ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯
  • / ২৯৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর এবার একই ধরনের অভিযোগে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লা উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকায় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ওই অধ্যক্ষের মুঠোফোন ও কম্পিউটারে তল্লাশি চালিয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার করা অধ্যক্ষের নাম আল আমিন। বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া এলাকায়। তিনি বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। র‌্যাব অনুসন্ধানে নেমে জানতে পারে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওই অধ্যক্ষ মাদ্রাসার ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগও পাওয়া গেছে। এরপরই ওই অধ্যক্ষকে আটক করা হয়। র‌্যাব জানায়, মাদ্রাসার ভেতরে পরিবার নিয়ে থাকতেন অধ্যক্ষ আল আমিন। বাসায় তাঁর স্ত্রী না থাকলে বা মাদ্রাসা ছুটি হলে নানা কৌশলে অধ্যক্ষ আল আমিন ছাত্রীদের মাদ্রাসায় ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই অধ্যক্ষ শিশুদের ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনা জানতে পেরে অধ্যক্ষের শান্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আটক

আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর এবার একই ধরনের অভিযোগে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লা উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকায় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ওই অধ্যক্ষের মুঠোফোন ও কম্পিউটারে তল্লাশি চালিয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার করা অধ্যক্ষের নাম আল আমিন। বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া এলাকায়। তিনি বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। র‌্যাব অনুসন্ধানে নেমে জানতে পারে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওই অধ্যক্ষ মাদ্রাসার ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগও পাওয়া গেছে। এরপরই ওই অধ্যক্ষকে আটক করা হয়। র‌্যাব জানায়, মাদ্রাসার ভেতরে পরিবার নিয়ে থাকতেন অধ্যক্ষ আল আমিন। বাসায় তাঁর স্ত্রী না থাকলে বা মাদ্রাসা ছুটি হলে নানা কৌশলে অধ্যক্ষ আল আমিন ছাত্রীদের মাদ্রাসায় ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই অধ্যক্ষ শিশুদের ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনা জানতে পেরে অধ্যক্ষের শান্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন।