ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৩ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়ায় পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার মৃত. মকছেদ আলীর ছেলে শামসুল হক। এদিকে, অপহরণ মামলায় আটক ইকরামুলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের যুবদল নেতা ইকরামুল হকের সাথে একই গ্রামের নাসির ও বশিরের সাথে বিরোধ চলছিলো। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জেরে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ইকরামুলের বড়ভাই রবিউলের দোকানে হামলা চালানো হয়। রবিউলকে মারধর করে জখম করে ক্যাশবাক্স থেকে ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। দোকান ভাঙচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করে তারা। পরে ইকরামুলকে গালাগালি করতে করতে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এরপর জনৈক হারেজ আলীর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে ৩০ হাজার টাকা এবং চাচাতো ভাই এনামুল হক লাল্টুর দোকান ভাঙচুর করে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এ ঘটনায় ওইদিনই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ইকরামুলের ভাই শামসুল হক। মামলায় ১৩ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়।
ইকরামুলের বড় ভাই শামসুল হক বলেন, ‘বাগানপাড়ার মুজামের মেয়ের বিয়ের দাওয়াত খেতে যায়। পূর্ব শক্রতার জের ধরে সেখানে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপরে হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেয় ইকরামুল। পরে তাকে না পেয়ে জুম্মার নামাজের পর থেকে আমার ভাই বড় ভাই রবিউল, চাচাতো ভাই এনামুল হক লাল্টু ও আমার দোকান এবং বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে নাসির, বশির, অনিক, বকুল, নাজিম, কাউসার, কাদের, সোহাগ, জিল্লু, আশরাফ উদ্দীন, রহমতসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০-১২জন। তাদেরকে আসামী করে এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১৩ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপলোড টাইম : ১২:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়ায় পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার মৃত. মকছেদ আলীর ছেলে শামসুল হক। এদিকে, অপহরণ মামলায় আটক ইকরামুলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের যুবদল নেতা ইকরামুল হকের সাথে একই গ্রামের নাসির ও বশিরের সাথে বিরোধ চলছিলো। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জেরে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ইকরামুলের বড়ভাই রবিউলের দোকানে হামলা চালানো হয়। রবিউলকে মারধর করে জখম করে ক্যাশবাক্স থেকে ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। দোকান ভাঙচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করে তারা। পরে ইকরামুলকে গালাগালি করতে করতে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এরপর জনৈক হারেজ আলীর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে ৩০ হাজার টাকা এবং চাচাতো ভাই এনামুল হক লাল্টুর দোকান ভাঙচুর করে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এ ঘটনায় ওইদিনই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ইকরামুলের ভাই শামসুল হক। মামলায় ১৩ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়।
ইকরামুলের বড় ভাই শামসুল হক বলেন, ‘বাগানপাড়ার মুজামের মেয়ের বিয়ের দাওয়াত খেতে যায়। পূর্ব শক্রতার জের ধরে সেখানে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপরে হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেয় ইকরামুল। পরে তাকে না পেয়ে জুম্মার নামাজের পর থেকে আমার ভাই বড় ভাই রবিউল, চাচাতো ভাই এনামুল হক লাল্টু ও আমার দোকান এবং বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে নাসির, বশির, অনিক, বকুল, নাজিম, কাউসার, কাদের, সোহাগ, জিল্লু, আশরাফ উদ্দীন, রহমতসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০-১২জন। তাদেরকে আসামী করে এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।’