ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২০ লাখ ডলারের ‘ললিপপ’ অর্ডার করে বরখাস্ত মাদাগাস্কারের মন্ত্রী!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০
  • / ১৬১ বার পড়া হয়েছে

বিষ্ময় ডেস্ক:
স্কুলের বাচ্চাদের জন্য ললিপপ কেনার পরিকল্পনা করায় বরখাস্ত করা হয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দরিদ্র দেশ মাদাগাস্কারের শিক্ষামন্ত্রীকে। তাঁর ললিপপ কিনতে ২০ লাখ ডলার খরচ চাওয়ার কারণটাও বেশ অদ্ভূত। গাছের নির্যাস থেকে বানানো কথিত করোনার ‘ভেষজ ওষুধ’ স্কুলের শিশুদের খাওয়ানোর পর তিনি তাদের হাতে তিনটি করে ললিপপ ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। করোনার ভ্যাকসিন/ওষুধ বানানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও যেখানে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা এখনো সফল হতে পারেননি সেখানে মাদাগাস্কার হারবাল ওষুধ বানিয়ে বলছে, এটা খেলে ৭ দিনেই করোনা সারবে। সেই ওষধু পরীক্ষার জন্য আবার স্কুলশিশুদের তা পান করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল দেশটি। হারবাল পানে শিশুদের তেতো মুখ মিষ্টি করতেই এমন উদ্যোগ মন্ত্রীর! আর তাই মন্ত্রী ২০ লাখ ডলারের ললিপপ কেনার অর্ডার দিতে যাচ্ছিলেন। তবে মন্ত্রীর এহেন কাজে আপত্তি জানান ভেষজ ওই হারবাল ওষুধের প্রচার চালানো প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রি রাজোলিনা। তাই তিনি বরখাস্ত করেছেন ললিপপ কিনতে যাওয়া শিক্ষামন্ত্রী রিজাসোয়া অ্যান্দ্রিমানানাকে। আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য নানারকম ভেষজ আমদানি করছে, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে, সেগুলো কভিড-১৯ এর চিকিতসায় কার্যকর কিনা তা প্রমাণিত নয়। মূলত ‘আর্টেমিশিয়া’ নামে এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ ও তার গুল্ম থেকে ওষুধটি তৈরি করেছে মাদাগাস্কার। ‘হারবাল চা’ হিসেবে এটি বাজারজাত করেছে দেশটি। মাদাগাস্কারের মেডিক্যাল অ্যাকাডেমিও ওই ভেষজ ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করছে এই ওষুধ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি করতে পারে।
েেপ্রসিডেন্ট রাজোয়েলিনা অবশ্য ওই টনিকের সমালোচনায় কান দিচ্ছেন না। আফ্রিকার প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের মনোভাব যে তাচ্ছিল্যপূর্ণ, টনিকের সমালোচনা তারই প্রমাণ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। ফরাসি নিউজ চ্যানেল ফ্রান্স ২৪’কে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো ইউরোপিয়ান দেশ এই ওষুধ আবিষ্কার করতো, তাহলে কি এটি নিয়ে এত সন্দেহ প্রকাশ করা হতো? আমার মনে হয় না।’ মাদাগাস্কারে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছে ৭ জন। মাদাগাস্কারে লকডাউন কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

২০ লাখ ডলারের ‘ললিপপ’ অর্ডার করে বরখাস্ত মাদাগাস্কারের মন্ত্রী!

আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০

বিষ্ময় ডেস্ক:
স্কুলের বাচ্চাদের জন্য ললিপপ কেনার পরিকল্পনা করায় বরখাস্ত করা হয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দরিদ্র দেশ মাদাগাস্কারের শিক্ষামন্ত্রীকে। তাঁর ললিপপ কিনতে ২০ লাখ ডলার খরচ চাওয়ার কারণটাও বেশ অদ্ভূত। গাছের নির্যাস থেকে বানানো কথিত করোনার ‘ভেষজ ওষুধ’ স্কুলের শিশুদের খাওয়ানোর পর তিনি তাদের হাতে তিনটি করে ললিপপ ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। করোনার ভ্যাকসিন/ওষুধ বানানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও যেখানে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা এখনো সফল হতে পারেননি সেখানে মাদাগাস্কার হারবাল ওষুধ বানিয়ে বলছে, এটা খেলে ৭ দিনেই করোনা সারবে। সেই ওষধু পরীক্ষার জন্য আবার স্কুলশিশুদের তা পান করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল দেশটি। হারবাল পানে শিশুদের তেতো মুখ মিষ্টি করতেই এমন উদ্যোগ মন্ত্রীর! আর তাই মন্ত্রী ২০ লাখ ডলারের ললিপপ কেনার অর্ডার দিতে যাচ্ছিলেন। তবে মন্ত্রীর এহেন কাজে আপত্তি জানান ভেষজ ওই হারবাল ওষুধের প্রচার চালানো প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রি রাজোলিনা। তাই তিনি বরখাস্ত করেছেন ললিপপ কিনতে যাওয়া শিক্ষামন্ত্রী রিজাসোয়া অ্যান্দ্রিমানানাকে। আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য নানারকম ভেষজ আমদানি করছে, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে, সেগুলো কভিড-১৯ এর চিকিতসায় কার্যকর কিনা তা প্রমাণিত নয়। মূলত ‘আর্টেমিশিয়া’ নামে এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ ও তার গুল্ম থেকে ওষুধটি তৈরি করেছে মাদাগাস্কার। ‘হারবাল চা’ হিসেবে এটি বাজারজাত করেছে দেশটি। মাদাগাস্কারের মেডিক্যাল অ্যাকাডেমিও ওই ভেষজ ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করছে এই ওষুধ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি করতে পারে।
েেপ্রসিডেন্ট রাজোয়েলিনা অবশ্য ওই টনিকের সমালোচনায় কান দিচ্ছেন না। আফ্রিকার প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের মনোভাব যে তাচ্ছিল্যপূর্ণ, টনিকের সমালোচনা তারই প্রমাণ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। ফরাসি নিউজ চ্যানেল ফ্রান্স ২৪’কে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো ইউরোপিয়ান দেশ এই ওষুধ আবিষ্কার করতো, তাহলে কি এটি নিয়ে এত সন্দেহ প্রকাশ করা হতো? আমার মনে হয় না।’ মাদাগাস্কারে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছে ৭ জন। মাদাগাস্কারে লকডাউন কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।