ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হিজলগাড়ী ও সরোজঞ্জ প্রেসক্লাবের মিলনমেলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০
  • / ১৬০ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গড়াইটুপি মেলা মাঠে
প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
মিলনমেলায় মিলতে যে চাই, সবাই মিলে এই সকালে, আর দেরি নয়, সময় যে নাই প্রভাত রবি অস্ত যাবে ঐ বিকেলে। কবি চিত্তরঞ্জন সরকারের সেই মিলনমেলা কবিতার শেষ লাইনের মতোই রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে চার বছর পূর্বে অস্ত গিয়েছে শত বছরের ঐহিত্যবাহী চুয়াডাঙ্গা জেলার গড়াইটুপি মেটারী মেলার। প্রতিবছর বাংলা মাসের ৭ আষাঢ় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মাসব্যাপী উদ্বোধন হতো এই মেলার। মেলাকে ঘিরে খাজা মালিক উল গাউস (র.) মাজার প্রাঙ্গণে চলত মিলনমেলা। সেই স্মৃতি এখন অতীত। গড়াইটুপি মেলা এখন শুধুই স্মৃতি। গতকাল রোববার একপ্রকার হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ী ও সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে প্রাণবন্ত করে তোলে মেলার মাঠের মাজার প্রাঙ্গণ। মেলার মাঠে সাংবাদিকদের মিলনমেলায় যেন প্রাণ ফিরে পায় পুরো প্রাঙ্গণ। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই প্রেসক্লাবের সদস্যদের উন্মুক্ত আলোচনা আর মেলার মাঠের অতীত স্মৃতিচারণের কথাবার্তা যেন কান খাড়া করে শুনছিল প্রকৃতি।
প্রতিবছর ৭ আষাঢ় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপি গ্রামের আম্রবতির মাঠে অবস্থিত খাজা মালিক উল গাউস (র.)-এর মাজার প্রাঙ্গণে মেটেরী মেলা বসলেও গত চার বছর যাবত মেলা ইজারা না হওয়ায় বন্ধ রয়েছে সব আয়োজন। বিগত তিন বছরে মতো এ বছরও এক প্রকার নিরবে এসে ছিল ৭ আষাঢ়। ঐহিত্যবাহী গড়াইটুপি মেলার মাঠের স্মৃতিরক্ষার্থে ব্যতিক্রমী আয়োজন করে হিজলগাড়ী ও সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাব। গতকাল দুপুরের পর থেকেই মেলার মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন দুই প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা। লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন একে অন্যের সঙ্গে সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ না হওয়ায় গতকাল সবাই একসঙ্গে হতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। সেলফি তোলা, একে অন্যের সঙ্গে কুশলবিনিময় করে যেন আত্মা জুড়িয়ে নেন তাঁরা। মাজার প্রাঙ্গণের বটগাছের নিচে চেয়ার পেতে বসে মেলা নিয়ে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি উন্মুক্ত আলোচনা চলে থেকে দীর্ঘক্ষণ।
অন্যদিকে তখন চলছিল রান্নার আয়োজন। ছয়বার মেলার দায়িত্বে থাকা সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এস জে আলম সুমনের স্মৃতিচারণ যেন মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলেছিল আলোচনা। এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়ে আয়োজন প্রাণবন্ত করে তোলেন দৈনিক সময়ের সমীকরণের বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিক, দৈনিক মাথাভাঙ্গার মফস্বল সম্পাদক আলম আশরাফ ও শেকড়ের সভাপতি শামীম হোসেন মিজি। এই মিলন মেলায় সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম লিন্টুর সার্বিক ব্যবস্থপনায় উপস্থিত ছিলেন হিজলগাড়ী প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফ হাসান, হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ অপূর্ব, সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বুলবুল আহম্মেদ শিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এম লাভলু রহমান, প্রচার সম্পাদক ইকরামুল, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আকিমুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক রাতুল হাসান, সদস্য আলামিন, সাইফুল ইসলামসহ হিজলগাড়ী ও সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্যরা। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিক লাভলুর রান্না করা খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঠেকুর তুলে সবাই ফিরে যান যার যার এলাকায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হিজলগাড়ী ও সরোজঞ্জ প্রেসক্লাবের মিলনমেলা

আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০

সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গড়াইটুপি মেলা মাঠে
প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
মিলনমেলায় মিলতে যে চাই, সবাই মিলে এই সকালে, আর দেরি নয়, সময় যে নাই প্রভাত রবি অস্ত যাবে ঐ বিকেলে। কবি চিত্তরঞ্জন সরকারের সেই মিলনমেলা কবিতার শেষ লাইনের মতোই রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে চার বছর পূর্বে অস্ত গিয়েছে শত বছরের ঐহিত্যবাহী চুয়াডাঙ্গা জেলার গড়াইটুপি মেটারী মেলার। প্রতিবছর বাংলা মাসের ৭ আষাঢ় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মাসব্যাপী উদ্বোধন হতো এই মেলার। মেলাকে ঘিরে খাজা মালিক উল গাউস (র.) মাজার প্রাঙ্গণে চলত মিলনমেলা। সেই স্মৃতি এখন অতীত। গড়াইটুপি মেলা এখন শুধুই স্মৃতি। গতকাল রোববার একপ্রকার হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ী ও সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে প্রাণবন্ত করে তোলে মেলার মাঠের মাজার প্রাঙ্গণ। মেলার মাঠে সাংবাদিকদের মিলনমেলায় যেন প্রাণ ফিরে পায় পুরো প্রাঙ্গণ। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই প্রেসক্লাবের সদস্যদের উন্মুক্ত আলোচনা আর মেলার মাঠের অতীত স্মৃতিচারণের কথাবার্তা যেন কান খাড়া করে শুনছিল প্রকৃতি।
প্রতিবছর ৭ আষাঢ় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপি গ্রামের আম্রবতির মাঠে অবস্থিত খাজা মালিক উল গাউস (র.)-এর মাজার প্রাঙ্গণে মেটেরী মেলা বসলেও গত চার বছর যাবত মেলা ইজারা না হওয়ায় বন্ধ রয়েছে সব আয়োজন। বিগত তিন বছরে মতো এ বছরও এক প্রকার নিরবে এসে ছিল ৭ আষাঢ়। ঐহিত্যবাহী গড়াইটুপি মেলার মাঠের স্মৃতিরক্ষার্থে ব্যতিক্রমী আয়োজন করে হিজলগাড়ী ও সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাব। গতকাল দুপুরের পর থেকেই মেলার মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন দুই প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা। লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন একে অন্যের সঙ্গে সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ না হওয়ায় গতকাল সবাই একসঙ্গে হতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। সেলফি তোলা, একে অন্যের সঙ্গে কুশলবিনিময় করে যেন আত্মা জুড়িয়ে নেন তাঁরা। মাজার প্রাঙ্গণের বটগাছের নিচে চেয়ার পেতে বসে মেলা নিয়ে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি উন্মুক্ত আলোচনা চলে থেকে দীর্ঘক্ষণ।
অন্যদিকে তখন চলছিল রান্নার আয়োজন। ছয়বার মেলার দায়িত্বে থাকা সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এস জে আলম সুমনের স্মৃতিচারণ যেন মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলেছিল আলোচনা। এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়ে আয়োজন প্রাণবন্ত করে তোলেন দৈনিক সময়ের সমীকরণের বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিক, দৈনিক মাথাভাঙ্গার মফস্বল সম্পাদক আলম আশরাফ ও শেকড়ের সভাপতি শামীম হোসেন মিজি। এই মিলন মেলায় সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম লিন্টুর সার্বিক ব্যবস্থপনায় উপস্থিত ছিলেন হিজলগাড়ী প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফ হাসান, হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ অপূর্ব, সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বুলবুল আহম্মেদ শিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এম লাভলু রহমান, প্রচার সম্পাদক ইকরামুল, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আকিমুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক রাতুল হাসান, সদস্য আলামিন, সাইফুল ইসলামসহ হিজলগাড়ী ও সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্যরা। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিক লাভলুর রান্না করা খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঠেকুর তুলে সবাই ফিরে যান যার যার এলাকায়।