ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২০ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শিক্ষকের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০১৯
  • / ২২৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
৫ বছর ধরে ২০ জনের বেশি ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করার অভিযোগে আরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার অক্সফোর্ড হাইস্কুল থেকে তাকে আটক করে পুলিশ ও র‌্যাব। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন শাহ পারভেজ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম গত আট বছর ধরে স্কুলটিতে গণিত ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করাতেন। এর মধ্যে বিগত পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন সময় আরিফুল ইসলাম অসংখ্য ছাত্রীকে ব্লাকমেইল করে আপত্তিকর ছবি তুলে ধর্ষণ করতেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গত তিনদিন যাবত তার অনৈতিক কর্মকা-গুলো এলাকায় প্রচার হতে থাকে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে গেলে আরিফুল ইসলাম তার মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবিগুলো মুছে ফেলে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ওই মোবাইল উদ্ধার করে এলাকার একটি মোবাইলের দোকানে নিয়ে গিয়ে সফটওয়ারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই স্কুলে হামলা চালায়। এ সময় স্কুলের ওই শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেওয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার আরিফুল ইসলামকে সহযোগিতা করে আসছিলো বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের দ্বারা যৌন লালসার স্বীকার হয়।
এ বিষয়ে র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন (পিপিএম) বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে তার মোবাইল থেকে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকা-ের অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। তার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ জনের বেশি ছাত্রীকে ওই শিক্ষক ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করে। যা প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষক আমাদের কছে শিকার করেছে। তিনি আরও জানান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এতে জড়িত। পরে প্রমাণ সাপেক্ষে স্কলটির প্রধান শিক্ষককেও আটক করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

২০ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শিক্ষকের

আপলোড টাইম : ১০:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
৫ বছর ধরে ২০ জনের বেশি ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করার অভিযোগে আরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার অক্সফোর্ড হাইস্কুল থেকে তাকে আটক করে পুলিশ ও র‌্যাব। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন শাহ পারভেজ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম গত আট বছর ধরে স্কুলটিতে গণিত ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করাতেন। এর মধ্যে বিগত পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন সময় আরিফুল ইসলাম অসংখ্য ছাত্রীকে ব্লাকমেইল করে আপত্তিকর ছবি তুলে ধর্ষণ করতেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গত তিনদিন যাবত তার অনৈতিক কর্মকা-গুলো এলাকায় প্রচার হতে থাকে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে গেলে আরিফুল ইসলাম তার মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবিগুলো মুছে ফেলে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ওই মোবাইল উদ্ধার করে এলাকার একটি মোবাইলের দোকানে নিয়ে গিয়ে সফটওয়ারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই স্কুলে হামলা চালায়। এ সময় স্কুলের ওই শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেওয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার আরিফুল ইসলামকে সহযোগিতা করে আসছিলো বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের দ্বারা যৌন লালসার স্বীকার হয়।
এ বিষয়ে র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন (পিপিএম) বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে তার মোবাইল থেকে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকা-ের অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। তার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ জনের বেশি ছাত্রীকে ওই শিক্ষক ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করে। যা প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষক আমাদের কছে শিকার করেছে। তিনি আরও জানান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এতে জড়িত। পরে প্রমাণ সাপেক্ষে স্কলটির প্রধান শিক্ষককেও আটক করা হয়।