ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৩য় ধাপে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর-দামুড়হুদা-আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভোটগ্রহন আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫০:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে শঙ্কা নৌকার : জয় হবে কার?
কেন্দ্রে কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা : নিরুত্তাপ নির্বাচনে এখনও নিরব ভোটাররা
বিশেষ প্রতিবেদক:
আজ ভোট। কিন্তু প্রচারণার শুরুর দিন থেকে ভোটের আগের দিন রাত পর্যন্ত ভোট নিয়ে ভোটারদের তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়নি মাঠে। ভোট নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা, অজপাড়াগায়ের ছোট-বড় আড্ডায় আলোচনা নেই তেমন। গ্রাম-গঞ্জে ভোট উৎসবের আমেজও চোখে পড়েনি। চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলার অধিকাংশতেই ছিল এমন দৃশ্য। প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে জেলার সবকটি উপজেলা জুড়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা থাকলেও ছিলনা নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থী আর কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ লক্ষণীয় হলেও ভোটাররা ছিলেন নীরব। প্রচার প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্তও চোখে পড়েনি ভোটের আমেজ। জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে দু’একটিতে প্রার্থীদের ভীড়ে ভোট আর প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হলেও জমেনি ভোটের মাঠ। তাই ভোটের দিন ভোটার উপস্থিতি নিয়ে প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের কৌতুহলের শেষ নেই। ভোট প্রদানের শতকরা হার কেমন হবে এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। গেল নির্বাচনের মতো কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, জালভোটসহ কোন হামলা মামলা হবে কিনা বরং এমন বিষয় আর শঙ্কা নিয়ে সর্বমহলে নানা কৌতুহল আর আলোচনা সমালোচনা চলছে। তারপরেও জেলা পুলিশের অভয় বার্তার ভরসায় ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে কিনা এটাই এখন দেখার বিষয়। তাই পূর্বের নির্বাচনের কথা ভেবে নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও এবার পুলিশের ভূমিকা নির্ভয়ে তাদের কেন্দ্রে আসতে সহায়ক হবে। কারণ চুয়াডাঙ্গা সদর, জীবননগর, দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকছে দু’হাজারের বেশি পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্য। এ ছাড়াও ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। কোথাও কোন বেআইনী কিছু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষনিক ম্যাজিস্ট্রেটগণের সহায়তা নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন উপহার দেয়াই তাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। গতকাল শনিবার চার উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সব কেন্দ্রে ব্যালট, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, রং-কালি-সিলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়েছে। বিকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ে। কোথাও একসঙ্গে ৮-১০ জনকে সমবেত হতে দেয়নি পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা।
এদিকে, রাজনীতির মাঠে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এবারের ৫ম উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পর্যায়ে। বিএনপি বা অন্যদলের হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় জেলার সব উপজেলায়ই ভোটের আমেজ তেমনটা জমে উঠেনি বলে ধারনা সচেতন মহলের। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সব উপজেলায়। আর একই দল থেকে মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন একাধিক। এ কারণে নৌকার ভরাডুবি নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
পর্যবেক্ষণ তথ্যানুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন আসাদুল হক বিশ্বাস। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান। তার প্রচারণায় কাজ করেছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুসহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ ও যুগ্ম সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকিসহ সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীরা। এ পদে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ছোট ভাই রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। তার সঙ্গে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে সরব জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দার। তিনি এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের ভাতিজা, এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী। এখনও পর্যন্ত এ তিনজনকে নিয়েই সদর উপজেলার সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে আরও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থী শফি উদ্দীন (গোলাপ ফুল) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির মামুন অর রশিদ (হাতুড়ি)। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত (মাইক), জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল পেয়েছেন (উড়োজাহাজ), সুলতান মাহমুদ দীপন (তালা), মামুন অর রশিদ (টিউবওয়েল) এবং মামুন অর রশিদ (আঙ্গুর) চশমা প্রতীক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন মাসুমা আক্তার (ফুটবল) ও সাহাজাদী মিলি কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান। দলীয় মনোনয়নে প্রথম দিকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও মানঅভিমানের দোলাচলে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। প্রসঙ্গ- প্রচার প্রচারণার শেষ মুহূর্তে এসে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর মৌখিক ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবারও নির্বাচন করছেন। এ পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মর্তুজা। তিনি জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে অমলকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি সমর্থন জানিয়ে সে সময় নির্বাচনে অংশ নেননি। এবার একই পদে ভোটের লড়াইয়ে অবতীর্ণ তিনিও। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ হাজী আলী আজগার টগর এবার তাকেই সমর্থন জানাচ্ছেন বলে ভোটারশ্রুতি রয়েছে। ফলে দলীয় নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল প্রতীকের হয়ে কাজ করছেন। চেয়ারম্যান পদে এবার জোর আলোচনায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ। তিনি কাপপিরিচ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে সরব। আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিকও, তিনি আনারস প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুস সালাম ঈশা (তালা), সাইদুর রহমান (চশমা), এসএম আশরাফুজ্জামান টিপু (উড়োজাহাজ), জাকেরপার্টি মনোনীত সুজন মিয়া গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ভোটের লড়াইয়ে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেনুকা আক্তার হাঁস ও আয়েশা সুলতানাকে কলস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন সিরাজুল ইসলাম (ঝন্টু)। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। প্রচার প্রচারণায় সরব, আলোচনায় রয়েছেন তিনি। প্রচারণার শেষ দিনে তাঁর পক্ষে দলভারী হয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক হাসেম রেজা। আলোচিত এ সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থনে বেশ জোর পেয়েছেন ঝন্টু। এদিকে এ পদে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আলী মনসুর বাবু। তিনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ হাজী আলী আজগার টগরের ছোট ভাই। ভাইয়ের সমর্থনে বেশ সুবিধা জনক অবস্থানে মনে করছেন তিনি নিজেকে। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস কাপ পিরিচ প্রতীকে লড়ছেন। প্রার্থী হিসেবে আরও রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এহসানুল হক (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তালেব (মোটরসাইকেল)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন রবিউল হোসেনকে (বৈদ্যুতিক বাল্প), শহিদুল ইসলামকে (চশমা), রফিকুল আলম (তালা), আব্দুর রাজ্জাক (টিউবওয়েল) ও জাকের পার্টি মনোনীত রুহুল কুদ্দুস (গোলাপ ফুল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহিদা সুলতানা (হাঁস), সাহিদা খাতুন (কলস) ও রওশন আকবর (প্রজাপতি) লড়ছেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান। তিনি চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান দায়িত্বরত। এরপর দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীক পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হতে জোর প্রচেষ্টায় রয়েছেন। এ পদে সাবেক জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন জোর আলোচনায় রয়েছেন। তার প্রতীক আনারস। তবে বসে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুজ্জামান মল্লিক। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণা সেরেছেন। এ ছাড়াও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে সানোয়ার হোসেন লাড্ডু মাঠে রয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আলমডাঙ্গা উপজেলা সভাপতি খন্দকার সালমুন আহাম্মদ (টিউবওয়েল), আজিজুল হক (পিতা: পিয়ার আলী) (টিয়াপাখী), কাজী খালেদুর রহমান (মাইক), আজিজুল হক (পিতা: জিয়ারত মন্ডল) (চশমা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী মারজাহান নিতু (হাঁস), শামীম আরা খাতুন (ফুটবল) ও মোমেনা বেগম কলস প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ।
এদিকে, যিনি আগামী দিনে উপজেলা বাসীর সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবেন এমন ব্যক্তিকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে চাইবেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী এবং দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনে তার ভূমিকা রাখতে পারবে তাকেই ভোট দেবেন সচেতন ভোটারগণ।
বাংলাদেশ গেজেটের তথ্যানুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮৭টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জন। জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৫৭টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৬৭ হাজার ৮১৮ জন এবং নারী ভোটার ৬৭ হাজার ৩৩৭ জন। দামুড়হুদা উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৩১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১০ হাজার ১১০ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৫২১ জন। আলমডাঙ্গার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১০৮টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৫ জন এবং ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮১ জন নারী ভোটার।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম বলেছেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমাদের কোন ক্রটি নাই। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৭০৬ জন পুলিশ সদস্যসহ খুলনা জেলার ৭০০ জন এবং বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ১০০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে পালন করছেন। নির্বাচনে সদর উপজেলায় ৪৬৮ জন, জীবননগরে ২৬১ জন, দামুড়হুদায় ৩৪২ জন এবং আলমডাঙ্গায় ৪৩৫ জন পুলিশ/এপিবিএন সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালন করবেন। এছাড়াও ৩০টিরও বেশি স্ট্রাইকিং ও পর্যাপ্ত রিজার্ভ ফোর্স থাকবে।’ এ ছাড়াও বিজিবি ও র‌্যাবের স্ট্রাইকিং রয়েছে নির্বাচনী এলাকাজুড়ে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

৩য় ধাপে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর-দামুড়হুদা-আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভোটগ্রহন আজ

আপলোড টাইম : ১১:৫০:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯

বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে শঙ্কা নৌকার : জয় হবে কার?
কেন্দ্রে কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা : নিরুত্তাপ নির্বাচনে এখনও নিরব ভোটাররা
বিশেষ প্রতিবেদক:
আজ ভোট। কিন্তু প্রচারণার শুরুর দিন থেকে ভোটের আগের দিন রাত পর্যন্ত ভোট নিয়ে ভোটারদের তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়নি মাঠে। ভোট নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা, অজপাড়াগায়ের ছোট-বড় আড্ডায় আলোচনা নেই তেমন। গ্রাম-গঞ্জে ভোট উৎসবের আমেজও চোখে পড়েনি। চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলার অধিকাংশতেই ছিল এমন দৃশ্য। প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে জেলার সবকটি উপজেলা জুড়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা থাকলেও ছিলনা নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থী আর কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ লক্ষণীয় হলেও ভোটাররা ছিলেন নীরব। প্রচার প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্তও চোখে পড়েনি ভোটের আমেজ। জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে দু’একটিতে প্রার্থীদের ভীড়ে ভোট আর প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হলেও জমেনি ভোটের মাঠ। তাই ভোটের দিন ভোটার উপস্থিতি নিয়ে প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের কৌতুহলের শেষ নেই। ভোট প্রদানের শতকরা হার কেমন হবে এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। গেল নির্বাচনের মতো কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, জালভোটসহ কোন হামলা মামলা হবে কিনা বরং এমন বিষয় আর শঙ্কা নিয়ে সর্বমহলে নানা কৌতুহল আর আলোচনা সমালোচনা চলছে। তারপরেও জেলা পুলিশের অভয় বার্তার ভরসায় ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে কিনা এটাই এখন দেখার বিষয়। তাই পূর্বের নির্বাচনের কথা ভেবে নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও এবার পুলিশের ভূমিকা নির্ভয়ে তাদের কেন্দ্রে আসতে সহায়ক হবে। কারণ চুয়াডাঙ্গা সদর, জীবননগর, দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকছে দু’হাজারের বেশি পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্য। এ ছাড়াও ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। কোথাও কোন বেআইনী কিছু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষনিক ম্যাজিস্ট্রেটগণের সহায়তা নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন উপহার দেয়াই তাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। গতকাল শনিবার চার উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সব কেন্দ্রে ব্যালট, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, রং-কালি-সিলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়েছে। বিকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ে। কোথাও একসঙ্গে ৮-১০ জনকে সমবেত হতে দেয়নি পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা।
এদিকে, রাজনীতির মাঠে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এবারের ৫ম উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পর্যায়ে। বিএনপি বা অন্যদলের হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় জেলার সব উপজেলায়ই ভোটের আমেজ তেমনটা জমে উঠেনি বলে ধারনা সচেতন মহলের। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সব উপজেলায়। আর একই দল থেকে মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন একাধিক। এ কারণে নৌকার ভরাডুবি নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
পর্যবেক্ষণ তথ্যানুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন আসাদুল হক বিশ্বাস। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান। তার প্রচারণায় কাজ করেছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুসহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ ও যুগ্ম সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকিসহ সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীরা। এ পদে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ছোট ভাই রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। তার সঙ্গে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে সরব জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দার। তিনি এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের ভাতিজা, এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী। এখনও পর্যন্ত এ তিনজনকে নিয়েই সদর উপজেলার সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে আরও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থী শফি উদ্দীন (গোলাপ ফুল) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির মামুন অর রশিদ (হাতুড়ি)। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত (মাইক), জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল পেয়েছেন (উড়োজাহাজ), সুলতান মাহমুদ দীপন (তালা), মামুন অর রশিদ (টিউবওয়েল) এবং মামুন অর রশিদ (আঙ্গুর) চশমা প্রতীক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন মাসুমা আক্তার (ফুটবল) ও সাহাজাদী মিলি কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান। দলীয় মনোনয়নে প্রথম দিকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও মানঅভিমানের দোলাচলে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। প্রসঙ্গ- প্রচার প্রচারণার শেষ মুহূর্তে এসে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর মৌখিক ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবারও নির্বাচন করছেন। এ পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মর্তুজা। তিনি জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে অমলকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি সমর্থন জানিয়ে সে সময় নির্বাচনে অংশ নেননি। এবার একই পদে ভোটের লড়াইয়ে অবতীর্ণ তিনিও। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ হাজী আলী আজগার টগর এবার তাকেই সমর্থন জানাচ্ছেন বলে ভোটারশ্রুতি রয়েছে। ফলে দলীয় নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল প্রতীকের হয়ে কাজ করছেন। চেয়ারম্যান পদে এবার জোর আলোচনায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ। তিনি কাপপিরিচ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে সরব। আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিকও, তিনি আনারস প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুস সালাম ঈশা (তালা), সাইদুর রহমান (চশমা), এসএম আশরাফুজ্জামান টিপু (উড়োজাহাজ), জাকেরপার্টি মনোনীত সুজন মিয়া গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ভোটের লড়াইয়ে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেনুকা আক্তার হাঁস ও আয়েশা সুলতানাকে কলস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন সিরাজুল ইসলাম (ঝন্টু)। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। প্রচার প্রচারণায় সরব, আলোচনায় রয়েছেন তিনি। প্রচারণার শেষ দিনে তাঁর পক্ষে দলভারী হয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক হাসেম রেজা। আলোচিত এ সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থনে বেশ জোর পেয়েছেন ঝন্টু। এদিকে এ পদে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আলী মনসুর বাবু। তিনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ হাজী আলী আজগার টগরের ছোট ভাই। ভাইয়ের সমর্থনে বেশ সুবিধা জনক অবস্থানে মনে করছেন তিনি নিজেকে। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস কাপ পিরিচ প্রতীকে লড়ছেন। প্রার্থী হিসেবে আরও রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এহসানুল হক (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তালেব (মোটরসাইকেল)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন রবিউল হোসেনকে (বৈদ্যুতিক বাল্প), শহিদুল ইসলামকে (চশমা), রফিকুল আলম (তালা), আব্দুর রাজ্জাক (টিউবওয়েল) ও জাকের পার্টি মনোনীত রুহুল কুদ্দুস (গোলাপ ফুল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহিদা সুলতানা (হাঁস), সাহিদা খাতুন (কলস) ও রওশন আকবর (প্রজাপতি) লড়ছেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান। তিনি চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান দায়িত্বরত। এরপর দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীক পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হতে জোর প্রচেষ্টায় রয়েছেন। এ পদে সাবেক জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন জোর আলোচনায় রয়েছেন। তার প্রতীক আনারস। তবে বসে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুজ্জামান মল্লিক। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণা সেরেছেন। এ ছাড়াও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে সানোয়ার হোসেন লাড্ডু মাঠে রয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আলমডাঙ্গা উপজেলা সভাপতি খন্দকার সালমুন আহাম্মদ (টিউবওয়েল), আজিজুল হক (পিতা: পিয়ার আলী) (টিয়াপাখী), কাজী খালেদুর রহমান (মাইক), আজিজুল হক (পিতা: জিয়ারত মন্ডল) (চশমা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী মারজাহান নিতু (হাঁস), শামীম আরা খাতুন (ফুটবল) ও মোমেনা বেগম কলস প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ।
এদিকে, যিনি আগামী দিনে উপজেলা বাসীর সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবেন এমন ব্যক্তিকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে চাইবেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী এবং দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনে তার ভূমিকা রাখতে পারবে তাকেই ভোট দেবেন সচেতন ভোটারগণ।
বাংলাদেশ গেজেটের তথ্যানুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮৭টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জন। জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৫৭টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৬৭ হাজার ৮১৮ জন এবং নারী ভোটার ৬৭ হাজার ৩৩৭ জন। দামুড়হুদা উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৩১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১০ হাজার ১১০ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৫২১ জন। আলমডাঙ্গার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১০৮টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৫ জন এবং ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮১ জন নারী ভোটার।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম বলেছেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমাদের কোন ক্রটি নাই। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৭০৬ জন পুলিশ সদস্যসহ খুলনা জেলার ৭০০ জন এবং বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ১০০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে পালন করছেন। নির্বাচনে সদর উপজেলায় ৪৬৮ জন, জীবননগরে ২৬১ জন, দামুড়হুদায় ৩৪২ জন এবং আলমডাঙ্গায় ৪৩৫ জন পুলিশ/এপিবিএন সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালন করবেন। এছাড়াও ৩০টিরও বেশি স্ট্রাইকিং ও পর্যাপ্ত রিজার্ভ ফোর্স থাকবে।’ এ ছাড়াও বিজিবি ও র‌্যাবের স্ট্রাইকিং রয়েছে নির্বাচনী এলাকাজুড়ে।