ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১০ আসামির আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
  • / ২০৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতা রিগানের ওপর হামলার ঘটনা
বিশেষ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগানকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখমের মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ১০ জন নেতা-কর্মী। গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তাঁরা। আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্যতম সদস্য মাফিজুর রহমান মাফি, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ সামী তাপু, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পাপন হাসান সবুজ, আফ্রিদী, আসিফ খান প্লাবন, আরাফাত প্লাবন, তাওরাত, মিশন, ইমন ও হৃদয়। তাঁদের মধ্যে তাপু, তাওরাত ও প্লাবনের বাড়ি শহরের বাগান পাড়ায় এবং বাকিদের বাড়ি শহরের জ্বিনতলা মল্লিক পাড়ায়।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই রাতে মোটরসাইকেলযোগে শহরের জ্বিনতলা মল্লিক পাড়ায় যাওয়ার পথে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগান রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমি স্কুলের পেছনে পৌঁছালে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্তের একটি দল তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন শুক্রবার এ ঘটনায় রিগানের পিতা আজম আলী বাদী হয়ে ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৩ জনের নামে মামলা করেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নজরুল, রাব্বি ও ফিরোজ নামের তিনজনকে আটক করে পুলিশ। অন্য আসামিরা বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর গতকাল বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১০ আসামির আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ

আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতা রিগানের ওপর হামলার ঘটনা
বিশেষ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগানকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখমের মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ১০ জন নেতা-কর্মী। গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তাঁরা। আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্যতম সদস্য মাফিজুর রহমান মাফি, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ সামী তাপু, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পাপন হাসান সবুজ, আফ্রিদী, আসিফ খান প্লাবন, আরাফাত প্লাবন, তাওরাত, মিশন, ইমন ও হৃদয়। তাঁদের মধ্যে তাপু, তাওরাত ও প্লাবনের বাড়ি শহরের বাগান পাড়ায় এবং বাকিদের বাড়ি শহরের জ্বিনতলা মল্লিক পাড়ায়।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই রাতে মোটরসাইকেলযোগে শহরের জ্বিনতলা মল্লিক পাড়ায় যাওয়ার পথে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগান রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমি স্কুলের পেছনে পৌঁছালে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্তের একটি দল তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন শুক্রবার এ ঘটনায় রিগানের পিতা আজম আলী বাদী হয়ে ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৩ জনের নামে মামলা করেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নজরুল, রাব্বি ও ফিরোজ নামের তিনজনকে আটক করে পুলিশ। অন্য আসামিরা বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর গতকাল বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।