ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৮ দিনেও জিয়া ও কুটিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নের ডিহিকৃষ্ণপুর ডাক্তারপাড়ার হামিদুল ইসলামের ১৭ মার্চ দিনগত শনিবার রাতে একজোড়া মহিষ চুরি হয়। এ ফেন্সিডিলসহ আটক
(১ম পাতার পর)
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমি মোড়ে সদর ফাড়ির এসআই ওহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জীবননগর থেকে আসা এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশী করে বিশেষ কৌশলে শরীরের সাথে বাঁধা ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত সেলিমের বিরুদ্ধে গতরাতেই মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। মাদকব্যবসায়ী সেলিম ওই ফেনসিডিল নিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন এসআই ওহিদুল ইসলাম।
কুটিকে গ্রেফতার করতে
(১ম পাতার পর)
ঘটনার পর গত ১৯মার্চ-২০১৮ তারিখ রাত ৩টায় দর্শনা পৌর পিলখানা থেকে দর্শনার নাসির কশাইকে মহিষসহ পুলিশ গ্রেফতার করে। নাসির কশাই গ্রেফতারের সুত্র ধরে দর্শনা রামনগর কালিদাস পুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে জিয়া ও পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে কুটিসহ ৫ জনের নাম উঠে আসে। ঘটনার ১৫দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ জিয়া ও কুটি গ্রেফতার করতে পারেনি। ডিহিকৃষ্ণপুর গ্রামের বাশারের ভাষ্যমতে, গত ১৭ মার্চ রাত ১টার দিকে ডিহিকৃষ্ণপুর ডাক্তার পাড়ার হাজী আমির হোসেনের ছেলে হামিদুল ইসলামের এক জোড়া মহিষ গোয়াল ঘর থেকে চুরি হয়ে যায়। মহিষ দুইটির মুল্যে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এ ঘটনায় পরদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি জিডি করেন। গত ১৯ মার্চ সোমবার সন্ধায় দর্শনা শহরে একটি পাহাড়ীয়া মহিষ জবাই করা হবে বলে মাইকিং শুরু হয়। এ খবর পেয়ে সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে দর্শনার ঘুঘুডাঙ্গা পাড়ার সাদেক শরীফ ওরফে বড়র ছেলে নাসিক কশাই একটি মহিষ পিল খানায় আসে। এসময় মহিষের মালিক তার মহিষকে চিনতে পেরে দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রেজাউল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা ফলেহারকে খবর দেয়। এ খবর পেয়ে দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রেজাউল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা ফলেহার ও মিন্টুসহ গ্রামবাসী পিলখানা থেকে মহিষটি আটক করে। ঐ একই সময় দর্শনা তালবাগান পাড়া থেকে খবর আসে আর একটি মহিষটি পাওয়া গেছে। এরপর গ্রামবাসী মহিষ দুইটি ধরে রামনগর মোড়ে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দিলে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত এস আই মিজানুর রহমান সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে মহিষ দুটি উদ্ধার করে নাসির কশাইসহ দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এরপর নাসির কশাই মহিষ চুরি সাথে সংশ্লিষ্ট দর্শনা কুটি ও জিয়াসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করেন। এদিকে কুটি দর্শনা কাদের মিয়ার ভাগ্নে বলে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ হলে কাদের মিয়া ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা ৫ ভাই, আমাদের কোন বোন নেই। কুটি আমার কেউ না। আমার ভাগ্নে বলে পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। তবে কুটি ও জিয়াকে ধরতে পারলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে সকলেই ধারনা করছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১৮ দিনেও জিয়া ও কুটিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

আপলোড টাইম : ১০:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল ২০১৮

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নের ডিহিকৃষ্ণপুর ডাক্তারপাড়ার হামিদুল ইসলামের ১৭ মার্চ দিনগত শনিবার রাতে একজোড়া মহিষ চুরি হয়। এ ফেন্সিডিলসহ আটক
(১ম পাতার পর)
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমি মোড়ে সদর ফাড়ির এসআই ওহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জীবননগর থেকে আসা এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশী করে বিশেষ কৌশলে শরীরের সাথে বাঁধা ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত সেলিমের বিরুদ্ধে গতরাতেই মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। মাদকব্যবসায়ী সেলিম ওই ফেনসিডিল নিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন এসআই ওহিদুল ইসলাম।
কুটিকে গ্রেফতার করতে
(১ম পাতার পর)
ঘটনার পর গত ১৯মার্চ-২০১৮ তারিখ রাত ৩টায় দর্শনা পৌর পিলখানা থেকে দর্শনার নাসির কশাইকে মহিষসহ পুলিশ গ্রেফতার করে। নাসির কশাই গ্রেফতারের সুত্র ধরে দর্শনা রামনগর কালিদাস পুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে জিয়া ও পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে কুটিসহ ৫ জনের নাম উঠে আসে। ঘটনার ১৫দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ জিয়া ও কুটি গ্রেফতার করতে পারেনি। ডিহিকৃষ্ণপুর গ্রামের বাশারের ভাষ্যমতে, গত ১৭ মার্চ রাত ১টার দিকে ডিহিকৃষ্ণপুর ডাক্তার পাড়ার হাজী আমির হোসেনের ছেলে হামিদুল ইসলামের এক জোড়া মহিষ গোয়াল ঘর থেকে চুরি হয়ে যায়। মহিষ দুইটির মুল্যে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এ ঘটনায় পরদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি জিডি করেন। গত ১৯ মার্চ সোমবার সন্ধায় দর্শনা শহরে একটি পাহাড়ীয়া মহিষ জবাই করা হবে বলে মাইকিং শুরু হয়। এ খবর পেয়ে সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে দর্শনার ঘুঘুডাঙ্গা পাড়ার সাদেক শরীফ ওরফে বড়র ছেলে নাসিক কশাই একটি মহিষ পিল খানায় আসে। এসময় মহিষের মালিক তার মহিষকে চিনতে পেরে দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রেজাউল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা ফলেহারকে খবর দেয়। এ খবর পেয়ে দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রেজাউল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা ফলেহার ও মিন্টুসহ গ্রামবাসী পিলখানা থেকে মহিষটি আটক করে। ঐ একই সময় দর্শনা তালবাগান পাড়া থেকে খবর আসে আর একটি মহিষটি পাওয়া গেছে। এরপর গ্রামবাসী মহিষ দুইটি ধরে রামনগর মোড়ে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দিলে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত এস আই মিজানুর রহমান সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে মহিষ দুটি উদ্ধার করে নাসির কশাইসহ দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এরপর নাসির কশাই মহিষ চুরি সাথে সংশ্লিষ্ট দর্শনা কুটি ও জিয়াসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করেন। এদিকে কুটি দর্শনা কাদের মিয়ার ভাগ্নে বলে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ হলে কাদের মিয়া ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা ৫ ভাই, আমাদের কোন বোন নেই। কুটি আমার কেউ না। আমার ভাগ্নে বলে পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। তবে কুটি ও জিয়াকে ধরতে পারলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে সকলেই ধারনা করছেন।