ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১০ ভরি স্বর্ণের গহনাসহ নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা লুট

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মে ২০১৮
  • / ৩৩২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে চুরি : আরামপাড়ায় দিবালকে ঘরের তালা ভেঙ্গে দুঃসাহসিক চুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের আরামপাড়ার জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রকাশ্য দিবালকে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় চোর ঘরের তালা ভেঙ্গে আলমারি থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণের গহনাসহ নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চোর ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর শরের আরামপাড়ার জনবসতিপূর্ণ এলাকায় চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আছিয়া খাতুনের ফাঁকা বাড়িতে গতকাল এক দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় চোর ঘরের তালা ভেঙ্গে আলমারি থেকে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকাসহ প্রায় ১০ ভরি স্বণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। সংস্কারাধীন চার তালা বাড়িটির মেইন ক্রোসেবুল ফাঁকা কোরে চোর ঘরের ভিতর প্রবেশ করে। পরে বাড়ির ব্যবহৃত শাবল ও দাঁ দিয়ে দোতালার দুইটা ঘরের তালাসহ আলমারি ভেঙ্গে এ চুরির ঘটনা ঘটায়। বাড়ি মালিক আছিয়া খাতুন বাড়ি ফিরে ঘরের তালা ও আলমারি ভাঙ্গা দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশিসহ আত্মীয়-স্বজন ছুটে আসে। এসময় বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুজি করেও কাউকে পাওয়া যয়নি। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশসহ স্থানীয়রা চুরির ধরণ দেখে অনুমান করে বলেন, এটা পরিকল্পিত চুরি। পরে আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি সদর থানা পুলিশ।
এদিকে, চুয়াডঙ্গা জেলা শহরে দিনে-রাতে চোরের উৎপাত ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসা বাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিস আদালতেও ঘটছে অহরহ চুরির ঘটনা। এ ধরনের চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে এখন বিরাজ করছে চোর আতঙ্ক। মাঝেমাঝে দু একটা ছিচকে চোর আটক হলেও এ ধরনের দুঃসাহসিক চুরির মূল হোতারা সহজে আসছে না আইনের আওতায়। এমনটায় অভিযোগ করলেন আরামপাড়ার স্থানীয়রা।
বাড়ি মালিক একই এলাকার বুড়ো মিয়ার ছোটবোন আছিয়া খাতুন জানান, তিনি অফিস থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন ক্রোসেবুল ফাঁকা করা। দোতালার ঘরের দুইটা রুমের তালা আলমারি ভাঙ্গা। নগদ টাকা গহনা কিছু নেই। এর মধ্যে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের বালা, এক ভরি ওজনের কানের দুল, কয়েকটি আঙটি, এছাড়ও তার মেয়ের কিছু গহনা ছিল। স্বর্ণের গহনা ও টাকা ছাড়া ঘরের আর কিছুই নেয়নি চোর। এসময় তিনি আরো জানান, তার বাড়ির সংস্কার কাজ চলছে। বর্তমান কোন ভাড়াটিয়া থাকেনা। আমার একমাত্র মেয়ে সেও ঢাকার উত্তরাতে থাকে। স্বামী থাকে খুলনা বাগেরহাটে। আমি সকালে অফিসে চলে যায়, আসি বিকালে। গতকাল সকালে মিস্ত্রি কাজ করছিল। বৃষ্টি হওয়াতে তারাও কাজ বন্ধ করে চলে যায়। পরে আমি ঘর তালা বদ্ধ করে অফিসে যায়। বিকালে ফিরে দেখি নিচতালাতে ক্রোসেবুল ফাঁকা করা দোতালার ঘরের তালা ভাঙ্গা। ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতেই দেখি আলমারির জিনিসপত্র সব এলামেলো করা। আলমারির ড্রয়ারে আমার গোছানো টাকা ও স্বর্ণের গহনা নেই।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানর (ওসি অপারেশন) আমির আব্বাস সময়ের সমীকরণকে বলেন, আরামপাড়ার মা ও শিশু কল্যান কেন্দের পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ চোর ধরতে অভিযান শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১০ ভরি স্বর্ণের গহনাসহ নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা লুট

আপলোড টাইম : ১১:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মে ২০১৮

চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে চুরি : আরামপাড়ায় দিবালকে ঘরের তালা ভেঙ্গে দুঃসাহসিক চুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের আরামপাড়ার জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রকাশ্য দিবালকে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় চোর ঘরের তালা ভেঙ্গে আলমারি থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণের গহনাসহ নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চোর ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর শরের আরামপাড়ার জনবসতিপূর্ণ এলাকায় চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আছিয়া খাতুনের ফাঁকা বাড়িতে গতকাল এক দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় চোর ঘরের তালা ভেঙ্গে আলমারি থেকে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকাসহ প্রায় ১০ ভরি স্বণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। সংস্কারাধীন চার তালা বাড়িটির মেইন ক্রোসেবুল ফাঁকা কোরে চোর ঘরের ভিতর প্রবেশ করে। পরে বাড়ির ব্যবহৃত শাবল ও দাঁ দিয়ে দোতালার দুইটা ঘরের তালাসহ আলমারি ভেঙ্গে এ চুরির ঘটনা ঘটায়। বাড়ি মালিক আছিয়া খাতুন বাড়ি ফিরে ঘরের তালা ও আলমারি ভাঙ্গা দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশিসহ আত্মীয়-স্বজন ছুটে আসে। এসময় বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুজি করেও কাউকে পাওয়া যয়নি। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশসহ স্থানীয়রা চুরির ধরণ দেখে অনুমান করে বলেন, এটা পরিকল্পিত চুরি। পরে আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি সদর থানা পুলিশ।
এদিকে, চুয়াডঙ্গা জেলা শহরে দিনে-রাতে চোরের উৎপাত ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসা বাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিস আদালতেও ঘটছে অহরহ চুরির ঘটনা। এ ধরনের চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে এখন বিরাজ করছে চোর আতঙ্ক। মাঝেমাঝে দু একটা ছিচকে চোর আটক হলেও এ ধরনের দুঃসাহসিক চুরির মূল হোতারা সহজে আসছে না আইনের আওতায়। এমনটায় অভিযোগ করলেন আরামপাড়ার স্থানীয়রা।
বাড়ি মালিক একই এলাকার বুড়ো মিয়ার ছোটবোন আছিয়া খাতুন জানান, তিনি অফিস থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন ক্রোসেবুল ফাঁকা করা। দোতালার ঘরের দুইটা রুমের তালা আলমারি ভাঙ্গা। নগদ টাকা গহনা কিছু নেই। এর মধ্যে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের বালা, এক ভরি ওজনের কানের দুল, কয়েকটি আঙটি, এছাড়ও তার মেয়ের কিছু গহনা ছিল। স্বর্ণের গহনা ও টাকা ছাড়া ঘরের আর কিছুই নেয়নি চোর। এসময় তিনি আরো জানান, তার বাড়ির সংস্কার কাজ চলছে। বর্তমান কোন ভাড়াটিয়া থাকেনা। আমার একমাত্র মেয়ে সেও ঢাকার উত্তরাতে থাকে। স্বামী থাকে খুলনা বাগেরহাটে। আমি সকালে অফিসে চলে যায়, আসি বিকালে। গতকাল সকালে মিস্ত্রি কাজ করছিল। বৃষ্টি হওয়াতে তারাও কাজ বন্ধ করে চলে যায়। পরে আমি ঘর তালা বদ্ধ করে অফিসে যায়। বিকালে ফিরে দেখি নিচতালাতে ক্রোসেবুল ফাঁকা করা দোতালার ঘরের তালা ভাঙ্গা। ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতেই দেখি আলমারির জিনিসপত্র সব এলামেলো করা। আলমারির ড্রয়ারে আমার গোছানো টাকা ও স্বর্ণের গহনা নেই।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানর (ওসি অপারেশন) আমির আব্বাস সময়ের সমীকরণকে বলেন, আরামপাড়ার মা ও শিশু কল্যান কেন্দের পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ চোর ধরতে অভিযান শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।