ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১০টি ইটভাটায় ৬০ লাখ টাকা জরিমানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৪:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১০১ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের দিনভর অভিযান
গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনীতে পৃথক ১০টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে এ অভিযান শুরু করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি বিশেষ টিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আইন ও বিধি উপেক্ষা করে অধিকাংশ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। তা ছাড়া জনবহুল এলাকায় ইটভাটা প্রস্তুত ও আবাদি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের কারণে অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে পুরাতন মটমুড়া নামক স্থানে তমা ব্রিক্সের মালিক তোফাজ্জেল হোসেনকে ৭ লাখ টাকা, এমভি জোয়ার্দ্দার ব্রিক্সের মালিক আরাফুল ইসলামকে ৬ লাখ টাকা, শুকুরকান্দির সমতা ব্রিক্সের মালিক মনিরুজ্জমান আতুরকে ৮ লাখ টাকা, রুপসা ব্রিক্সের মালিক আনোয়ার পারভেজকে ৭ লাখ, থ্রি স্টার ব্রিক্সের মালিক জালাল উদ্দিনকে ৪ লাখ, বস ব্রিক্সের মালিক মহম্মদপুরের সবুজকে ৪ লাখ, বেস্ট ব্রিক্সের মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫ লাখ, একতা ব্রিক্সের মালিক মটমুড়া গ্রামের খবিরুদ্দীনকে ৬ লাখ, ভিশন ব্রিক্সের মালিক সেলিম উদ্দিনকে ৭ লাখ টাকা ও জনতা ব্রিক্সের আবুল হাশেমকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জোনের উপ-পরিচালক আতাউর রহমানসহ র‌্যাব-৬ এর ডিএডি শফিকুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার ইসাহাক আলীসহ পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান জানান, অধিকাংশ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। তাই এসব ইটভাটায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইট প্রস্তুত ইটভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ অনুযায়ী এ জরিমানা করা হয়। এসময় ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি ভাটা। তবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১০টি ইটভাটায় ৬০ লাখ টাকা জরিমানা

আপলোড টাইম : ০৯:২৪:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১

মেহেরপুরের গাংনীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের দিনভর অভিযান
গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনীতে পৃথক ১০টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে এ অভিযান শুরু করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি বিশেষ টিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আইন ও বিধি উপেক্ষা করে অধিকাংশ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। তা ছাড়া জনবহুল এলাকায় ইটভাটা প্রস্তুত ও আবাদি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের কারণে অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে পুরাতন মটমুড়া নামক স্থানে তমা ব্রিক্সের মালিক তোফাজ্জেল হোসেনকে ৭ লাখ টাকা, এমভি জোয়ার্দ্দার ব্রিক্সের মালিক আরাফুল ইসলামকে ৬ লাখ টাকা, শুকুরকান্দির সমতা ব্রিক্সের মালিক মনিরুজ্জমান আতুরকে ৮ লাখ টাকা, রুপসা ব্রিক্সের মালিক আনোয়ার পারভেজকে ৭ লাখ, থ্রি স্টার ব্রিক্সের মালিক জালাল উদ্দিনকে ৪ লাখ, বস ব্রিক্সের মালিক মহম্মদপুরের সবুজকে ৪ লাখ, বেস্ট ব্রিক্সের মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫ লাখ, একতা ব্রিক্সের মালিক মটমুড়া গ্রামের খবিরুদ্দীনকে ৬ লাখ, ভিশন ব্রিক্সের মালিক সেলিম উদ্দিনকে ৭ লাখ টাকা ও জনতা ব্রিক্সের আবুল হাশেমকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জোনের উপ-পরিচালক আতাউর রহমানসহ র‌্যাব-৬ এর ডিএডি শফিকুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার ইসাহাক আলীসহ পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান জানান, অধিকাংশ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। তাই এসব ইটভাটায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইট প্রস্তুত ইটভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ অনুযায়ী এ জরিমানা করা হয়। এসময় ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি ভাটা। তবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান।