ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২১ জেলায় চলছে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট পণ্য পরিবহণ বন্ধে বিপাকে জেলার কৃষকেরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

fghf

মেহেরপুর প্রতিনিধি: চাঁদাবাজি বন্ধ, অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধসহ ১২ দফা দাবিতে মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের ডাকে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাতে চলছে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট। গতকাল সোমবার সকাল থেকে কোন ট্রাক ও লরি মেহেরপুর থেকে ছেড়ে যায়নি। পণ্য পরিবহণ বন্ধ থাকায় সব চাইতে বেশি বিপাকে জেলার কৃষকেরা। কারণ শীত মৌসুমে এ জেলা বিভিন্ন বিভিন্ন প্রকার সবজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা জানান, দাবি আদাঁয় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো, বি.আর.টি.এ কর্তৃক জারিকৃত ৫২২৯ নং স্মারকের ২৮/১২/২০১৬ তারিখের পত্রের ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সাইড এঙ্গেল, বাম্পার ও হুক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বন্দর সমূহের কর্তৃপক্ষের ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ব্লু-বুক এ নির্ধারিত ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বোঝায় না করার জন্য সরকার কর্তৃক নির্দেশ জারি করতে হবে। প্রতিটি জেলায় জেলায় সরকারি প্রতিনিধি ও মালিক-শ্রমিক সমন্বয়ে গঠিত অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিতে হবে। সরকারি ওয়েব্রীজ জরিমানা বাতিল করে পূর্বের দেওয়া এক হাজার ২০০ টাকা স্কেল জরিমানা প্রত্যাহার করতে হবে। সকল ফেরীঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সড়ক-মহাসড়কে কোন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাংকলরীসহ পণ্যবাহী যানের কাগজপত্র পরীক্ষার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এছড়াও মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। সমগ্র বাংলাদেশে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের নামে চাঁদাবাজি চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সকল পণ্য পরিবহন যানের ব্রীজের টোল কমাতে হবে। অপরিকল্পিত ও অপ্রয়োজনীয় স্পীড ব্রেকার অপসারণ করতে হবে। জেলায় জেলায় সরকার কর্তৃক চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ট্রাক, ট্রাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যানের বডির ধরন পরিবর্তন করতে পুনঃ পূর্ণাঙ্গ রেজিস্ট্রেশন ফি গ্রহণ প্রথা বাতিল করতে হবে। এছাড়াও অবিলম্বে জ্বালানী তেলের দাম কমাতে হবে। যানবাহনের বাম্পার-হুক-এঙ্গেলের অযুহাতে বি.আর.টি.এ ফিটনেস নবায়ন করে নাই সেগুলো জরিমানা বাদে নবায়ন করার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশী পণ্য পরিবহন চালকদের ভারতের পেট্রোলপোলে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও সীতাকুন্ড থানায় অজ্ঞাত ট্রাক চালকের নামে মামলা প্রত্যাহর করতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

২১ জেলায় চলছে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট পণ্য পরিবহণ বন্ধে বিপাকে জেলার কৃষকেরা

আপলোড টাইম : ০২:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৭

fghf

মেহেরপুর প্রতিনিধি: চাঁদাবাজি বন্ধ, অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধসহ ১২ দফা দাবিতে মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের ডাকে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাতে চলছে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট। গতকাল সোমবার সকাল থেকে কোন ট্রাক ও লরি মেহেরপুর থেকে ছেড়ে যায়নি। পণ্য পরিবহণ বন্ধ থাকায় সব চাইতে বেশি বিপাকে জেলার কৃষকেরা। কারণ শীত মৌসুমে এ জেলা বিভিন্ন বিভিন্ন প্রকার সবজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা জানান, দাবি আদাঁয় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো, বি.আর.টি.এ কর্তৃক জারিকৃত ৫২২৯ নং স্মারকের ২৮/১২/২০১৬ তারিখের পত্রের ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সাইড এঙ্গেল, বাম্পার ও হুক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বন্দর সমূহের কর্তৃপক্ষের ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ব্লু-বুক এ নির্ধারিত ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বোঝায় না করার জন্য সরকার কর্তৃক নির্দেশ জারি করতে হবে। প্রতিটি জেলায় জেলায় সরকারি প্রতিনিধি ও মালিক-শ্রমিক সমন্বয়ে গঠিত অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিতে হবে। সরকারি ওয়েব্রীজ জরিমানা বাতিল করে পূর্বের দেওয়া এক হাজার ২০০ টাকা স্কেল জরিমানা প্রত্যাহার করতে হবে। সকল ফেরীঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সড়ক-মহাসড়কে কোন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাংকলরীসহ পণ্যবাহী যানের কাগজপত্র পরীক্ষার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এছড়াও মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। সমগ্র বাংলাদেশে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের নামে চাঁদাবাজি চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সকল পণ্য পরিবহন যানের ব্রীজের টোল কমাতে হবে। অপরিকল্পিত ও অপ্রয়োজনীয় স্পীড ব্রেকার অপসারণ করতে হবে। জেলায় জেলায় সরকার কর্তৃক চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ট্রাক, ট্রাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যানের বডির ধরন পরিবর্তন করতে পুনঃ পূর্ণাঙ্গ রেজিস্ট্রেশন ফি গ্রহণ প্রথা বাতিল করতে হবে। এছাড়াও অবিলম্বে জ্বালানী তেলের দাম কমাতে হবে। যানবাহনের বাম্পার-হুক-এঙ্গেলের অযুহাতে বি.আর.টি.এ ফিটনেস নবায়ন করে নাই সেগুলো জরিমানা বাদে নবায়ন করার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশী পণ্য পরিবহন চালকদের ভারতের পেট্রোলপোলে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও সীতাকুন্ড থানায় অজ্ঞাত ট্রাক চালকের নামে মামলা প্রত্যাহর করতে হবে।